অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের মজার দিক হলো- নিজেদের দিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কখনও কখনও তাঁরা সেখানে অংশই নেন না। সম্ভবত সে কৌশলই নিয়েছেন চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নেতা সি চিন পিং। ভারতে চলমান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও যোগ দিচ্ছেন না। জোটের প্রভাবশালী দুটি দেশের শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতি সম্মেলনকে অনেকটা তাৎপর্যহীন করে দিয়েছে।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে শুরু হওয়া জি-২০ শীর্ষ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। রাশিয়ার পক্ষে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। দুটি দেশই যে এই মুহূর্তে জি-২০ শীর্ষ জোটকে পাত্তা দিচ্ছে না তা অনেকটা স্পষ্ট।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অনুপস্থিত থেকে সি হয়তো চীন-ভারত সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিয়ে এবং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লিকে ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার জবাব হিসেবে মোদিকে কড়া বার্তা দিতে চান। আবার চীনের অর্থনৈতিক সংকট এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কারণে তিনি ঘর ছাড়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না- এমনটাও হতে পারে।
চীন যদি অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তা সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করবে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই অর্থনৈতিক জোটের নেতাদের আলোচনা করার যে সুযোগ ছিল, সি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে না থাকায় তা হাতছাড়া হলো। এমন পরিস্থিতি বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকট ত্বরান্বিত করতে পারে।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক ড. ব্রুস জোনস বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বা বিশ্বব্যাংকের বিপরীতে জি-২০ এর মতো একটি গোষ্ঠীর মূল সক্ষমতা সত্যিকার অর্থে সদস্য দেশগুলোর প্রধানদের ওপর নির্ভরশীল। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মতো বহুপক্ষীয় আয়োজনের মূল কাজ হয় মূলত দ্বিপক্ষীয় ও ব্যক্তিগত বৈঠকগুলোতে। তাই কোনো নেতা এখানে উপস্থিত না থাকলে বিষয়গুলোর কোনোটিই অর্জন করতে পারবেন না।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সাধারণত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। এবার তিনি উপস্থিত না থাকায় ইউক্রেন সংকটে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সবচেয়ে জরুরি আলোচনার সুযোগ বন্ধ হল। তবে পুতিন কেন ভারতের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন নেই সেটাই বড় প্রশ্ন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দহরম-মহরম বেশি হলেও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মোটেই খারাপ নয়। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে তার বিদেশে না যাওয়ার বিষয়টিও এখানে প্রযোজ্য নয়। কারণ ভারত এ আদালতের সদস্য না হওয়ায় পরোয়ানা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক নয়।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত না থাকলেও আগামী রোববার ভ্লাদিভস্টকে অনুষ্ঠেয় ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন পুতিন। সেখানে তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এবারে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ কিছু চায় না পুতিন। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের নিন্দা প্রস্তাব যাতে পাশ না হয়, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে। আর মার্কিনিদের বিশ্বাস- ঝানু কূটনীতিবিদ হিসেবে লাভরভ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুতিনের স্বার্থ হাসিলের অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়েছেন। সেটা তিনি এবারও করবেন।
তবে পুতিনের উপস্থিতি জোটের অনেক নেতার জন্যই অস্বস্তির হতে পারত। তাদের অনেকেই হয়তো এমন একজনের সঙ্গে ছবি তুলতে চান না, যে কিনা তাদের ওপর একটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। পুতিনবিহীন সম্মেলনেও অনেকে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কারণ, সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান সেখানে থাকবেন সম্মেলনে। সৌদি আরবের এই অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ আছে।
তবে মোহাম্মদ বিন সালমান মোটেও পুতিনের অবস্থানে নেই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুজনের মধ্যে উষ্ণ মুষ্ঠামুষ্ঠিও হয়েছে। বাইডেন হয়তো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি তুলবেন। এর বাইরে বিশ্বের জ্বালানি বাজার এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সৌদি আরব তথা মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রভাবের আলোকেও নির্দিষ্ট প্রস্তাব তিনি দিতে পারেন। বলা হচ্ছে, এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যকে যুক্ত করার লক্ষ্যে রেলপথে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিতে পারে। ফলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চে অনেকটা স্পটলাইট পড়বে মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর।
এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও নেই। তবে এই সম্মেলনে তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারেন। আগের সম্মেলনেও ভার্চুয়ালি ছিলেন তিনি। এই সম্মেলনের মঞ্চ পশ্চিমা বিশ্বের বাইরের দেশগুলোর কাছেও ইউক্রেনের জন্য সহায়তা চাওয়ার বড় ক্ষেত্র হিসেবে ধরা দিতে পারে তাঁর কাছে। তবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের চরিত্র যতটা না নিরাপত্তাকেন্দ্রিক তার চেয়ে বেশি অর্থনীতিকেন্দ্রিক। ফলে ব্রুস জোনসের মত, এই মঞ্চ জেলেনস্কির সাহায্য চাওয়ার জন্য আদর্শ নয়।
সি-পুতিনের অনুপস্থিতি নিয়ে আয়োজক ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর বলেছেন, তাতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেমে থাকবে না এবং বিষয়টি অস্বাভাবিকও নয়। তবে সম্মেলন যে নিষ্প্রভ হবে সে বিষয়ে দ্বিমত করার সুযোগ কম। তবে তারপরও এই সম্মেলনে পাদপ্রদীপের আলো থাকবে বাইডেনসহ আরও বেশ কয়েকজনের ওপর। বাইডেন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিদ্যমান বৈশ্বিক ব্যবস্থার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরবেন। তিনি হয়তো প্রমাণ করা চেষ্টা করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থা অনেক বেশি অগ্রগামী ও নমনীয় এবং চীনের তুলনায় অনেক বেশি কম বল প্রয়োগকারী।
এ সম্মেলনে আরও একজন আলোচনায় থাকতে পারেন—তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কারণ, পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে পুতিনের কাছে কোনো বার্তা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম তিনি। এ ছাড়া ন্যাটো জোটের কার্যক্রম পরিচালনা, জ্বালানি তেলের দাম কমাতে আরব দেশগুলোকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রেও এরদোয়ান কাজে লাগতে পারেন। সব মিলিয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এরদোয়ান সবার জন্যই আদর্শ। তাই এ সম্মেলনে তাঁর ওপরও স্পটলাইট থাকবে।
সম্প্রতি এরদোয়ান ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণ সাগর শস্য রপ্তানি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পুতিন নেতিবাচক জবাব দিলেও হাল ছাড়েননি এরদোয়ান। ফলে জি-২০ শীর্ষ মঞ্চ পুতিনকে চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জন্য বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তবে পুতিনের অনুপস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের সমাধানে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম পলিটিকো থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
বিশ্বনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের মজার দিক হলো- নিজেদের দিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কখনও কখনও তাঁরা সেখানে অংশই নেন না। সম্ভবত সে কৌশলই নিয়েছেন চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নেতা সি চিন পিং। ভারতে চলমান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও যোগ দিচ্ছেন না। জোটের প্রভাবশালী দুটি দেশের শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতি সম্মেলনকে অনেকটা তাৎপর্যহীন করে দিয়েছে।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে শুরু হওয়া জি-২০ শীর্ষ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। রাশিয়ার পক্ষে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। দুটি দেশই যে এই মুহূর্তে জি-২০ শীর্ষ জোটকে পাত্তা দিচ্ছে না তা অনেকটা স্পষ্ট।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অনুপস্থিত থেকে সি হয়তো চীন-ভারত সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিয়ে এবং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লিকে ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার জবাব হিসেবে মোদিকে কড়া বার্তা দিতে চান। আবার চীনের অর্থনৈতিক সংকট এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কারণে তিনি ঘর ছাড়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না- এমনটাও হতে পারে।
চীন যদি অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তা সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করবে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই অর্থনৈতিক জোটের নেতাদের আলোচনা করার যে সুযোগ ছিল, সি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে না থাকায় তা হাতছাড়া হলো। এমন পরিস্থিতি বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকট ত্বরান্বিত করতে পারে।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক ড. ব্রুস জোনস বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বা বিশ্বব্যাংকের বিপরীতে জি-২০ এর মতো একটি গোষ্ঠীর মূল সক্ষমতা সত্যিকার অর্থে সদস্য দেশগুলোর প্রধানদের ওপর নির্ভরশীল। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মতো বহুপক্ষীয় আয়োজনের মূল কাজ হয় মূলত দ্বিপক্ষীয় ও ব্যক্তিগত বৈঠকগুলোতে। তাই কোনো নেতা এখানে উপস্থিত না থাকলে বিষয়গুলোর কোনোটিই অর্জন করতে পারবেন না।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সাধারণত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। এবার তিনি উপস্থিত না থাকায় ইউক্রেন সংকটে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সবচেয়ে জরুরি আলোচনার সুযোগ বন্ধ হল। তবে পুতিন কেন ভারতের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন নেই সেটাই বড় প্রশ্ন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দহরম-মহরম বেশি হলেও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মোটেই খারাপ নয়। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে তার বিদেশে না যাওয়ার বিষয়টিও এখানে প্রযোজ্য নয়। কারণ ভারত এ আদালতের সদস্য না হওয়ায় পরোয়ানা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক নয়।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত না থাকলেও আগামী রোববার ভ্লাদিভস্টকে অনুষ্ঠেয় ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন পুতিন। সেখানে তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এবারে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ কিছু চায় না পুতিন। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের নিন্দা প্রস্তাব যাতে পাশ না হয়, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে। আর মার্কিনিদের বিশ্বাস- ঝানু কূটনীতিবিদ হিসেবে লাভরভ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুতিনের স্বার্থ হাসিলের অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়েছেন। সেটা তিনি এবারও করবেন।
