অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার পর থেকেই উত্তাল হংকং। এরপর ঢেলে সাজানো হয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থাও। বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার সব আয়োজনের পর প্রথমবারের মতো হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো রোববার। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন তাঁরাই, যাদের বেইজিং ‘দেশপ্রেমিক’ বলে মনে করে। তবে এই নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করছেন অধিকারকর্মী, বিদেশি সরকার এবং মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।
মূল ভূখণ্ড থেকে হংকংয়ের বিচ্ছিন্নতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রেট ব্রিটেন এবং চীনের মধ্যকার আফিম যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৬০)। সামরিক ও বাণিজ্য বিরোধের এই সময় চীন হংকং দ্বীপ এবং কাউলুনের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রেট ব্রিটেনের কাছে হারায়। ১৮৯৮ সালে ব্রিটেন হংকং উপনিবেশের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে চীনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায়। এর আওতায় হংকংসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নেয় ব্রিটেন। ১৯৯৭ সালে ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। সে সময়ে ব্রিটেন হংকংকে একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে চীনের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
‘এক দেশ, দুই নীতি’ ধারণার অধীনে চীন ব্রিটেনের এই সাবেক উপনিবেশ হংকংকে ৫০ বছরের জন্য স্বায়ত্তশাসন এবং অনেকগুলো স্বাধীন ব্যবস্থা বজায় রাখার অনুমতি দেয়।
হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা হংকংয়ের আইন সংশোধন করতে পারেন। তাঁরা বাজেট এবং কর অনুমোদন করে, শীর্ষ বিচারকদের নিয়োগ অনুমোদন করে ও হংকংয়ের সরকার প্রধানকে অভিশংসন করতে পারেন।
হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা চার বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। তবে করোনার কারণে এবার হংকংয়ের নির্বাচন এক বছর পেছানো হয়েছে।
গত মার্চে হংকংয়ের নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিবিধানে পরিবর্তন আনে চীন। ওই আইনে বলা হয়, শুধুমাত্র ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যক্তিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো-জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আইন প্রণেতার অনুপাত কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ৫০ শতাংশ প্রতিনিধি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতেন। সেটি এখন কমিয়ে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী, সমস্ত প্রার্থীকে এখন একটি পৃথক কমিটি দ্বারা যাচাই করা হবে। এতে যারা বেইজিংয়ের সমালোচনাকারী হিসেবে বিবেচিত তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
নতুন নিয়মে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি হংকংয়ের প্রশাসনে অনেক বেশি নিজেদের লোক নিয়োগ করতে পারবে। পার্টি নিজেদের সদস্য বাড়াতে পারবে, কমবে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা। নির্বাচন কমিটির সদস্য ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ করা হয়েছে। এই কমিটি সরাসরি পার্টি লাইন মেনে চলবে। আইনসভা বা লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের আসনসংখ্যা ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের সরাসরি মনোনীত সদস্যের সংখ্যা বাড়ছে। মাত্র ২০টি আসনে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেন প্রার্থীরা। ফলে বেইজিংয়ের সমালোচক বা বিরোধী জনপ্রতিনিধির সংখ্যা নিঃসন্দেহে কমে যাবে। নির্বাচন কমিটি হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাচন করবে।
এর থেকেই স্পষ্ট, গণতন্ত্রপন্থীদের হাত থেকে কার্যত পুরো ক্ষমতাই কেড়ে নেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হংকংয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ছে। চীনের এই নতুন আইনের কারণে গণতন্ত্রপন্থীদের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে জায়গা পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভে মূল নায়ক ছিলেন জোশুয়া ওং। তিনি বর্তমানে জেলে। তাঁর মতো অনেক জনপ্রিয় গণতন্ত্রপন্থী হংকংয়ের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি, কারণ তাঁরা চীন থেকে হংকংয়ের স্বাধীনতা চান। ফলে দেশপ্রেমিক নন।
হংকংয়ের বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লো কিন হেই বলেন, দলের পক্ষে প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই সময় চীনের পক্ষ থেকে চাপের কথাও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে ইঙ্গিত করেন লো কিন হেই।
হংকংয়ের অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতারা এখন নির্বাসনে আছেন অথবা পদত্যাগ করেছেন।
চীনের নতুন আইনের মারপ্যাঁচে এবার মাত্র তিনজন গণতন্ত্রপন্থী প্রার্থী হংকং নির্বাচনে অংশ নিতে পেরেছেন। যেখানে এর আগেরবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে গণতন্ত্রপন্থীদের ২৯টি আসন ছিল।
নতুন কালা কানুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করছে হংকং কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, আইনটি দেশপ্রেম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ছিল।
হংকংয়ের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের বয়ানে আস্থা রাখেন না। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহও কম। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালের পর হংকংয়ের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা ভোট দিতে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
জরিপে আরও দেখা যায়, বর্তমানে কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের সন্তোষ হংকংয়ে ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। বিদেশি কিছু কর্মী প্রতিবাদ হিসেবে হংকংবাসীদের ফাঁকা ব্যালট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য এমনটি করা হংকংয়ের আইনে অবৈধ। এটি জাতীয় নিরাপত্তা আইনেরও পরিপন্থী। এই আইনে হংকংয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকাল থেকে আট ঘণ্টায় সরকারি হিসাবেই মাত্র ২১ দশমিক ০২ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যেখানে ২০১৬ সালে ভোট পড়েছিল ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগের বছর ভোট পড়েছিল ৫৮ শতাংশ। আর ২০০০ সালে ভোট পড়ে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সে হিসাবে ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করার পর এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়ল।
জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার পর থেকেই উত্তাল হংকং। এরপর ঢেলে সাজানো হয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থাও। বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার সব আয়োজনের পর প্রথমবারের মতো হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো রোববার। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন তাঁরাই, যাদের বেইজিং ‘দেশপ্রেমিক’ বলে মনে করে। তবে এই নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করছেন অধিকারকর্মী, বিদেশি সরকার এবং মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।
মূল ভূখণ্ড থেকে হংকংয়ের বিচ্ছিন্নতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রেট ব্রিটেন এবং চীনের মধ্যকার আফিম যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৬০)। সামরিক ও বাণিজ্য বিরোধের এই সময় চীন হংকং দ্বীপ এবং কাউলুনের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রেট ব্রিটেনের কাছে হারায়। ১৮৯৮ সালে ব্রিটেন হংকং উপনিবেশের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে চীনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায়। এর আওতায় হংকংসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নেয় ব্রিটেন। ১৯৯৭ সালে ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। সে সময়ে ব্রিটেন হংকংকে একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে চীনের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
‘এক দেশ, দুই নীতি’ ধারণার অধীনে চীন ব্রিটেনের এই সাবেক উপনিবেশ হংকংকে ৫০ বছরের জন্য স্বায়ত্তশাসন এবং অনেকগুলো স্বাধীন ব্যবস্থা বজায় রাখার অনুমতি দেয়।
হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা হংকংয়ের আইন সংশোধন করতে পারেন। তাঁরা বাজেট এবং কর অনুমোদন করে, শীর্ষ বিচারকদের নিয়োগ অনুমোদন করে ও হংকংয়ের সরকার প্রধানকে অভিশংসন করতে পারেন।
হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা চার বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। তবে করোনার কারণে এবার হংকংয়ের নির্বাচন এক বছর পেছানো হয়েছে।
গত মার্চে হংকংয়ের নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিবিধানে পরিবর্তন আনে চীন। ওই আইনে বলা হয়, শুধুমাত্র ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যক্তিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো-জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আইন প্রণেতার অনুপাত কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ৫০ শতাংশ প্রতিনিধি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতেন। সেটি এখন কমিয়ে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী, সমস্ত প্রার্থীকে এখন একটি পৃথক কমিটি দ্বারা যাচাই করা হবে। এতে যারা বেইজিংয়ের সমালোচনাকারী হিসেবে বিবেচিত তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
নতুন নিয়মে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি হংকংয়ের প্রশাসনে অনেক বেশি নিজেদের লোক নিয়োগ করতে পারবে। পার্টি নিজেদের সদস্য বাড়াতে পারবে, কমবে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা। নির্বাচন কমিটির সদস্য ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ করা হয়েছে। এই কমিটি সরাসরি পার্টি লাইন মেনে চলবে। আইনসভা বা লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের আসনসংখ্যা ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের সরাসরি মনোনীত সদস্যের সংখ্যা বাড়ছে। মাত্র ২০টি আসনে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেন প্রার্থীরা। ফলে বেইজিংয়ের সমালোচক বা বিরোধী জনপ্রতিনিধির সংখ্যা নিঃসন্দেহে কমে যাবে। নির্বাচন কমিটি হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাচন করবে।
এর থেকেই স্পষ্ট, গণতন্ত্রপন্থীদের হাত থেকে কার্যত পুরো ক্ষমতাই কেড়ে নেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হংকংয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ছে। চীনের এই নতুন আইনের কারণে গণতন্ত্রপন্থীদের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে জায়গা পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভে মূল নায়ক ছিলেন জোশুয়া ওং। তিনি বর্তমানে জেলে। তাঁর মতো অনেক জনপ্রিয় গণতন্ত্রপন্থী হংকংয়ের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি, কারণ তাঁরা চীন থেকে হংকংয়ের স্বাধীনতা চান। ফলে দেশপ্রেমিক নন।
হংকংয়ের বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লো কিন হেই বলেন, দলের পক্ষে প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই সময় চীনের পক্ষ থেকে চাপের কথাও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে ইঙ্গিত করেন লো কিন হেই।
হংকংয়ের অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতারা এখন নির্বাসনে আছেন অথবা পদত্যাগ করেছেন।
চীনের নতুন আইনের মারপ্যাঁচে এবার মাত্র তিনজন গণতন্ত্রপন্থী প্রার্থী হংকং নির্বাচনে অংশ নিতে পেরেছেন। যেখানে এর আগেরবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে গণতন্ত্রপন্থীদের ২৯টি আসন ছিল।
নতুন কালা কানুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করছে হংকং কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, আইনটি দেশপ্রেম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ছিল।
হংকংয়ের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের বয়ানে আস্থা রাখেন না। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহও কম। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালের পর হংকংয়ের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা ভোট দিতে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
জরিপে আরও দেখা যায়, বর্তমানে কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের সন্তোষ হংকংয়ে ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। বিদেশি কিছু কর্মী প্রতিবাদ হিসেবে হংকংবাসীদের ফাঁকা ব্যালট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য এমনটি করা হংকংয়ের আইনে অবৈধ। এটি জাতীয় নিরাপত্তা আইনেরও পরিপন্থী। এই আইনে হংকংয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকাল থেকে আট ঘণ্টায় সরকারি হিসাবেই মাত্র ২১ দশমিক ০২ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যেখানে ২০১৬ সালে ভোট পড়েছিল ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগের বছর ভোট পড়েছিল ৫৮ শতাংশ। আর ২০০০ সালে ভোট পড়ে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সে হিসাবে ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করার পর এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়ল।
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
৮ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
১৬ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে