স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাল মতামত পাঠাবে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২১, ১৮: ১০

ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন প্রথমে আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে। তাঁর হাত ঘুরে সেটি যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আইনগত বিষয়ে মতামত নিয়ে আবেদনটি রোববার আবার যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকেই আবেদনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কালকে (রোববার) সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি পাঠিয়ে দেব। সব বিষয় বিবেচনা করে আবেদনের বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত জানিয়ে দেব। সিদ্ধান্তটা জানাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’

আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি মন্ত্রী। বলেছেন, ‘এত কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা বিবেচনা করেই মতামত জানাবো।’

৫ মে রাতে খালেদার বিদেশ যাওয়ার আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর আগে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁর কাছে লিখিত আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।

৬ মে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘খা‌লেদা জিয়া বিদেশ যে‌তে পার‌বেন না’ -এই শর্ত শি‌থিল করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা ক‌রা হ‌বে। পর্যালোচনা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কারামুক্ত হলেও বর্তমানে অন্তরীণ আছেন খালেদা জিয়া। কারামুক্তির শর্তানুযায়ী মুক্ত থাকার সময়ে তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বলেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। ৩ মে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেডিকেল বোর্ড তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর পরামর্শ দেয়।

এরপর থেকে তাকে কোন দেশে চিকিৎসা করানো হবে তা নিয়ে দল এবং দলের বাইরে নানা আলোচনা চলছে। সরকারের অনুমতি পেলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে যাওয়ার জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষ সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হয়েছে। এখন এটি সরকারের বিষয়। এখন কীভাবে তাকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে, সেটা সরকারের বিষয়।সরকারের অনুমতি দিলে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।

খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, বৃহস্পতিবার তিনি যে অবস্থায় ছিলেন, শুক্রবারও সে অবস্থাতেই আছেন। জুমার নামাজের আগে মেডিকেল বোর্ড তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছেন। যে চিকিৎসা চলছিল, সে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছে বোর্ড।

১১ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসাতেই চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর ১৫ এপ্রিল প্রথমবার তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ আসে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড পেয়ে জেলে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে খালেদার পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে একইভাবে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। দেশে চিকিৎসা নেওয়ার শর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মুক্তি পেয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের বাসায় ছিলেন খালেদা। সেখানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত