অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা একদিন হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে—স্লোগানটি নতুন করে হালে পানি পেয়েছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব নতুন নয়। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে শোরগোল উঠেছে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থবিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর এক প্রতিবেদন ঘিরে। এতে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা নতুন করে হালে পানি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টামণ্ডলীর (EAC-PM) তৈরি ‘শেয়ার অব রিলিজিয়াস মাইনরিটিস: আ ক্রস-কান্ট্রি অ্যানালাইসিস (১৯৫০-২০১৫)’ বা ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভাগ: আন্তর্দেশীয় বিশ্লেষণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ৭ মে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে প্রচারণা চলছে, ‘হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে ভারতে একদিন মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে।’
লোকসভা নির্বাচনের আবহের মধ্যে এই ধরনের প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দাবির পেছনে সবচেয়ে বড় যে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করা হয়, তা হলো সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিমরা সবচেয়ে এগিয়ে, তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ করে না। মোদির উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতিবেদন সেই দাবিকে কিছুটা হলেও ভিত্তি দিয়েছে। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী দেশটিতে হইচই পড়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিবেদনকে ভোটের ফায়দা লোটার চেষ্টা হিসেবে দেখছে বিরোধী শিবির। অন্য সমালোচকেরাও বলছেন, ভোটের আবহের মধ্যে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দিতে পারে।
মোদির উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতিবেদনে যা আছে
এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৬৭টি দেশের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার হিসাবে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর শতাংশের পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, এই ৬৫ বছরের ব্যবধানে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে ৭৮ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমেছে বা অর্থাৎ ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা একই সময়ে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু, প্রতিবেদনে কোনো সংখ্যা দেওয়া হয়নি। শুধু শতাংশের পরিবর্তন উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনা করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আরজেডির দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার আদমশুমারি না করে পুরোনো তথ্যের ভিত্তিতে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জ্বলন্ত ইস্যুগুলো থেকে নজর সরিয়ে হিন্দুত্ববাদী জিকির তুলে ভোট টানতেই মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলছেন, ‘১৯৭১ সালের পর ভোটব্যাংকের জন্য বিহারসহ গোটা দেশে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য ধর্মশালা খুলে দিয়েছে কংগ্রেস।’
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজীব রঞ্জন গিরি বলেন, ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য দীনেশ সিং এবং অজয় কুমার গাণিতিক মডেল তুলে ধরেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, হাজার বছর পরও ভারতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না যে মুসলিম জনসংখ্যা হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে।’
এই গাণিতিক মডেল অনুযায়ী, ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৩০ কোটি ৩৬ লাখ, যা ২০২১ সালে বেড়ে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ হয়েছে বলে অনুমান। ১৯৫১ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ৩ কোটি ৫৮ লাখ ছিল, যা ২০২১ পর্যন্ত ২১ কোটি ৩০ লাখ হয়েছে বলে অনুমান।
ভারতে শেষ হবে হিন্দু জনসংখ্যা?
‘ট্র্যাডিশন ইন হিন্দু অ্যান্ড মুসলিম পপুলেশন গ্রোথ রেটস: মিথ অ্যান্ড রিয়েলিটি’ নামে অধ্যাপক আরবি ভগতের এক গবেষণায় বলা হয়, ব্রিটিশ ভারতে প্রথমবার ১৯০১ সালে জনগণনার সময় ইংরেজ সরকার রটিয়ে দিয়েছিল, হিন্দুদের জন্মহার কমছে। প্রচার করা হয়েছিল, হিন্দুদের বিলুপ্তি আসন্ন। মুসলিমদের জন্মহার বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়। কারণ, একজন মুসলিম ব্যক্তির চারজন করে স্ত্রী থাকতে পারে। ফলে তাঁদের সন্তানের সংখ্যাও অনেক বেশি। কিন্তু এর কোনো ভিত্তি নেই।
সর্বশেষ শুমারির তথ্য তুলে ধরে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, হিন্দুদের চেয়ে মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার কম। ১৯৮১-১৯৯১ মেয়াদে মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার ছিল ৩২.৯ শতাংশ, যেটা ২০০১-১১ মেয়াদে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। এই হার হিন্দুদের চেয়ে বেশি, যেটা ছিল যথাক্রমে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, ১৯৫১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারির ডেটা পাওয়া যায়, যা এই ডেটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাস্তবে আশির দশকের পর মুসলিম জন্মহার লাগাতার কমেছে। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ, যা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে মুসলিমদের জনসংখ্যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশই রয়ে যায়। আবার ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে মুসলিমদের জনসংখ্যা ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল, যা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত দুই দশকে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হিন্দুদের তুলনায় বেশি কমেছে।
মুসলিম দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি?
দুনিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস। ভারতে মুসলিমদের জন্মহার ২ দশমিক ৪ শতাংশ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশে জন্মহার ২ দশমিক ২ শতাংশ, ইরানে জন্মহার ১ দশমিক ৮ শতাংশ। মুসলিমদের জন্মহার ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ, সৌদি আরবে ২ দশিমক ৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, হিন্দুদের মোট জন্মহার ২.০ শতাংশ। মুসলিমদের জন্মহার ২.৩ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হিন্দু ও মুসলিমদের জন্মহারের ফারাক ১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার মোট ১০ শতাংশ কমেছে।
ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা একদিন হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে—স্লোগানটি নতুন করে হালে পানি পেয়েছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব নতুন নয়। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে শোরগোল উঠেছে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থবিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর এক প্রতিবেদন ঘিরে। এতে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা নতুন করে হালে পানি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টামণ্ডলীর (EAC-PM) তৈরি ‘শেয়ার অব রিলিজিয়াস মাইনরিটিস: আ ক্রস-কান্ট্রি অ্যানালাইসিস (১৯৫০-২০১৫)’ বা ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভাগ: আন্তর্দেশীয় বিশ্লেষণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ৭ মে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে প্রচারণা চলছে, ‘হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে ভারতে একদিন মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে।’
লোকসভা নির্বাচনের আবহের মধ্যে এই ধরনের প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দাবির পেছনে সবচেয়ে বড় যে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করা হয়, তা হলো সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিমরা সবচেয়ে এগিয়ে, তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ করে না। মোদির উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতিবেদন সেই দাবিকে কিছুটা হলেও ভিত্তি দিয়েছে। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী দেশটিতে হইচই পড়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিবেদনকে ভোটের ফায়দা লোটার চেষ্টা হিসেবে দেখছে বিরোধী শিবির। অন্য সমালোচকেরাও বলছেন, ভোটের আবহের মধ্যে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দিতে পারে।
মোদির উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতিবেদনে যা আছে
এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৬৭টি দেশের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার হিসাবে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর শতাংশের পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, এই ৬৫ বছরের ব্যবধানে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে ৭৮ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমেছে বা অর্থাৎ ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা একই সময়ে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু, প্রতিবেদনে কোনো সংখ্যা দেওয়া হয়নি। শুধু শতাংশের পরিবর্তন উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনা করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আরজেডির দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার আদমশুমারি না করে পুরোনো তথ্যের ভিত্তিতে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জ্বলন্ত ইস্যুগুলো থেকে নজর সরিয়ে হিন্দুত্ববাদী জিকির তুলে ভোট টানতেই মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলছেন, ‘১৯৭১ সালের পর ভোটব্যাংকের জন্য বিহারসহ গোটা দেশে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য ধর্মশালা খুলে দিয়েছে কংগ্রেস।’
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজীব রঞ্জন গিরি বলেন, ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য দীনেশ সিং এবং অজয় কুমার গাণিতিক মডেল তুলে ধরেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, হাজার বছর পরও ভারতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না যে মুসলিম জনসংখ্যা হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে।’
এই গাণিতিক মডেল অনুযায়ী, ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৩০ কোটি ৩৬ লাখ, যা ২০২১ সালে বেড়ে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ হয়েছে বলে অনুমান। ১৯৫১ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ৩ কোটি ৫৮ লাখ ছিল, যা ২০২১ পর্যন্ত ২১ কোটি ৩০ লাখ হয়েছে বলে অনুমান।
ভারতে শেষ হবে হিন্দু জনসংখ্যা?
‘ট্র্যাডিশন ইন হিন্দু অ্যান্ড মুসলিম পপুলেশন গ্রোথ রেটস: মিথ অ্যান্ড রিয়েলিটি’ নামে অধ্যাপক আরবি ভগতের এক গবেষণায় বলা হয়, ব্রিটিশ ভারতে প্রথমবার ১৯০১ সালে জনগণনার সময় ইংরেজ সরকার রটিয়ে দিয়েছিল, হিন্দুদের জন্মহার কমছে। প্রচার করা হয়েছিল, হিন্দুদের বিলুপ্তি আসন্ন। মুসলিমদের জন্মহার বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়। কারণ, একজন মুসলিম ব্যক্তির চারজন করে স্ত্রী থাকতে পারে। ফলে তাঁদের সন্তানের সংখ্যাও অনেক বেশি। কিন্তু এর কোনো ভিত্তি নেই।
সর্বশেষ শুমারির তথ্য তুলে ধরে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, হিন্দুদের চেয়ে মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার কম। ১৯৮১-১৯৯১ মেয়াদে মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার ছিল ৩২.৯ শতাংশ, যেটা ২০০১-১১ মেয়াদে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। এই হার হিন্দুদের চেয়ে বেশি, যেটা ছিল যথাক্রমে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, ১৯৫১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারির ডেটা পাওয়া যায়, যা এই ডেটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাস্তবে আশির দশকের পর মুসলিম জন্মহার লাগাতার কমেছে। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ, যা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে মুসলিমদের জনসংখ্যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশই রয়ে যায়। আবার ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে মুসলিমদের জনসংখ্যা ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল, যা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত দুই দশকে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হিন্দুদের তুলনায় বেশি কমেছে।
মুসলিম দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি?
দুনিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস। ভারতে মুসলিমদের জন্মহার ২ দশমিক ৪ শতাংশ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশে জন্মহার ২ দশমিক ২ শতাংশ, ইরানে জন্মহার ১ দশমিক ৮ শতাংশ। মুসলিমদের জন্মহার ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ, সৌদি আরবে ২ দশিমক ৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, হিন্দুদের মোট জন্মহার ২.০ শতাংশ। মুসলিমদের জন্মহার ২.৩ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হিন্দু ও মুসলিমদের জন্মহারের ফারাক ১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার মোট ১০ শতাংশ কমেছে।
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে