ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের মিসরীয় শিল্প ও স্থাপত্যের অধ্যাপক কারা কুনি মিসরের ফেরাউনদের নিয়ে ‘দ্য গুড কিং’—নামক বই লিখেছেন। সেই বইতে তিনি প্রাচীন মিসরের ফেরাউনদের সঙ্গে আধুনিক দুনিয়ার স্বৈরশাসকদের সম্পর্ক বর্ণনা করেছেন। তিনি একজন বেস্টসেলিং লেখক এবং জনপ্রিয় বক্তাও। কারা কুনি প্রাচীন হস্তশিল্প উৎপাদন, কফিন গবেষণা এবং প্রাচীন অর্থনীতি নিয়েও কাজ করেন। বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট সেপিয়েন্সে বইটির এক্সপার্ট থেকে কিছু অংশ আলোচনা করেছেন।
কারা কুনি
আমি এমন একটি ক্ষেত্রে কাজ করি যেখানে ভক্তরা সত্য, সৌন্দর্য এবং শক্তিতে বিশ্বাসী একটি মিসরকে ধারণ করেন এবং অনেক দিক থেকেই, আমি এখনো আমার নির্বাচিত বিশ্বাসের প্রতি অনুগত। আমরা প্রাচীন মিসরের সংস্কৃতি সরাসরি বাতিল করতে পারি না। প্রাচীন মিসরের অনেক সৌন্দর্য আছে এবং আমি এখানে সেটিকে অবমূল্যায়ন বা ছোট করতে বসিনি।
বরং, আমি মনে করি, প্রাচীন মিসরীয়রা আমাদের বর্তমান ব্যবস্থার শাসকদের চিনতে সাহায্য করতে পারে। দেখাতে পারে, তাঁরা কীভাবে আচরণ করেন এবং এর মাধ্যমে আমাদের শেখাতে পারে কীভাবে আমরা নিজেদের উদ্যোগে তাদের নিরস্ত করতে পারি। আমরা সবাই আমাদের স্বল্প জীবনকালের অধীন। এই বিষয়টি আমাদের ইতিহাসের দীর্ঘ ধারাক্রম দেখার সক্ষমতাকে কঠিন করে তোলে। কিন্তু আমরা ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে পারি এবং প্রাচীন মিসরের রাজবংশগুলোর উত্থান-পতন পর্যবেক্ষণ করতে পারি।
হাজার হাজার বছর ধরে মিসরীয় সমাজ একটি টানাপোড়েনের সম্পর্ক বজায় রেখেছে রাজশক্তির সঙ্গে। কখনো রাজা ছিলেন শক্তিশালী, কখনো দুর্বল। কখনো দেশ চরম ক্ষমতার ভারী বুটের জাঁতাকল থেকে মুক্তি পেয়েছে, আবার কখনো সেই বুটের নিচেই ফিরে গেছে। কিন্তু এই উত্থান-পতনের মধ্যেও মিসরীয় সমাজ তার ধর্মীয় আচার, ভাষা ও সাহিত্য, শিল্পকর্ম এবং সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের সমৃদ্ধ ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। মিসরের রাজাদের প্রয়োজন ছিল মিসরকে; মিসরের কখনোই ফেরাউনদের প্রয়োজন ছিল না। এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাচীন মিসরের রাজারা আমাদের শেখাতে পারেন পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার কৌশলগুলো। যেমন ছিলেন খুফু—যিনি জনগণের কর ও রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের মাধ্যমে পিরামিডের প্রচারণা চালিয়েছিলেন। আরেক ফারাও সেনউস্রেত যিনি চরমপন্থী শাসন জারি করেছিলেন। আখেনাতেন নামক আরেক ফারাও ছিলেন ধর্মপ্রচারক রাজা। রামেসিস দ্বিতীয় সব সময়ই জনসমর্থন পিপাসু ছিলেন এবং তাহারকা ছিলেন উপনিবেশবাদী-সাম্রাজ্যবাদী। এসব শাসকদের সবাই ছিলেন নিজ নিজ সময়ের সমাজের প্রেক্ষাপটে ‘গঠিত’। আজ আমরা নিজেদের ‘রাজা (শাসক) ’ সৃষ্টি করি (সম্ভবত দ্রুতগতিতে, কারণ প্রযুক্তি আমাদের রাজনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে)।
আপনি হয়তো মনে করতেই পারেন, প্রাচীন মিসরের তুলনা অন্য কোনো শাসনের সঙ্গে, বিশেষত আধুনিক রাষ্ট্রের সঙ্গে করা উচিত নয়। কিন্তু প্রাচীন মিসরকে আলাদা করে সংরক্ষণ করার প্রবণতা আমাদের এটিকে ফেটিশাইজ বা গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে বাধ্য করে এবং সেই সব রাজাদের উপাসকদের আদিম ও বোকাসোকা মানুষ হিসেবে দেখতে বাধ্য করে—যাঁরা আমাদের মতো নন। যেকোনো প্রাচীন সংস্কৃতিকে এমনভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেখার মানে হলো—এটা বিশ্বাস করা যে, আমরা কখনোই আদিম আধিপত্যবাদীদের প্রভাবের শিকার হব না।
