আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা আটদিনের ’সর্বাত্মক লকডাউন’ কঠোরভাবেই বাস্তবায়ন করতে সব থানার ওসি এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) তবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় যাতে কোনও রকম জনঅসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেছেন তিনি। 

লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জুম মিটিংয়ে বেনজীর এসব দিক–নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেখানের আলোচনা শেষে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকে গতকাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৫ এপ্রিল প্রথম দিনের লকডাউনের কড়াকড়ি নিয়ে ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় জনগণ–ব্যবসায়ী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন স্থানীয় এক যুবক। পুলিশের উপর আক্রমনের মতো ঘটনাগুলো বিবেচনা করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মানুষকে ঘরে রাখার ব্যাপারে তাই আরও বেশি কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মিটিং সূত্র। যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমাদেরকে আরও বেশি মানবিক হওয়ার অনুরোধ করে সরকারের দেওয়া বিধি–নিষেধ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, আশা করি আমরা জনগণের সহযোগিতা পাব।’ ‘কড়াকড়ি লকডাউনের সময় কোন নাগরিক সমস্যায় পরলে পুলিশের টিম সহযোগিতা করবে। অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের কিছু মানুষের খাবারের ব্যবস্থাও করবে পুলিশ’ জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, লকডাউনে বাস্তবায়নে পুলিশকে আইনের মধ্যে থেকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙ্গলে তাঁকে জরিমানা করা হবে। এছাড়া পাস নেওয়া গাড়ি নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাইরে গেলে ট্রাফিক আইনে মামলা করবে পুলিশ।’

শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় প্রবেশ এবং বের হওয়া, কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। প্রতিটি থানায় সচেনতামুলক মাইকিং করা হবে।’ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, এবারের লকডাউনে ঢিলেঢালা ভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা পেশাদারিত্বের সাথে লকডাউন কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি নগরবাসির সমস্যাগুলোও মানবিক দৃষ্টিতে দেখবো। আমরা জোর প্রয়োগের চেয়ে কৌশলী হবো।