মারুফ ইসলাম
তারপর একদিন সকলি ফুরায়। যেতে যেতে থেমে যায় জীবন। আমরা বলি মৃত্যু। তবু কিছু কিছু মৃত্যু জীবনেরও অধিক। যেন মৃত্যুর পরেই জন্মটা পরিপূর্ণ হয়!
সমরেশ মজুমদার মারা গেলেন। আসলে মারা গেলেন না, বরং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পুনর্জন্ম লাভ হলো তাঁর। তিনি তো তাঁর অমরত্ব বহু আগেই খোদাই করেছেন কালবেলা, কালপুরুষ আর উত্তরাধিকারের মধ্য দিয়ে। তাঁর আবার মরণ কিসের?
তবু অ্যাপোলো হাসপাতালের পশ্চিমের আকাশ আজ সন্ধ্যায় একটু বেশিই বিষণ্ন ছিল। জলপাইগুড়ির চা বাগানের পাতায় পাতায় জমেছিল ঘন বিষাদ। কে জানে, মাধবীলতা হতে চেয়ে নিষ্ফল বিপ্লবের আড়ালে হারিয়ে গেছে যে মেয়েটি, সে হয়ত আজ সন্ধ্যে পৌনে ছয়টায় ডুকরে কেঁদে উঠেছিল। আমরা তার খবর রাখিনি।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টাতেই যে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী লেখক সমরেশ মজুমদার অ্যাপোলো হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করছেন! তাঁর শোকে বাংলা সাহিত্যের আকাশ মুহ্যমান হবে না, তা কি হয়!
বিশেষ করে আমরা যারা ‘নাইনটিজের কিডস’ কিংবা নব্বইয়ের প্রজন্ম, তারা যে মুহ্যমান, তা হলফ করেই বলা যায়। নিরেট দুর্জনও স্বীকার করবেন, এই প্রজন্মের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন সমরেশ। বলা চলে শাসনই করেছেন।
বাঙালি শাসনপ্রিয় জাতি। সত্তরের দশক থেকে বাংলা সাহিত্যকে বলা যায় এক প্রকার শাসনই করেছেন সমরেশ।
নব্বই এক অদ্ভুত সময়। ওই সময়ে কলকাতার বাংলা সাহিত্য শাসন করেছেন সুনীল-সমরেশ-শীর্ষেন্দু। আর গানের জগৎ শাসন করেছেন সুমন-অঞ্জন-নচিকেতা। এই ত্রয়ীদের গল্প আর গানে রীতিমতো উন্মাতাল ছিল নব্বই দশক।
সাহিত্য জগতের সেই শাসকদের দুজন বিদায় নিলেন। রইল বাকি হারাধনের একটি ছেলে—শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
শীর্ষেন্দু আজ বড় বিহ্বল। তিনি প্রায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোকে বলছিলেন, ‘বড্ড ক্ষতি হয়ে গেল। বড্ড ক্ষতি। সাহিত্যের ক্ষতি তো হলোই, ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজেরও ক্ষতি হলো। পরিচয় তো আর আজকের না। ও (সমরেশ) সাহিত্যিক হয়ে ওঠারও আগে থেকে আমার কাছে আসত। কত গল্প কত আড্ডা একসঙ্গে দিয়েছি আমরা। আহা!’
এই ‘আহা’ বলে আক্ষেপ করে ওঠার মতো একটা ব্যাপার ছিল সমরেশের প্রতিটি উপন্যাসে। অনিমেষ, মাধবীলতার জন্য বুকের ভেতর ‘আহা’ করে ওঠেনি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া ভার। এই বাংলার কত শত তরুণী দীপাবলি হতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘আহা’ বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে, তার হিসাব মেলা ভার।
হুমায়ূন আহমেদ যেমন আমাদের চিনিয়েছেন বৃষ্টি, মেঘমালা, ফিনিক ফোঁটা জোছনা, চান্নি পশর রাত, তেমনি সমরেশ আমাদের চিনিয়েছেন জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স, চা বাগান, নকশালবাড়ি আন্দোলন, বিপ্লব, প্রেম, উত্তরবঙ্গ আর আত্মত্যাগ। আমাদের নব্বই পরবর্তী প্রজন্মের চিন্তার মধ্যে যে লিবারেলিজমের উত্থান, সেটিও চিনিয়েছেন সমরেশ।
বাংলা ভাষায় লিখেও যে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করা যায়, তার সর্বশেষ উদাহরণ সম্ভবত সমরেশই হয়ে থাকবেন।
তিনি তাঁর কালজয়ী ত্রয়ী কালবেলা-কালপুরুষ-উত্তরাধিকার লিখেছিলেন সেই আশির দশকে। অথচ এই ২০২৩ সালে, এত বছর পরেও ফেসবুকের সাহিত্য বিষয়ক গ্রুপগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই কালবেলা-কালপুরুষ-উত্তরাধিকারের আলোচনা দেখা যায়। একজন লেখকের কলমে কতটা শক্তি থাকলে দশকের পর দশক ধরে প্রতিটি প্রজন্মকে এভাবে বিমোহিত করে রাখা যায়!