তবে একের পর এক রাষ্ট্র যখন গণতন্ত্র বলে দাবি করে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, তখন আমাদের আধুনিক ব্যতিক্রমবাদী ভাবনার সুরক্ষিত সীমা ত্যাগ করতে হবে। পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতার প্রতি আমাদের নিজেদের সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বিশ্লেষণ করতে গেলে প্রাচীন মিশর একটি কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনফেডারেট স্মৃতিস্তম্ভ এবং দাসপ্রথা বা উপনিবেশবাদের সুবিধাভোগীদের স্মৃতিস্তম্ভের বিষয়ে যে উত্তপ্ত বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা সাংস্কৃতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখা বক্তাদের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে উসকে দিয়েছিল। যখন কেউ দাবি করে যে, কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই. লির কোনো মূর্তি ভেঙে ফেলতে হবে, তখন প্রথাগত ব্যবস্থার সমর্থকেরা পাল্টা জবাব দেয়, ‘তাহলে পিরামিডগুলোও ভেঙে ফেলুন।’ এর ফলে প্রায়শই মিসরবিদদের অনেকে রাজাদের সমাধিসৌধ রক্ষায় তৎপর হয়ে বলেন, ‘এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো দাসদের দ্বারা নয়, মিসরের জনগণের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল!’
তবে এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, উভয় অবস্থানই একটি স্বৈরাচারী শাসনের পক্ষে কথা বলে। জিম ক্রোর মূর্তি এবং মিসরের পিরামিড একই পুরুষতান্ত্রিক দমনমূলক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের মধ্যে ব্যবধান কেবল হাজার বছর। এই দুটি স্থাপনা মিসরের দেহে খোদাই করা গভীর ক্ষত লুকিয়ে রেখেছে এবং মার্কিন সমাজেও দাগ কেটেছে। আর দাসত্ব এবং অর্থের বিনিময়ে শ্রমের মধ্যে পার্থক্য অর্থহীন হয়ে ওঠে যদি উভয় ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কাজে বাধ্য করা হয়।
ভুল করবেন না: মিসরের পিরামিডগুলো নির্মিত হয়েছিল—কারণ রাজাদের এগুলোর প্রয়োজন ছিল। ঠিক যেমনটি কনফেডারেট সেনাবাহিনীর বীর জেনারেলদের অশ্বারোহী মূর্তিগুলো তৈরি হয়েছিল ক্ষমতা হারানোর পর একটি দমনমূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে। তবে কোনো ধরনের স্মৃতিস্তম্ভই চরম শক্তির প্রতীক নয়; কনফেডারেট মূর্তি এবং পিরামিড উভয়ই এমন একধরনের রাজনৈতিক প্রচারাভিযানের প্রতিনিধিত্ব করে, যা অনিরাপদ বিষাক্ত পুরুষতন্ত্রের পরিচায়ক। এটি তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া এবং মানুষের কাছে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্বের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তারই ফল, যেন তা হারিয়ে না যায়।
আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি পিরামিড ধ্বংস করার পক্ষে নই, যেমনটি আমি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের নিপীড়ন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে এমন মূর্তি গলিয়ে ফেলতেও বলছি না। আমি বলছি—এগুলোকে পুনর্বিন্যাস করার পক্ষে, এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার পক্ষে যা আমাদের দেখায় কীভাবে এসব স্মৃতিস্তম্ভ সেখানকার ক্ষমতা কাঠামোর ওপর ছায়া ফেলছে।
অনুবাদ: আব্দুর রহমান
আমি এমন একটি ক্ষেত্রে কাজ করি যেখানে ভক্তরা সত্য, সৌন্দর্য এবং শক্তিতে বিশ্বাসী একটি মিসরকে ধারণ করেন এবং অনেক দিক থেকেই, আমি এখনো আমার নির্বাচিত বিশ্বাসের প্রতি অনুগত। আমরা প্রাচীন মিসরের সংস্কৃতি সরাসরি বাতিল করতে পারি না। প্রাচীন মিসরের অনেক সৌন্দর্য আছে এবং আমি এখানে সেটিকে অবমূল্যায়ন বা ছোট করতে বসিনি।
