মাহফুজা অনন্যা
দহন
আঁধার ছিল চুপ করে তার হৃদয়নদী জুড়ে
সেই নদীতে ডুবেছিলাম নিজের জীবন ভুলে
কালো-আলো দহন জ্বালে এই-না অন্তঃপুরে
নিজ ভুলে কি মন্দ কিছু নিলাম বুকে তুলে?
পরের জন্য ঘর গড়েছি নিজের আবাস ছেড়ে
পর কখনো হয় না আপন। আপন থাকে দূরে
ঘর ভাঙলে সব কি ভাঙে কালাকালের জেরে?
পিছন ফেরে তাকাই। ব্যথা হৃদয়কে খায় কুরে।
ভুল কোরো না ভুলের কন্যা। কষ্ট দাও ছুড়ে
সবাই বলে মধুর কথা। মনে বারুদ রাখে
কাছে গেলেই ঝলসায় প্রাণ। কেবলই যাই পুড়ে
পথের মানুষ পথেই থাকি। কেউ কি পিছু ডাকে?
পথ কখনো হয় না পর, হয় তা সঠিক যদি
সঠিক পথেই প্রকৃত সুখ মেলে যে নিরবধি!
চাঁদেরও ডাকনাম আছে
চাঁদেরও ডাকনাম আছে জানুক লোকে
যে নামে ডাকলে আমায় ডালে ডালে বরই ফুল ফোটে,
টমেটোখেত লাল হয়ে যায়
এক দুই ছুমন্তর পড়ে দিলে ব্যস্ত হয় ম্যানশন
গল্পঘণ্টা বেজে ওঠে শরীরে, সারা গ্রাম-দেশ
দিকে দিকে ছেয়ে যায় উলম্ব সংবাদ
আমার নাগাসাকি জ্বলে ওঠে,
হিরোশিমা কথা বলে
তোমার আন্ত আণবিক স্পর্শে পুড়ে যায়
ভেতরের প্রকৃতি, সমস্ত ট্যুরিজম
পাহাড়ে-পাহাড়ে ওড়ে ফাগুন পতাকা
রঙিন ঘুড়িগুলো অতিক্রম করে স্ট্যাটোস্ফিয়ার
বায়ুমণ্ডল কিংবা পৃথিবীর কোনো স্টেশনে আজ কারও থামাথামি নেই
চুমু খেতে খেতে আমরা ফিরে আসি প্যাস্টেল বলয়ে
চিরদিন ফিরে আসি প্রথম চতুর্ভুজে!
শ্রাবণহীন মতিঝিল
মগজের পার্কটি খালি
জুলাইয়ের বেঞ্চে বসে আছে আগুন
এমন সময় তোমার কি পেয়ে বসে রমণ ইচ্ছে?
না, আমি কোথাও নেই!
আমার ছায়ারও কোনো ফুটনোট নেই!
আশ্রমিক ভাষায় পিলপিল করে হেঁটে আসে তপ্ত মাকড়সা!
বইরোগী বন্দরে চলতি বাতাস
চশমার অঞ্চলে স্ফিংক্সের ব্যক্তিত্বে পরিপাটি তৃতীয় বন্ধনী
ও আকাশ চশমা খোলো
খালি চোখে কি পড়তে পারো না ভুবনকবিতা?
ময়নার ছায়া দেখি আয়নায়
হাঁতের রেখায় পাখি-পা
বিপন্ন বিভীষণে বহুরূপী দাঁড়ের কাঠ
বাসর-প্রেমে মজে আছে নীল অ্যান্টিমনি
বিদেশি রোদে জলের আঙুল;
গাইয়া ও উরানোসের বিয়ে—
ও মেঘ আজ কি বৃষ্টি হবে?
হৃদয় এক শনিবার-দুপুর শাপলা চত্বর
আছে হাওয়া তবে ভাসছি না,
আছে ঠোঁট তবু হাসছি না
আমার হৃদয় এক না হাসা না ভাসার
শ্রাবণহীন মতিঝিল!