সেই যে জলপাইগুড়ির গয়াকাটির চা বাগানে শৈশব কৈশোর কাটিয়ে ‘বাবলু’ নামের ছেলেটা ষাটের দশকে উঠে এলেন কলকাতায়, তারপর স্কটিশ স্কুল (স্কুলের পুরো নাম মনে নেই), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ১৯৭৫ সালে দেশ পত্রিকায় দৌড় গল্পের মাধ্যমে ‘সমরেশ মজুমদার’ হয়ে ঢুকে পড়লেন বাঙালি পাঠকমনের অন্দরে, আর বের হলেন না। সময় যত গড়াতে থাকল, তিনি তত শিকড় বাকড় ছড়িয়ে দিতে থাকলেন। তাঁর মূল উৎপাটন আর সম্ভব নয়। তিনি যে অনিমেষ, মাধবীলতা, দীপাবলি, জয়িতা, সায়ন, অর্জুনসহ আরও অনেক অনেক নামের সৈন্য সামন্ত তৈরি করে গেছেন, তারাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।
কত শত তরুণ যে অনিমেষ হতে চেয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। কত শত তরুণী যে মাধবীলতা আর দীপাবলি হতে চেয়েছে, এবং এখনো চায়, তার শুমার নেই। কত হাজারো তরুণের অন্তরে প্রথম বিপ্লবের বারুদ উসকে উঠেছে সমরেশের বই পড়ে, তার হিসাব নেই।
এই সমরেশের কী মৃত্যু সম্ভব?
একবার কোনো এক শিক্ষক নাকি বাংলা ক্লাসে জিজ্ঞেস করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুদিবস কবে?
এক ছাত্র উত্তর দিল, ২২ শে শ্রাবণ স্যার।
শিক্ষক বললেন, গাধা, কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাক। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু নেই।
আজ থেকে বহু বছর পর কোনো এক শিক্ষক হয়তো ছাত্রদের জিজ্ঞেস করবেন, সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুদিবস কবে?
কোনো এক মেধাবী ছাত্র হয়তো বলবে, ৮ মে।
তখন সেই শিক্ষক যদি বলেন, গাধা, কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাক, সমরেশের মৃত্যু নেই, তবে সম্ভবত অত্যুক্তি হবে না।
তারপর একদিন সকলি ফুরায়। যেতে যেতে থেমে যায় জীবন। আমরা বলি মৃত্যু। তবু কিছু কিছু মৃত্যু জীবনেরও অধিক। যেন মৃত্যুর পরেই জন্মটা পরিপূর্ণ হয়!
সমরেশ মজুমদার মারা গেলেন। আসলে মারা গেলেন না, বরং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পুনর্জন্ম লাভ হলো তাঁর। তিনি তো তাঁর অমরত্ব বহু আগেই খোদাই করেছেন কালবেলা, কালপুরুষ আর উত্তরাধিকারের মধ্য দিয়ে। তাঁর আবার মরণ কিসের?
তবু অ্যাপোলো হাসপাতালের পশ্চিমের আকাশ আজ সন্ধ্যায় একটু বেশিই বিষণ্ন ছিল। জলপাইগুড়ির চা বাগানের পাতায় পাতায় জমেছিল ঘন বিষাদ। কে জানে, মাধবীলতা হতে চেয়ে নিষ্ফল বিপ্লবের আড়ালে হারিয়ে গেছে যে মেয়েটি, সে হয়ত আজ সন্ধ্যে পৌনে ছয়টায় ডুকরে কেঁদে উঠেছিল। আমরা তার খবর রাখিনি।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টাতেই যে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী লেখক সমরেশ মজুমদার অ্যাপোলো হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করছেন! তাঁর শোকে বাংলা সাহিত্যের আকাশ মুহ্যমান হবে না, তা কি হয়!
বিশেষ করে আমরা যারা ‘নাইনটিজের কিডস’ কিংবা নব্বইয়ের প্রজন্ম, তারা যে মুহ্যমান, তা হলফ করেই বলা যায়। নিরেট দুর্জনও স্বীকার করবেন, এই প্রজন্মের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন সমরেশ। বলা চলে শাসনই করেছেন।
বাঙালি শাসনপ্রিয় জাতি। সত্তরের দশক থেকে বাংলা সাহিত্যকে বলা যায় এক প্রকার শাসনই করেছেন সমরেশ।
নব্বই এক অদ্ভুত সময়। ওই সময়ে কলকাতার বাংলা সাহিত্য শাসন করেছেন সুনীল-সমরেশ-শীর্ষেন্দু। আর গানের জগৎ শাসন করেছেন সুমন-অঞ্জন-নচিকেতা। এই ত্রয়ীদের গল্প আর গানে রীতিমতো উন্মাতাল ছিল নব্বই দশক।
সাহিত্য জগতের সেই শাসকদের দুজন বিদায় নিলেন। রইল বাকি হারাধনের একটি ছেলে—শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
শীর্ষেন্দু আজ বড় বিহ্বল। তিনি প্রায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোকে বলছিলেন, ‘বড্ড ক্ষতি হয়ে গেল। বড্ড ক্ষতি। সাহিত্যের ক্ষতি তো হলোই, ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজেরও ক্ষতি হলো। পরিচয় তো আর আজকের না। ও (সমরেশ) সাহিত্যিক হয়ে ওঠারও আগে থেকে আমার কাছে আসত। কত গল্প কত আড্ডা একসঙ্গে দিয়েছি আমরা। আহা!’
এই ‘আহা’ বলে আক্ষেপ করে ওঠার মতো একটা ব্যাপার ছিল সমরেশের প্রতিটি উপন্যাসে। অনিমেষ, মাধবীলতার জন্য বুকের ভেতর ‘আহা’ করে ওঠেনি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া ভার। এই বাংলার কত শত তরুণী দীপাবলি হতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘আহা’ বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে, তার হিসাব মেলা ভার।
হুমায়ূন আহমেদ যেমন আমাদের চিনিয়েছেন বৃষ্টি, মেঘমালা, ফিনিক ফোঁটা জোছনা, চান্নি পশর রাত, তেমনি সমরেশ আমাদের চিনিয়েছেন জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স, চা বাগান, নকশালবাড়ি আন্দোলন, বিপ্লব, প্রেম, উত্তরবঙ্গ আর আত্মত্যাগ। আমাদের নব্বই পরবর্তী প্রজন্মের চিন্তার মধ্যে যে লিবারেলিজমের উত্থান, সেটিও চিনিয়েছেন সমরেশ।
বাংলা ভাষায় লিখেও যে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করা যায়, তার সর্বশেষ উদাহরণ সম্ভবত সমরেশই হয়ে থাকবেন।
তিনি তাঁর কালজয়ী ত্রয়ী কালবেলা-কালপুরুষ-উত্তরাধিকার লিখেছিলেন সেই আশির দশকে। অথচ এই ২০২৩ সালে, এত বছর পরেও ফেসবুকের সাহিত্য বিষয়ক গ্রুপগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই কালবেলা-কালপুরুষ-উত্তরাধিকারের আলোচনা দেখা যায়। একজন লেখকের কলমে কতটা শক্তি থাকলে দশকের পর দশক ধরে প্রতিটি প্রজন্মকে এভাবে বিমোহিত করে রাখা যায়!
সেই যে জলপাইগুড়ির গয়াকাটির চা বাগানে শৈশব কৈশোর কাটিয়ে ‘বাবলু’ নামের ছেলেটা ষাটের দশকে উঠে এলেন কলকাতায়, তারপর স্কটিশ স্কুল (স্কুলের পুরো নাম মনে নেই), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ১৯৭৫ সালে দেশ পত্রিকায় দৌড় গল্পের মাধ্যমে ‘সমরেশ মজুমদার’ হয়ে ঢুকে পড়লেন বাঙালি পাঠকমনের অন্দরে, আর বের হলেন না। সময় যত গড়াতে থাকল, তিনি তত শিকড় বাকড় ছড়িয়ে দিতে থাকলেন। তাঁর মূল উৎপাটন আর সম্ভব নয়। তিনি যে অনিমেষ, মাধবীলতা, দীপাবলি, জয়িতা, সায়ন, অর্জুনসহ আরও অনেক অনেক নামের সৈন্য সামন্ত তৈরি করে গেছেন, তারাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।
কত শত তরুণ যে অনিমেষ হতে চেয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। কত শত তরুণী যে মাধবীলতা আর দীপাবলি হতে চেয়েছে, এবং এখনো চায়, তার শুমার নেই। কত হাজারো তরুণের অন্তরে প্রথম বিপ্লবের বারুদ উসকে উঠেছে সমরেশের বই পড়ে, তার হিসাব নেই।
এই সমরেশের কী মৃত্যু সম্ভব?
একবার কোনো এক শিক্ষক নাকি বাংলা ক্লাসে জিজ্ঞেস করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুদিবস কবে?
এক ছাত্র উত্তর দিল, ২২ শে শ্রাবণ স্যার।
শিক্ষক বললেন, গাধা, কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাক। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু নেই।
আজ থেকে বহু বছর পর কোনো এক শিক্ষক হয়তো ছাত্রদের জিজ্ঞেস করবেন, সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুদিবস কবে?
কোনো এক মেধাবী ছাত্র হয়তো বলবে, ৮ মে।
তখন সেই শিক্ষক যদি বলেন, গাধা, কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাক, সমরেশের মৃত্যু নেই, তবে সম্ভবত অত্যুক্তি হবে না।
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
২ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৩ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২০ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২০ দিন আগে