বরং, আমি মনে করি, প্রাচীন মিসরীয়রা আমাদের বর্তমান ব্যবস্থার শাসকদের চিনতে সাহায্য করতে পারে। দেখাতে পারে, তাঁরা কীভাবে আচরণ করেন এবং এর মাধ্যমে আমাদের শেখাতে পারে কীভাবে আমরা নিজেদের উদ্যোগে তাদের নিরস্ত করতে পারি। আমরা সবাই আমাদের স্বল্প জীবনকালের অধীন। এই বিষয়টি আমাদের ইতিহাসের দীর্ঘ ধারাক্রম দেখার সক্ষমতাকে কঠিন করে তোলে। কিন্তু আমরা ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে পারি এবং প্রাচীন মিসরের রাজবংশগুলোর উত্থান-পতন পর্যবেক্ষণ করতে পারি।
হাজার হাজার বছর ধরে মিসরীয় সমাজ একটি টানাপোড়েনের সম্পর্ক বজায় রেখেছে রাজশক্তির সঙ্গে। কখনো রাজা ছিলেন শক্তিশালী, কখনো দুর্বল। কখনো দেশ চরম ক্ষমতার ভারী বুটের জাঁতাকল থেকে মুক্তি পেয়েছে, আবার কখনো সেই বুটের নিচেই ফিরে গেছে। কিন্তু এই উত্থান-পতনের মধ্যেও মিসরীয় সমাজ তার ধর্মীয় আচার, ভাষা ও সাহিত্য, শিল্পকর্ম এবং সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের সমৃদ্ধ ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। মিসরের রাজাদের প্রয়োজন ছিল মিসরকে; মিসরের কখনোই ফেরাউনদের প্রয়োজন ছিল না। এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাচীন মিসরের রাজারা আমাদের শেখাতে পারেন পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার কৌশলগুলো। যেমন ছিলেন খুফু—যিনি জনগণের কর ও রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের মাধ্যমে পিরামিডের প্রচারণা চালিয়েছিলেন। আরেক ফারাও সেনউস্রেত যিনি চরমপন্থী শাসন জারি করেছিলেন। আখেনাতেন নামক আরেক ফারাও ছিলেন ধর্মপ্রচারক রাজা। রামেসিস দ্বিতীয় সব সময়ই জনসমর্থন পিপাসু ছিলেন এবং তাহারকা ছিলেন উপনিবেশবাদী-সাম্রাজ্যবাদী। এসব শাসকদের সবাই ছিলেন নিজ নিজ সময়ের সমাজের প্রেক্ষাপটে ‘গঠিত’। আজ আমরা নিজেদের ‘রাজা (শাসক) ’ সৃষ্টি করি (সম্ভবত দ্রুতগতিতে, কারণ প্রযুক্তি আমাদের রাজনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে)।
আপনি হয়তো মনে করতেই পারেন, প্রাচীন মিসরের তুলনা অন্য কোনো শাসনের সঙ্গে, বিশেষত আধুনিক রাষ্ট্রের সঙ্গে করা উচিত নয়। কিন্তু প্রাচীন মিসরকে আলাদা করে সংরক্ষণ করার প্রবণতা আমাদের এটিকে ফেটিশাইজ বা গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে বাধ্য করে এবং সেই সব রাজাদের উপাসকদের আদিম ও বোকাসোকা মানুষ হিসেবে দেখতে বাধ্য করে—যাঁরা আমাদের মতো নন। যেকোনো প্রাচীন সংস্কৃতিকে এমনভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেখার মানে হলো—এটা বিশ্বাস করা যে, আমরা কখনোই আদিম আধিপত্যবাদীদের প্রভাবের শিকার হব না।
তবে একের পর এক রাষ্ট্র যখন গণতন্ত্র বলে দাবি করে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, তখন আমাদের আধুনিক ব্যতিক্রমবাদী ভাবনার সুরক্ষিত সীমা ত্যাগ করতে হবে। পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতার প্রতি আমাদের নিজেদের সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বিশ্লেষণ করতে গেলে প্রাচীন মিশর একটি কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনফেডারেট স্মৃতিস্তম্ভ এবং দাসপ্রথা বা উপনিবেশবাদের সুবিধাভোগীদের স্মৃতিস্তম্ভের বিষয়ে যে উত্তপ্ত বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা সাংস্কৃতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখা বক্তাদের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে উসকে দিয়েছিল। যখন কেউ দাবি করে যে, কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই. লির কোনো মূর্তি ভেঙে ফেলতে হবে, তখন প্রথাগত ব্যবস্থার সমর্থকেরা পাল্টা জবাব দেয়, ‘তাহলে পিরামিডগুলোও ভেঙে ফেলুন।’ এর ফলে প্রায়শই মিসরবিদদের অনেকে রাজাদের সমাধিসৌধ রক্ষায় তৎপর হয়ে বলেন, ‘এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো দাসদের দ্বারা নয়, মিসরের জনগণের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল!’
