অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর সকালে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আকস্মিক এ হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করবে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
সম্ভাব্য এই স্থল অভিযানের আগে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলের মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া কথিত দুটি মানবিক করিডর তৈরি করেছে তারা। ইসরায়েল দাবি করছে, মানবিক করিডরের মাধ্যমে হামলা শুরুর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা।
ইসরায়েলের এই ‘সরে যাওয়ার’ নির্দেশের পক্ষে সাফাই গাইতে এবং স্থল হামলার সম্মতি পেতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সফরের শুরুতে আজ রোববার মিসর যাচ্ছেন তিনি। সফরকালে তিনি মার্কিন প্রভাব দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করবেন।
এরপর আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার জেরুজালেম ও রামাল্লা সফর করবেন। ইসরায়েলের নবগঠিত ডানপন্থী সরকারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ব্লিঙ্কেনের সফর নিয়ে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানের ভয়াবহ সহিংস বাস্তবতায় এ সফর জরুরি হয়ে পড়েছিল।
ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিড্যান্ট প্যাটেল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা কমাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন।
এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ব্লিঙ্কেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গেও বৈঠক করবেন। মধ্যপ্রাচ্য সংকটে মিসরের ঐতিহ্যগত ভূমিকার কারণে সিসি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রে পরিণত হয়েছেন।
ইসরায়েল-গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত শুক্রবারের এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ভোরে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে রিয়াদ এলাকায় রাজকীয় খামারের বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে হোটেলে ফেরার সময় ব্লিঙ্কেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘খুবই ফলপ্রসূ ছিল।’
মানবিক করিডরের বিষয়ে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি সুরে বলছেন, নিরীহ বেসামরিকদের সরে যাওয়ার জন্যই এই মানবিক করিডর তৈরি করা হয়েছে।
তবে মানবিক করিডর দিয়ে গাজার সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে দৌড়ঝাঁপ করছেন, সেটি সন্দেহজনক।
ফিলিস্তিনবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা আল-সাবাকার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইয়ারা হাওয়ারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, কথিত এই মানবিক করিডরের মাধ্যমে মূলত গাজাবাসীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার চেষ্টা করছেন ব্লিঙ্কেন।
ইয়ারা হাওয়ারি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য জায়গার রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন একটি মানবিক করিডর তৈরির ক্ষেত্রে জোর দেবেন...যুক্তরাষ্ট্র এটি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার জন্য একটি নিরাপদ পথ হিসেবে অভিহিত করছে। কিন্তু ভয় হলো, এটি কোনো মানবিক করিডর নয়। এর মাধ্যমে গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে মাতৃভূমি ছাড়া করার ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে।’
ইয়ারা হাওয়ারি আরও বলেছেন, ‘যুদ্ধ শেষে শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসার যে আন্তর্জাতিক আইন আছে, সেটির প্রতি ইসরায়েল সরকার কোনো সম্মান প্রদর্শন করে না। তাই যখন ইসরায়েলিদের বোমা হামলা শেষ হবে, তখন ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসতে পারবে না।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, সিবিএস, রয়টার্স, বাসস
ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর সকালে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আকস্মিক এ হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করবে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
সম্ভাব্য এই স্থল অভিযানের আগে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলের মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া কথিত দুটি মানবিক করিডর তৈরি করেছে তারা। ইসরায়েল দাবি করছে, মানবিক করিডরের মাধ্যমে হামলা শুরুর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা।
ইসরায়েলের এই ‘সরে যাওয়ার’ নির্দেশের পক্ষে সাফাই গাইতে এবং স্থল হামলার সম্মতি পেতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সফরের শুরুতে আজ রোববার মিসর যাচ্ছেন তিনি। সফরকালে তিনি মার্কিন প্রভাব দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করবেন।
এরপর আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার জেরুজালেম ও রামাল্লা সফর করবেন। ইসরায়েলের নবগঠিত ডানপন্থী সরকারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ব্লিঙ্কেনের সফর নিয়ে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানের ভয়াবহ সহিংস বাস্তবতায় এ সফর জরুরি হয়ে পড়েছিল।
ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিড্যান্ট প্যাটেল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা কমাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন।
এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ব্লিঙ্কেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গেও বৈঠক করবেন। মধ্যপ্রাচ্য সংকটে মিসরের ঐতিহ্যগত ভূমিকার কারণে সিসি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রে পরিণত হয়েছেন।
ইসরায়েল-গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত শুক্রবারের এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ভোরে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে রিয়াদ এলাকায় রাজকীয় খামারের বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে হোটেলে ফেরার সময় ব্লিঙ্কেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘খুবই ফলপ্রসূ ছিল।’
মানবিক করিডরের বিষয়ে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি সুরে বলছেন, নিরীহ বেসামরিকদের সরে যাওয়ার জন্যই এই মানবিক করিডর তৈরি করা হয়েছে।
তবে মানবিক করিডর দিয়ে গাজার সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে দৌড়ঝাঁপ করছেন, সেটি সন্দেহজনক।
ফিলিস্তিনবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা আল-সাবাকার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইয়ারা হাওয়ারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, কথিত এই মানবিক করিডরের মাধ্যমে মূলত গাজাবাসীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার চেষ্টা করছেন ব্লিঙ্কেন।
ইয়ারা হাওয়ারি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য জায়গার রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন একটি মানবিক করিডর তৈরির ক্ষেত্রে জোর দেবেন...যুক্তরাষ্ট্র এটি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার জন্য একটি নিরাপদ পথ হিসেবে অভিহিত করছে। কিন্তু ভয় হলো, এটি কোনো মানবিক করিডর নয়। এর মাধ্যমে গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে মাতৃভূমি ছাড়া করার ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে।’
ইয়ারা হাওয়ারি আরও বলেছেন, ‘যুদ্ধ শেষে শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসার যে আন্তর্জাতিক আইন আছে, সেটির প্রতি ইসরায়েল সরকার কোনো সম্মান প্রদর্শন করে না। তাই যখন ইসরায়েলিদের বোমা হামলা শেষ হবে, তখন ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসতে পারবে না।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, সিবিএস, রয়টার্স, বাসস
ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান। তাদের বৈঠকের টেবিলে দুই দেশের পতাকা সাজানো ছিল। কামরুল হাসান পাকিস্তানের অন্যান্য সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তাঁর এই সফরের প্রধান আকর্ষণ ছিল সেনাপ্রধা
২ দিন আগেপাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক কেমন হবে, সেই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আগেরবারের দেশ দুটিকে ঘিরে নীতিমালায় যে অসামঞ্জস্য ছিল, সেগুলো টিকে থাকবে নাকি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংগত হবে, তা লক্ষ্য করার বিষয়। এক্ষেত্রে ২০২৪ সালে উভয় দেশের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ একটা গুরুত্বপ
২ দিন আগেফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৫ মাস ধরে। এই সময়ে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডে প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে; আহত হয়েছে লক্ষাধিক। আর পুরো গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় শতভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ত্রিদেশীয় মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আশ
২ দিন আগেভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ও চিকিৎসাসেবা ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভারত বাংলাদেশে তাদের ভিসা...
২ দিন আগে