সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে। হোটেলের দু-একজন কর্মচারী যাঁরা জেনেছিলেন, আমরা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা এসে শেষবারের মতো খোঁজ নিয়ে গেলেন। বাস দুপুর আড়াইটায়। এর আগে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা প্রস্তুত। খেতে তো আর ওইভাবে পারছিলাম না তখনো। তবু যতটুকু পারলাম খেলাম। ২টার আগেই কিংশুকদা চলে এসেছিলেন আমাদের বিদায় জানাতে।
তিনি হোটেল থেকে চেকআউটের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। অসুস্থ ভুবনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দিলেন না। আমাদের তল্পিতল্পা বাসে ওঠাতেও সাহায্য করলেন কিংশুকদা। বাসে উঠলে পরে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মানুষটার উপকার আমরা সারা জীবনেও ভুলব না। কী অদ্ভুত! আমি আমার যে সহকর্মীকে কোনো দিন সামনাসামনি দেখিনি, শুধু ই-মেইলে কথা হয়, সেই নারীর ভাইকে তো চেনার প্রশ্নই ছিল না। অথচ দুই দিনে এই মধ্যবয়স্ক মানুষটা কেমন যেন মায়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে আমরা ভিনদেশের অচেনা-অজানা নাগরিক ছিলাম। এতখানি ভালোবাসা কি আমরা প্রাপ্য ছিলাম? থেকে থেকে আমার শুধু ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল।
বাস ছেড়ে দেওয়ার আগমুহূর্তে আমাদের আসন বদলে দেওয়া হলো। এবার জানালার কাচে কালো স্টিকার লাগানো। মনটা খারাপ হয়ে গেল বাইরের কিছু দেখতে পারব না বলে। জানালাগুলো খোলাও যায় না, একেবারে বন্ধ। যাকে বলে ‘ফিক্সড’। বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে দেখা যায়। কোনো স্টিকার নেই। আমি সারা পথ উঁকিঝুঁকি মেরে বিপরীত দিকের জানালাগুলো দিয়ে তাকানোর চেষ্টা করছিলাম। বাইরের দৃশ্য দেখা আমার অভ্যাস। ভ্রমণে এটাই তো সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার। বিপরীত দিকের জানালা দিয়ে দেখতে কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছুক্ষণ পরপরই তাকাচ্ছিলাম। সেই মন্দির, প্রতিমা, হোটেল, বাড়ি, চা-বাগান, ট্রাক—এসব দেখতে দেখতে ঘণ্টা তিনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চেংড়াবান্ধা সীমান্তে। এবার আমাদের ছেড়ে দিতে খুব বেশি সময় নিল না ভারত।
বেঁচে যাওয়া রুপিগুলো টাকায় ভাঙিয়ে নিলাম। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিতে গিয়ে আটকে গেলাম। ৪০০ করে টাকা না দিলে দুইটা পাসপোর্ট ছাড়ছিল না। আমার তো মেজাজ তখন তুঙ্গে চড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা বলা শুরু করব, তার আগেই ভুবন আমার চেহারা-নকশা দেখে থামিয়ে দিল। গলা নামিয়ে বলল, ‘প্লিজ কিছু বোলো না। শান্ত থাকো। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নইলে ঝামেলা করবে। পরে আর পাসপোর্ট পাবে না।’ যে লোকটা টাকা চাইলেন, তিনি নিজেও আমাকে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে এটা নিয়ম মাফিক নেওয়া হচ্ছে, কোনো উপরি নয়। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত সন্দেহ রয়েই গেল। যাই হোক, টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম। প্রবেশ করলাম আমার দেশে।
চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঢুকলাম রংপুরের পাটগ্রামে। এবার আর ইমিগ্রেশন সেন্টারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল না। চলে গেলাম শ্যামলীর বাস কাউন্টারে। আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। ভুবন খেতে চাইছিল না। ওর ধারণা ছিল, খেলেই বমি হয়ে যাবে। তবু আগের হোটেলটায় খেতে বসলাম। আমি গোগ্রাসে খেলাম ভাত আর মুরগি। বেশ তৃপ্তি নিয়ে। মনে হচ্ছিল হাজার বছর ধরে পেটে কিছু ঢোকেনি। কিন্তু ভুবন এবারও তেমন খেতে পারল না। মাগরিবের সময়টা পার হয়ে গেলে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। আবার সেই পিচ্ছিল আসনে বসতে হলো। আমরা ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম। লাভ হয়নি তেমন। রাত ১২টার বিরতি। আগের মতো আবার একই জায়গায়। পঁচিশ মিনিটের বিরতির পর আবার বাসের চলা শুরু। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দিনের আলো ফুটে গেল। ভুবন চাঙা হয়ে উঠছিল।
কিন্তু আমি নেতিয়ে পড়ছিলাম আবার। সাড়ে ৭টা কি ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে গেলাম। নাশতা সেরে দিলাম ঘুম। উঠলাম একেবারে বিকেলে। খেয়েদেয়ে ঘুম। রাতে উঠে আবার খাওয়া, আবার ঘুম। কেমন করে যে একটা দিন ঘুমে ঘুমে কেটে গেল, বলতেই পারব না দুজনের একজনও। হয়তো খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম। ভুবন সেদিন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ঠিকই বলেছিল, বাসায় গেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি কেন জানি আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। পরদিন সকালে আমার শাশুড়ি এলেন। তিনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বললেন, ‘তোমার হাত লাল কেন? সারা শরীরে কী এমন হয়েছে?’
আমি খেয়াল করে দেখলাম আসলেই লালচে ছোপ পড়েছে সারা গায়ে। মা ভুবনকে বললেন, ‘আজকেই ডাক্তার দ্যাখায় আনো ওকে। একটুও দেরি করবা না।’ মা চলে গেলেন বিকালে। টলতে টলতে সন্ধ্যায় পাড়ার এক ডাক্তার দেখিয়ে এলাম ভুবনের সঙ্গে। জানলাম, র্যাশ হয়েছে। তাঁর দেওয়া ওষুধ দুই-তিন দিন খেয়ে কাজ হচ্ছিল না। চুলকানি বাড়তে লাগল। সঙ্গে র্যাশও। মা ফোনে বললেন চর্মরোগের ডাক্তার দেখাতে। আমার বাবার চেনা এক ডাক্তারকে পরদিন দেখাতে গেলাম। তিনি দেখে বললেন, ‘প্যারাসিটামলের রিঅ্যাকশন।’ তার মানে, ইচ্ছামতো আবোল-তাবোল প্যারাসিটামল যে খেয়েছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, সেটার ফলাফল। মাসুম ভাই হয়তো ভালো মনে করেই ওষুধ দিয়েছিলেন। হয়তো হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার ওই কর্মচারীটাও আমার ক্ষতি চায়নি। ভুবনও তো সুস্থ হওয়ার জন্য কিনে এনেছিল ভারতীয় কোনো একটা প্যারাসিটামল। শিক্ষা হলো, আর কোনো দিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গিলব না।
দশ দিনের ওষুধ আর রক্ত পরীক্ষা লিখে দিলেন ডাক্তার। বুঝিয়ে দিলেন রিপোর্ট ভালো হলে আর দেখানোর দরকার নেই। ওষুধেই ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রক্ত দিলাম। পরদিন ভুবন রিপোর্ট নিয়ে এসেছিল। ডাক্তার যেই শঙ্কার কথা বলেছিলেন, তেমন কিছু নেই। শুধু র্যাশটাই যা ক্ষতি করছিল। ওষুধ খেতে লাগলাম। চুলকানির জন্য একটা মলম লাগাতে দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেটাও ব্যবহার করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। র্যাশগুলো মলিন হওয়া শুরু করল। সেই সঙ্গে সিকিম আর শিলিগুড়ির স্মৃতিও।
[সমাপ্ত]
আরও খবর পড়ুন:
সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে। হোটেলের দু-একজন কর্মচারী যাঁরা জেনেছিলেন, আমরা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা এসে শেষবারের মতো খোঁজ নিয়ে গেলেন। বাস দুপুর আড়াইটায়। এর আগে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা প্রস্তুত। খেতে তো আর ওইভাবে পারছিলাম না তখনো। তবু যতটুকু পারলাম খেলাম। ২টার আগেই কিংশুকদা চলে এসেছিলেন আমাদের বিদায় জানাতে।
তিনি হোটেল থেকে চেকআউটের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। অসুস্থ ভুবনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দিলেন না। আমাদের তল্পিতল্পা বাসে ওঠাতেও সাহায্য করলেন কিংশুকদা। বাসে উঠলে পরে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মানুষটার উপকার আমরা সারা জীবনেও ভুলব না। কী অদ্ভুত! আমি আমার যে সহকর্মীকে কোনো দিন সামনাসামনি দেখিনি, শুধু ই-মেইলে কথা হয়, সেই নারীর ভাইকে তো চেনার প্রশ্নই ছিল না। অথচ দুই দিনে এই মধ্যবয়স্ক মানুষটা কেমন যেন মায়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে আমরা ভিনদেশের অচেনা-অজানা নাগরিক ছিলাম। এতখানি ভালোবাসা কি আমরা প্রাপ্য ছিলাম? থেকে থেকে আমার শুধু ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল।
বাস ছেড়ে দেওয়ার আগমুহূর্তে আমাদের আসন বদলে দেওয়া হলো। এবার জানালার কাচে কালো স্টিকার লাগানো। মনটা খারাপ হয়ে গেল বাইরের কিছু দেখতে পারব না বলে। জানালাগুলো খোলাও যায় না, একেবারে বন্ধ। যাকে বলে ‘ফিক্সড’। বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে দেখা যায়। কোনো স্টিকার নেই। আমি সারা পথ উঁকিঝুঁকি মেরে বিপরীত দিকের জানালাগুলো দিয়ে তাকানোর চেষ্টা করছিলাম। বাইরের দৃশ্য দেখা আমার অভ্যাস। ভ্রমণে এটাই তো সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার। বিপরীত দিকের জানালা দিয়ে দেখতে কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছুক্ষণ পরপরই তাকাচ্ছিলাম। সেই মন্দির, প্রতিমা, হোটেল, বাড়ি, চা-বাগান, ট্রাক—এসব দেখতে দেখতে ঘণ্টা তিনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চেংড়াবান্ধা সীমান্তে। এবার আমাদের ছেড়ে দিতে খুব বেশি সময় নিল না ভারত।
বেঁচে যাওয়া রুপিগুলো টাকায় ভাঙিয়ে নিলাম। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিতে গিয়ে আটকে গেলাম। ৪০০ করে টাকা না দিলে দুইটা পাসপোর্ট ছাড়ছিল না। আমার তো মেজাজ তখন তুঙ্গে চড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা বলা শুরু করব, তার আগেই ভুবন আমার চেহারা-নকশা দেখে থামিয়ে দিল। গলা নামিয়ে বলল, ‘প্লিজ কিছু বোলো না। শান্ত থাকো। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নইলে ঝামেলা করবে। পরে আর পাসপোর্ট পাবে না।’ যে লোকটা টাকা চাইলেন, তিনি নিজেও আমাকে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে এটা নিয়ম মাফিক নেওয়া হচ্ছে, কোনো উপরি নয়। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত সন্দেহ রয়েই গেল। যাই হোক, টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম। প্রবেশ করলাম আমার দেশে।
চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঢুকলাম রংপুরের পাটগ্রামে। এবার আর ইমিগ্রেশন সেন্টারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল না। চলে গেলাম শ্যামলীর বাস কাউন্টারে। আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। ভুবন খেতে চাইছিল না। ওর ধারণা ছিল, খেলেই বমি হয়ে যাবে। তবু আগের হোটেলটায় খেতে বসলাম। আমি গোগ্রাসে খেলাম ভাত আর মুরগি। বেশ তৃপ্তি নিয়ে। মনে হচ্ছিল হাজার বছর ধরে পেটে কিছু ঢোকেনি। কিন্তু ভুবন এবারও তেমন খেতে পারল না। মাগরিবের সময়টা পার হয়ে গেলে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। আবার সেই পিচ্ছিল আসনে বসতে হলো। আমরা ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম। লাভ হয়নি তেমন। রাত ১২টার বিরতি। আগের মতো আবার একই জায়গায়। পঁচিশ মিনিটের বিরতির পর আবার বাসের চলা শুরু। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দিনের আলো ফুটে গেল। ভুবন চাঙা হয়ে উঠছিল।
কিন্তু আমি নেতিয়ে পড়ছিলাম আবার। সাড়ে ৭টা কি ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে গেলাম। নাশতা সেরে দিলাম ঘুম। উঠলাম একেবারে বিকেলে। খেয়েদেয়ে ঘুম। রাতে উঠে আবার খাওয়া, আবার ঘুম। কেমন করে যে একটা দিন ঘুমে ঘুমে কেটে গেল, বলতেই পারব না দুজনের একজনও। হয়তো খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম। ভুবন সেদিন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ঠিকই বলেছিল, বাসায় গেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি কেন জানি আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। পরদিন সকালে আমার শাশুড়ি এলেন। তিনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বললেন, ‘তোমার হাত লাল কেন? সারা শরীরে কী এমন হয়েছে?’
আমি খেয়াল করে দেখলাম আসলেই লালচে ছোপ পড়েছে সারা গায়ে। মা ভুবনকে বললেন, ‘আজকেই ডাক্তার দ্যাখায় আনো ওকে। একটুও দেরি করবা না।’ মা চলে গেলেন বিকালে। টলতে টলতে সন্ধ্যায় পাড়ার এক ডাক্তার দেখিয়ে এলাম ভুবনের সঙ্গে। জানলাম, র্যাশ হয়েছে। তাঁর দেওয়া ওষুধ দুই-তিন দিন খেয়ে কাজ হচ্ছিল না। চুলকানি বাড়তে লাগল। সঙ্গে র্যাশও। মা ফোনে বললেন চর্মরোগের ডাক্তার দেখাতে। আমার বাবার চেনা এক ডাক্তারকে পরদিন দেখাতে গেলাম। তিনি দেখে বললেন, ‘প্যারাসিটামলের রিঅ্যাকশন।’ তার মানে, ইচ্ছামতো আবোল-তাবোল প্যারাসিটামল যে খেয়েছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, সেটার ফলাফল। মাসুম ভাই হয়তো ভালো মনে করেই ওষুধ দিয়েছিলেন। হয়তো হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার ওই কর্মচারীটাও আমার ক্ষতি চায়নি। ভুবনও তো সুস্থ হওয়ার জন্য কিনে এনেছিল ভারতীয় কোনো একটা প্যারাসিটামল। শিক্ষা হলো, আর কোনো দিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গিলব না।
দশ দিনের ওষুধ আর রক্ত পরীক্ষা লিখে দিলেন ডাক্তার। বুঝিয়ে দিলেন রিপোর্ট ভালো হলে আর দেখানোর দরকার নেই। ওষুধেই ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রক্ত দিলাম। পরদিন ভুবন রিপোর্ট নিয়ে এসেছিল। ডাক্তার যেই শঙ্কার কথা বলেছিলেন, তেমন কিছু নেই। শুধু র্যাশটাই যা ক্ষতি করছিল। ওষুধ খেতে লাগলাম। চুলকানির জন্য একটা মলম লাগাতে দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেটাও ব্যবহার করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। র্যাশগুলো মলিন হওয়া শুরু করল। সেই সঙ্গে সিকিম আর শিলিগুড়ির স্মৃতিও।
[সমাপ্ত]
আরও খবর পড়ুন:
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
২ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৩ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২০ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২০ দিন আগে