তবে পুতিনের উপস্থিতি জোটের অনেক নেতার জন্যই অস্বস্তির হতে পারত। তাদের অনেকেই হয়তো এমন একজনের সঙ্গে ছবি তুলতে চান না, যে কিনা তাদের ওপর একটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। পুতিনবিহীন সম্মেলনেও অনেকে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কারণ, সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান সেখানে থাকবেন সম্মেলনে। সৌদি আরবের এই অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ আছে।
তবে মোহাম্মদ বিন সালমান মোটেও পুতিনের অবস্থানে নেই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুজনের মধ্যে উষ্ণ মুষ্ঠামুষ্ঠিও হয়েছে। বাইডেন হয়তো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি তুলবেন। এর বাইরে বিশ্বের জ্বালানি বাজার এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সৌদি আরব তথা মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রভাবের আলোকেও নির্দিষ্ট প্রস্তাব তিনি দিতে পারেন। বলা হচ্ছে, এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যকে যুক্ত করার লক্ষ্যে রেলপথে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিতে পারে। ফলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চে অনেকটা স্পটলাইট পড়বে মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর।
এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও নেই। তবে এই সম্মেলনে তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারেন। আগের সম্মেলনেও ভার্চুয়ালি ছিলেন তিনি। এই সম্মেলনের মঞ্চ পশ্চিমা বিশ্বের বাইরের দেশগুলোর কাছেও ইউক্রেনের জন্য সহায়তা চাওয়ার বড় ক্ষেত্র হিসেবে ধরা দিতে পারে তাঁর কাছে। তবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের চরিত্র যতটা না নিরাপত্তাকেন্দ্রিক তার চেয়ে বেশি অর্থনীতিকেন্দ্রিক। ফলে ব্রুস জোনসের মত, এই মঞ্চ জেলেনস্কির সাহায্য চাওয়ার জন্য আদর্শ নয়।
সি-পুতিনের অনুপস্থিতি নিয়ে আয়োজক ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর বলেছেন, তাতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেমে থাকবে না এবং বিষয়টি অস্বাভাবিকও নয়। তবে সম্মেলন যে নিষ্প্রভ হবে সে বিষয়ে দ্বিমত করার সুযোগ কম। তবে তারপরও এই সম্মেলনে পাদপ্রদীপের আলো থাকবে বাইডেনসহ আরও বেশ কয়েকজনের ওপর। বাইডেন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিদ্যমান বৈশ্বিক ব্যবস্থার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরবেন। তিনি হয়তো প্রমাণ করা চেষ্টা করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থা অনেক বেশি অগ্রগামী ও নমনীয় এবং চীনের তুলনায় অনেক বেশি কম বল প্রয়োগকারী।
এ সম্মেলনে আরও একজন আলোচনায় থাকতে পারেন—তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কারণ, পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে পুতিনের কাছে কোনো বার্তা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম তিনি। এ ছাড়া ন্যাটো জোটের কার্যক্রম পরিচালনা, জ্বালানি তেলের দাম কমাতে আরব দেশগুলোকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রেও এরদোয়ান কাজে লাগতে পারেন। সব মিলিয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এরদোয়ান সবার জন্যই আদর্শ। তাই এ সম্মেলনে তাঁর ওপরও স্পটলাইট থাকবে।
সম্প্রতি এরদোয়ান ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণ সাগর শস্য রপ্তানি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পুতিন নেতিবাচক জবাব দিলেও হাল ছাড়েননি এরদোয়ান। ফলে জি-২০ শীর্ষ মঞ্চ পুতিনকে চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জন্য বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তবে পুতিনের অনুপস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের সমাধানে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম পলিটিকো থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার
৯ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেখেয়ালি, সেটা আগা থেকেই সবার জানা। তবে দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এসেও তিনি অসংলগ্ন, অশ্লীল, স্বৈরতান্ত্রিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
৯ দিন আগেএবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত
৯ দিন আগেএই শহরের সমর্থকেরা, এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। শহরটিতে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সংযোগ সাধন করা হবে বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই শহরের মূল ধারণাটি আসলে জটিল। মূলত এই শহরকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে এটি একটি ‘অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে এবং ভারতে প্রবেশে একটি দুয়ার হি
১০ দিন আগে