দহন
আঁধার ছিল চুপ করে তার হৃদয়নদী জুড়ে
সেই নদীতে ডুবেছিলাম নিজের জীবন ভুলে
কালো-আলো দহন জ্বালে এই-না অন্তঃপুরে
নিজ ভুলে কি মন্দ কিছু নিলাম বুকে তুলে?
পরের জন্য ঘর গড়েছি নিজের আবাস ছেড়ে
পর কখনো হয় না আপন। আপন থাকে দূরে
ঘর ভাঙলে সব কি ভাঙে কালাকালের জেরে?
পিছন ফেরে তাকাই। ব্যথা হৃদয়কে খায় কুরে।
ভুল কোরো না ভুলের কন্যা। কষ্ট দাও ছুড়ে
সবাই বলে মধুর কথা। মনে বারুদ রাখে
কাছে গেলেই ঝলসায় প্রাণ। কেবলই যাই পুড়ে
পথের মানুষ পথেই থাকি। কেউ কি পিছু ডাকে?
পথ কখনো হয় না পর, হয় তা সঠিক যদি
সঠিক পথেই প্রকৃত সুখ মেলে যে নিরবধি!
চাঁদেরও ডাকনাম আছে
চাঁদেরও ডাকনাম আছে জানুক লোকে
যে নামে ডাকলে আমায় ডালে ডালে বরই ফুল ফোটে,
টমেটোখেত লাল হয়ে যায়
এক দুই ছুমন্তর পড়ে দিলে ব্যস্ত হয় ম্যানশন
গল্পঘণ্টা বেজে ওঠে শরীরে, সারা গ্রাম-দেশ
দিকে দিকে ছেয়ে যায় উলম্ব সংবাদ
আমার নাগাসাকি জ্বলে ওঠে,
হিরোশিমা কথা বলে
তোমার আন্ত আণবিক স্পর্শে পুড়ে যায়
ভেতরের প্রকৃতি, সমস্ত ট্যুরিজম
পাহাড়ে-পাহাড়ে ওড়ে ফাগুন পতাকা
রঙিন ঘুড়িগুলো অতিক্রম করে স্ট্যাটোস্ফিয়ার
বায়ুমণ্ডল কিংবা পৃথিবীর কোনো স্টেশনে আজ কারও থামাথামি নেই
চুমু খেতে খেতে আমরা ফিরে আসি প্যাস্টেল বলয়ে
চিরদিন ফিরে আসি প্রথম চতুর্ভুজে!
শ্রাবণহীন মতিঝিল
মগজের পার্কটি খালি
জুলাইয়ের বেঞ্চে বসে আছে আগুন
এমন সময় তোমার কি পেয়ে বসে রমণ ইচ্ছে?
না, আমি কোথাও নেই!
আমার ছায়ারও কোনো ফুটনোট নেই!
আশ্রমিক ভাষায় পিলপিল করে হেঁটে আসে তপ্ত মাকড়সা!
বইরোগী বন্দরে চলতি বাতাস
চশমার অঞ্চলে স্ফিংক্সের ব্যক্তিত্বে পরিপাটি তৃতীয় বন্ধনী
ও আকাশ চশমা খোলো
খালি চোখে কি পড়তে পারো না ভুবনকবিতা?
ময়নার ছায়া দেখি আয়নায়
হাঁতের রেখায় পাখি-পা
বিপন্ন বিভীষণে বহুরূপী দাঁড়ের কাঠ
বাসর-প্রেমে মজে আছে নীল অ্যান্টিমনি
বিদেশি রোদে জলের আঙুল;
গাইয়া ও উরানোসের বিয়ে—
ও মেঘ আজ কি বৃষ্টি হবে?
হৃদয় এক শনিবার-দুপুর শাপলা চত্বর
আছে হাওয়া তবে ভাসছি না,
আছে ঠোঁট তবু হাসছি না
আমার হৃদয় এক না হাসা না ভাসার
শ্রাবণহীন মতিঝিল!
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
৩ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৪ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২১ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২১ দিন আগে