কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে যাতায়াত করা ট্রলার ও স্পিডবোটে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আবারও গুলি ছোড়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ পথে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এর আগেও কয়েক দফায় গুলিবর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পণ্যবাহী ট্রলার চলতে না পেরে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নৌযানে কয়েক দফা গুলি ছোড়া হয়েছে। এ অবস্থায় সেন্ট মার্টিন পথে চলাচল করা নৌযান টেকনাফ যেতে পারছে না। ফলে এ পথে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা নানা সংকটে পড়েছে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে দ্বীপের বাইরে যেতে পারছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের আঁচ লাগছে এপারের বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামগুলোতে। এখন বাংলাদেশি ট্রলারগুলোকে কারা গুলি করছে, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদের মোহনা শেষে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা দিয়ে পার হওয়ার সময় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে দ্বীপে যাতায়াত করা ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে বারবার। গোলাগুলির কারণে এক সপ্তাহ আগে দ্বীপের বাইরে আসা অনেকেই দ্বীপে ঢুকতে পারছে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ৫ জুন সেন্ট মার্টিনে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে কর্মকর্তারা ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তাসহ পুলিশের একটি দল। তখন মিয়ানমারের ভেতর থেকে ট্রলারে ২৫–৩০টি গুলি ছোড়া হয়।
এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পাড়ায় দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্যসংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা দিনমজুর তাঁরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপের মুদির দোকানগুলোতে মজুত পণ্যও শেষ হতে চলেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের মূল্য দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেন্ট মার্টিন স্পিড বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলারে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় ভয়ে মানুষ এ পথে যাতায়াতের সাহস পাচ্ছে না। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিনে আসার আর কোনো বিকল্প পথও নেই।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপে অবস্থানরত মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে। সেখানে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গুলি ছোড়ার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সার্ভিস ট্রলারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কয়েক দিন ধরে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রলারেও মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে যাতায়াত করা ট্রলার ও স্পিডবোটে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আবারও গুলি ছোড়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ পথে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এর আগেও কয়েক দফায় গুলিবর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পণ্যবাহী ট্রলার চলতে না পেরে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নৌযানে কয়েক দফা গুলি ছোড়া হয়েছে। এ অবস্থায় সেন্ট মার্টিন পথে চলাচল করা নৌযান টেকনাফ যেতে পারছে না। ফলে এ পথে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা নানা সংকটে পড়েছে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে দ্বীপের বাইরে যেতে পারছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের আঁচ লাগছে এপারের বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামগুলোতে। এখন বাংলাদেশি ট্রলারগুলোকে কারা গুলি করছে, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদের মোহনা শেষে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা দিয়ে পার হওয়ার সময় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে দ্বীপে যাতায়াত করা ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে বারবার। গোলাগুলির কারণে এক সপ্তাহ আগে দ্বীপের বাইরে আসা অনেকেই দ্বীপে ঢুকতে পারছে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ৫ জুন সেন্ট মার্টিনে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে কর্মকর্তারা ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তাসহ পুলিশের একটি দল। তখন মিয়ানমারের ভেতর থেকে ট্রলারে ২৫–৩০টি গুলি ছোড়া হয়।
এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পাড়ায় দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্যসংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা দিনমজুর তাঁরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপের মুদির দোকানগুলোতে মজুত পণ্যও শেষ হতে চলেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের মূল্য দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেন্ট মার্টিন স্পিড বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলারে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় ভয়ে মানুষ এ পথে যাতায়াতের সাহস পাচ্ছে না। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিনে আসার আর কোনো বিকল্প পথও নেই।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপে অবস্থানরত মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে। সেখানে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গুলি ছোড়ার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সার্ভিস ট্রলারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কয়েক দিন ধরে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রলারেও মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৫ ঘণ্টা আগে