Ajker Patrika

চট্টগ্রামে কেইপিজেডের পাহাড়ে আগুন, লোকালয়ে হাতি-আতঙ্ক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ২৩: ৪৯
কেইপিজেডের পাহাড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেইপিজেডের পাহাড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে শিল্পাঞ্চল কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) পাহাড়ের শতাধিক গাছপালা আগুনে পুড়ে গেছে। আজ সোমবার কেইপিজেডের ১১ নম্বর গেটের সামনের পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক কেইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে হাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাঁদের ধারণা, একের পর এক পাহাড়ে আগুনে হাতি বিরক্ত হয়ে লোকালয়ে ঢুকে দ্বিগুণ ক্ষতি করবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেইপিজেডের পাহাড়ে আগুনের ঘটনা ঘটলে রাতে পাহাড়ে অবস্থানরত হাতির পাল লোকালয়ে নেমে বাড়িঘর ভাঙচুর ও মানুষকে আক্রমণ করে। এসব হাতির হামলায় গত ৭ বছরে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় ১৮ জনের বেশি নারী, শিশু ও বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বড় উঠানে হাতির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় সাত মাসের এক শিশু। হাতির আক্রমণে শিশুটির মা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কেইপিজেডের পাহাড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেইপিজেডের পাহাড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানতে চাইলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মুশফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার বিকেলে একটি কারখানার পাশে আগুন লাগে। আমাদের ধারণা, কোনো শ্রমিকের সিগারেটের আগুন থেকে এটির সূত্রপাত। তবে আগুনে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’

এর আগে পাহাড়ে আগুন লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত পরশু রাতেও পাহাড়ে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জেনেছি। বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে বন বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন অধিদপ্তর থেকে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল, ইআরটি সদস্য না থাকলে মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে। এ ছাড়া সেখানে প্রতিনিয়ত পাহাড় ও বনাঞ্চল কাটা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

ঘটনার কিছুদিন আগে একই এলাকায় দোকানে বিদ্যুতের কেব্‌ল দিয়ে রেখেছিল, যাতে হাতি এলে শক খায়। শুক্রবার রাতে ওই এলাকার মানুষ বনে আগুন দিয়ে হাতিকে বিরক্ত করেছে। ফলে হাতি বেশি উত্তেজিত হয় এবং আক্রমণে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত