জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা
ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম মাস্টারকার্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অজয় বঙ্গা। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইতিহাসের এই কঠিন মুহূর্তে বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনন্যভাবে প্রস্তুত বঙ্গা। জলবায়ু পরিবর্তনসহ সময়ের সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সরকারি—বেসরকারি সংস্থান একত্রিত করার মোক্ষম অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।’
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, বঙ্গার অভিজ্ঞতা তাঁকে চূড়ান্ত দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সংস্থাকে কার্যকরভাবে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো অনুসরণ করার সময়, অংশীদারত্বের সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে। এর মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন এবং অভিবাসন কমানোর জন্য উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অন্যতম।
জি–২০ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে অবস্থান করছেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলেন। বৃহস্পতিবার জি-২০ ফিন্যান্স চিফস পর্যায়ের বৈঠকের সাইডলাইনে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিথারামান এবং মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট আলাপ করেন।
দুজনের বৈঠকে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে আরও শক্তিশালী করা, বৈশ্বিক ঋণ ঝুঁকি এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জোটের সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মতো জি–২০ জোটের বড় কোনো ইভেন্টের আয়োজক হয়েছে ভারত। প্রযুক্তি হাব বেঙ্গালুরুর নন্দী হিলসে চলছে সম্মেলন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উদ্যোগের সব সময় ভূয়সী প্রশংসা করে এসেছেন অজয় বঙ্গা। ব্যবসায়িক বিষয়াদি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ও ভারতে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে।
অজয় বঙ্গা সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলোতে ভারতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অনেকখানি আঁচ করা যেতে পারে:
—অজয় বঙ্গা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের ভূমিকার জন্য প্রথম ভারতীয়—বংশোদ্ভূত হিসেবে মনোনয়ন পেলেন। নিযুক্ত হলে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ডেভিড ম্যালপাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ম্যালপাস গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেন, আগামী জুনে তিনি পদত্যাগ করবেন। যেখানে যেখানে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ।
—বর্তমানে বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম জেনারেল আটলান্টিকের ভাইস চেয়ারম্যান অজয় বঙ্গা। আর্থিক খাতে ৩০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি মাস্টারকার্ডে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া আমেরিকান রেড ক্রস বোর্ড, ক্রাফ্ট ফুডস এবং ডাউ ইনকরপোরেশনের পাশাপাশি সিটিগ্রুপ, পেপসিকো এবং নেসলের মতো প্রতিষ্ঠান কাজ করেছেন।
—২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিইও হিসেবে অবসর নেওয়ার আগে দীর্ঘ ১২ বছর মাস্টারকার্ডের শীর্ষপদে ছিলেন অজয় বঙ্গা। বঙ্গার আমলে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষ এবং ৫ কোটি ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসাকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে মাস্টারকার্ড।
—মধ্য আমেরিকার বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোর জোট পার্টনারশিপ ফর সেন্ট্রাল আমেরিকার ভাইস চেয়ার ছিলেন। দায়িত্ব পালন কালে তিনি উত্তর মধ্য আমেরিকার জন্য সরকারি, বেসরকারি এবং অলাভজনক সংস্থান একত্রিত করতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
—মার্কিন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে অজয় বঙ্গার। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাণিজ্যনীতি ও আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
—প্রথম জীবনে ভারতে থাকলেও বঙ্গা এখন মার্কিন নাগরিক। ১৯৫৯ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা হরভজন সিং বঙ্গা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
—অজয় বঙ্গা নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক এবং মর্যাদাপূর্ণ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম), আহমেদাবাদ থেকে ম্যানেজমেন্টে পিজিপি, যা এমবিএর সমতুল্য, ডিগ্রি অর্জন করেন।
—যুক্তরাষ্ট্রে কাজের জন্য স্বীকৃতি ছাড়াও ভারত সরকারও বঙ্গাকে সম্মানিত করেছে। ভারত সরকার ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে। পদ্মশ্রী ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
—বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে বঙ্গার মনোনয়নের লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা থেকে ১৮৯ জাতির দারিদ্র্য হ্রাসই হবে বিশ্বব্যাংকের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য। বাইডেনের বিবৃতিতেই সেটি প্রতিফলিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বঙ্গা প্রকাশ্যে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশের জন্য বেশ পরিচিত মুখ। সিইও হিসেবে তাঁর আমলে মাস্টারকার্ড ২০২০ সালে প্রাইসলেস প্ল্যানেট কোয়ালিশন তৈরির উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরিবেশ দূষণ রোধে করপোরেট বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রায় ১০০টি সংস্থার একটি সংগঠন এটি।
—ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের পক্ষেও বরাবর জোর ওকালতি করে এসেছেন অজয় বঙ্গা। ২০১৯ সালে বঙ্গা বলেছিলেন, যে ইন্দো—মার্কিন কৌশলগত অংশীদারত্ব হলো এক ধরনের ‘মহাগাঁটবন্ধন’, এটি বিশ্বের জন্য প্রয়োজন। ‘দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র’ বিশ্বে একটি ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করতে পারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অজয় বঙ্গা ২০১৪ সালে বলেছিলেন, ‘তিনি সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন’ এবং ‘যদি তিনি (মোদি) বাস্তবায়ন করেন তবে ভারত একটি স্বতন্ত্র উন্নয়নের পথে হাঁটবে’।
অজয় বঙ্গা ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস–বাংলা বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪–১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বঙ্গার একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।
ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম মাস্টারকার্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অজয় বঙ্গা। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইতিহাসের এই কঠিন মুহূর্তে বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনন্যভাবে প্রস্তুত বঙ্গা। জলবায়ু পরিবর্তনসহ সময়ের সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সরকারি—বেসরকারি সংস্থান একত্রিত করার মোক্ষম অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।’
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, বঙ্গার অভিজ্ঞতা তাঁকে চূড়ান্ত দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সংস্থাকে কার্যকরভাবে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো অনুসরণ করার সময়, অংশীদারত্বের সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে। এর মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন এবং অভিবাসন কমানোর জন্য উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অন্যতম।
জি–২০ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে অবস্থান করছেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলেন। বৃহস্পতিবার জি-২০ ফিন্যান্স চিফস পর্যায়ের বৈঠকের সাইডলাইনে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিথারামান এবং মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট আলাপ করেন।
দুজনের বৈঠকে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে আরও শক্তিশালী করা, বৈশ্বিক ঋণ ঝুঁকি এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জোটের সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মতো জি–২০ জোটের বড় কোনো ইভেন্টের আয়োজক হয়েছে ভারত। প্রযুক্তি হাব বেঙ্গালুরুর নন্দী হিলসে চলছে সম্মেলন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উদ্যোগের সব সময় ভূয়সী প্রশংসা করে এসেছেন অজয় বঙ্গা। ব্যবসায়িক বিষয়াদি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ও ভারতে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে।
অজয় বঙ্গা সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলোতে ভারতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অনেকখানি আঁচ করা যেতে পারে:
—অজয় বঙ্গা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের ভূমিকার জন্য প্রথম ভারতীয়—বংশোদ্ভূত হিসেবে মনোনয়ন পেলেন। নিযুক্ত হলে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ডেভিড ম্যালপাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ম্যালপাস গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেন, আগামী জুনে তিনি পদত্যাগ করবেন। যেখানে যেখানে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ।
—বর্তমানে বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম জেনারেল আটলান্টিকের ভাইস চেয়ারম্যান অজয় বঙ্গা। আর্থিক খাতে ৩০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি মাস্টারকার্ডে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া আমেরিকান রেড ক্রস বোর্ড, ক্রাফ্ট ফুডস এবং ডাউ ইনকরপোরেশনের পাশাপাশি সিটিগ্রুপ, পেপসিকো এবং নেসলের মতো প্রতিষ্ঠান কাজ করেছেন।
—২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিইও হিসেবে অবসর নেওয়ার আগে দীর্ঘ ১২ বছর মাস্টারকার্ডের শীর্ষপদে ছিলেন অজয় বঙ্গা। বঙ্গার আমলে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষ এবং ৫ কোটি ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসাকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে মাস্টারকার্ড।
—মধ্য আমেরিকার বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোর জোট পার্টনারশিপ ফর সেন্ট্রাল আমেরিকার ভাইস চেয়ার ছিলেন। দায়িত্ব পালন কালে তিনি উত্তর মধ্য আমেরিকার জন্য সরকারি, বেসরকারি এবং অলাভজনক সংস্থান একত্রিত করতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
—মার্কিন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে অজয় বঙ্গার। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাণিজ্যনীতি ও আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
—প্রথম জীবনে ভারতে থাকলেও বঙ্গা এখন মার্কিন নাগরিক। ১৯৫৯ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা হরভজন সিং বঙ্গা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
—অজয় বঙ্গা নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক এবং মর্যাদাপূর্ণ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম), আহমেদাবাদ থেকে ম্যানেজমেন্টে পিজিপি, যা এমবিএর সমতুল্য, ডিগ্রি অর্জন করেন।
—যুক্তরাষ্ট্রে কাজের জন্য স্বীকৃতি ছাড়াও ভারত সরকারও বঙ্গাকে সম্মানিত করেছে। ভারত সরকার ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে। পদ্মশ্রী ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
—বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে বঙ্গার মনোনয়নের লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা থেকে ১৮৯ জাতির দারিদ্র্য হ্রাসই হবে বিশ্বব্যাংকের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য। বাইডেনের বিবৃতিতেই সেটি প্রতিফলিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বঙ্গা প্রকাশ্যে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশের জন্য বেশ পরিচিত মুখ। সিইও হিসেবে তাঁর আমলে মাস্টারকার্ড ২০২০ সালে প্রাইসলেস প্ল্যানেট কোয়ালিশন তৈরির উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরিবেশ দূষণ রোধে করপোরেট বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রায় ১০০টি সংস্থার একটি সংগঠন এটি।
—ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের পক্ষেও বরাবর জোর ওকালতি করে এসেছেন অজয় বঙ্গা। ২০১৯ সালে বঙ্গা বলেছিলেন, যে ইন্দো—মার্কিন কৌশলগত অংশীদারত্ব হলো এক ধরনের ‘মহাগাঁটবন্ধন’, এটি বিশ্বের জন্য প্রয়োজন। ‘দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র’ বিশ্বে একটি ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করতে পারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অজয় বঙ্গা ২০১৪ সালে বলেছিলেন, ‘তিনি সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন’ এবং ‘যদি তিনি (মোদি) বাস্তবায়ন করেন তবে ভারত একটি স্বতন্ত্র উন্নয়নের পথে হাঁটবে’।
অজয় বঙ্গা ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস–বাংলা বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪–১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বঙ্গার একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।
ড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
১০ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১ দিন আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
২ দিন আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
৩ দিন আগে