তবে এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, উভয় অবস্থানই একটি স্বৈরাচারী শাসনের পক্ষে কথা বলে। জিম ক্রোর মূর্তি এবং মিসরের পিরামিড একই পুরুষতান্ত্রিক দমনমূলক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের মধ্যে ব্যবধান কেবল হাজার বছর। এই দুটি স্থাপনা মিসরের দেহে খোদাই করা গভীর ক্ষত লুকিয়ে রেখেছে এবং মার্কিন সমাজেও দাগ কেটেছে। আর দাসত্ব এবং অর্থের বিনিময়ে শ্রমের মধ্যে পার্থক্য অর্থহীন হয়ে ওঠে যদি উভয় ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের কাজে বাধ্য করা হয়।
ভুল করবেন না: মিসরের পিরামিডগুলো নির্মিত হয়েছিল—কারণ রাজাদের এগুলোর প্রয়োজন ছিল। ঠিক যেমনটি কনফেডারেট সেনাবাহিনীর বীর জেনারেলদের অশ্বারোহী মূর্তিগুলো তৈরি হয়েছিল ক্ষমতা হারানোর পর একটি দমনমূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে। তবে কোনো ধরনের স্মৃতিস্তম্ভই চরম শক্তির প্রতীক নয়; কনফেডারেট মূর্তি এবং পিরামিড উভয়ই এমন একধরনের রাজনৈতিক প্রচারাভিযানের প্রতিনিধিত্ব করে, যা অনিরাপদ বিষাক্ত পুরুষতন্ত্রের পরিচায়ক। এটি তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া এবং মানুষের কাছে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্বের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তারই ফল, যেন তা হারিয়ে না যায়।
আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি পিরামিড ধ্বংস করার পক্ষে নই, যেমনটি আমি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের নিপীড়ন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে এমন মূর্তি গলিয়ে ফেলতেও বলছি না। আমি বলছি—এগুলোকে পুনর্বিন্যাস করার পক্ষে, এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার পক্ষে যা আমাদের দেখায় কীভাবে এসব স্মৃতিস্তম্ভ সেখানকার ক্ষমতা কাঠামোর ওপর ছায়া ফেলছে।
অনুবাদ: আব্দুর রহমান
ভারতের সঙ্গে বিএনপির অতীতের ঝামেলাপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ওপর ভারতের প্রভাব কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক পররাষ্ট্রনীতির পদক্ষেপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণে ভারতের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বেশ
১৭ ঘণ্টা আগেযদিও রাশিয়া ও চীন শেখ হাসিনার সমর্থক ছিল, তবে বাংলাদেশিরা ভারত সরকারকে সবচেয়ে বেশি দায়ী মনে করে। অন্যদের তুলনায় ভারতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সবচেয়ে সক্রিয় হস্তক্ষেপকারী এবং শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্লজ্জ রক্ষাকর্তা হিসেবে দেখা হয়...
২ দিন আগেভারতের প্রজনন হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ১৯৫০ সালে দেশটিতে যেখানে প্রত্যেক নারী গড়ে ৫ দশমিক ৭টি হারে সন্তান জন্ম দিতেন, তা বর্তমানে ২—এ নেমে এসেছে। ভারতের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রজনন হার এমন স্তরের নেমে গেছে যা আগামী কয়েক দশক অব্যাহত থাকলে দেশটির জনসংখ্যা আরও স্থিতিশীল থাকবে না, কমতে শুর
২ দিন আগেবাংলাদেশি হিন্দুরা প্রকৃতপক্ষে কতটা সহিংসতার শিকার হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা কঠিন। এই সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভুয়া খবরের যুগে প্রতিটি খবরকেই সন্দেহের চোখে দেখা উচিত। ‘গণহত্যা’ শব্দটি অবশ্যই অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দাবি। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে অধ্যয়নকারী হিসেবে আমি বলতে পারি যে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যা পড়
৩ দিন আগে