শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চরজন আহত হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পাঠকবাজারে সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শরীয়তপুর সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে বিএনপিপন্থী দলিল লেখকদের একটি পক্ষ গত ২৬ ডিসেম্বর আবুল কাশেম মিয়াকে আহ্বায়ক ও আব্দুস সামাদ ব্যাপারীকে সদস্যসচিব করে ১৩ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে।
এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিপন্থী অন্য একটি পক্ষ গত রোববার সাগীর হোসেন ভূঁইয়াকে সভাপতি ও মফিদুল ইসলাম পাহাড়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করে। এ নিয়ে বিএনপিপন্থী দলিল লেখকদের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত মঙ্গলবার সাগীর-মফিদুলের কার্যকরী কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে কাশেম-সামাদ আহ্বায়ক কমিটি।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির পর সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে দলিল লেখক তারেক সরদার (৪২), এমদাদ সরদার (৪৫), মিলন গাজী (৫০) ও পলাশ মীর (৪০) আহত হন। তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক আবুল কাশেম মিয়া বলেন, ‘নূরুল হক মাল আওয়ামী সরকারের আমলে সন্ত্রাসী কায়দায় টাকার জোরে সভাপতি হয়ে সব দলিল লেখকদের জিম্মি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তার দুর্নীতির হিসাব দেওয়া লাগবে বিধায় তিনি তড়িঘড়ি করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর আমরা সবাই মিলে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করি। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের দালাল নূরুল হক মালের ইন্ধনে অল্প কিছু লোক নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বাগানের মধ্যে বসে এক ঘণ্টার মধ্যে তারা একটি কমিটি ঘোষণা দেয়। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রায় তারা আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।’
আবুল কাশেম মিয়া আরও বলেন,‘ হামলায় আমাদের আহ্বায়ক কমিটির তিনজন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সভাপতি নুরুল হক মাল বলেন, ‘আবুল কাশেম মিয়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। কমিটি গঠনেও আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত আবুল কাশেম মিয়াকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছে, তা অধিকাংশ দলিল লেখকেরা মেনে নেননি। কারণ আবুল কাশেম মিয়া সদরে দলিল লেখেন না, তিনি দলিল লেখেন নড়িয়া উপজেলায়। তার কোনো সমর্থন নেই। এ কারণে সদরের মূল দলিল লেখকেরা মিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে।’
এ বিষয়ে কার্যকরী কমিটির সভাপতি সাগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের দালাল আবুল কাশেম মিয়া ও আব্দুস সামাদ বেপারীরা একটি ভুয়া আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। আবুল কাশেম মিয়া নড়িয়াতে দলিল লেখেন, আর সামাদ বেপারী কোনো পেশাদার দলিল লেখক নন। তারা আওয়ামী সুবিধাবাদী। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সখ্যতা রয়েছে। তাদের আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে আমরা সব দলিল লেখকেরা মিলে পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি গঠন করায় তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কমিটির একজন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
আজ শুক্রবার পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলালউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চরজন আহত হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পাঠকবাজারে সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শরীয়তপুর সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে বিএনপিপন্থী দলিল লেখকদের একটি পক্ষ গত ২৬ ডিসেম্বর আবুল কাশেম মিয়াকে আহ্বায়ক ও আব্দুস সামাদ ব্যাপারীকে সদস্যসচিব করে ১৩ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে।
এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিপন্থী অন্য একটি পক্ষ গত রোববার সাগীর হোসেন ভূঁইয়াকে সভাপতি ও মফিদুল ইসলাম পাহাড়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করে। এ নিয়ে বিএনপিপন্থী দলিল লেখকদের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত মঙ্গলবার সাগীর-মফিদুলের কার্যকরী কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে কাশেম-সামাদ আহ্বায়ক কমিটি।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির পর সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে দলিল লেখক তারেক সরদার (৪২), এমদাদ সরদার (৪৫), মিলন গাজী (৫০) ও পলাশ মীর (৪০) আহত হন। তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক আবুল কাশেম মিয়া বলেন, ‘নূরুল হক মাল আওয়ামী সরকারের আমলে সন্ত্রাসী কায়দায় টাকার জোরে সভাপতি হয়ে সব দলিল লেখকদের জিম্মি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তার দুর্নীতির হিসাব দেওয়া লাগবে বিধায় তিনি তড়িঘড়ি করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর আমরা সবাই মিলে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করি। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের দালাল নূরুল হক মালের ইন্ধনে অল্প কিছু লোক নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বাগানের মধ্যে বসে এক ঘণ্টার মধ্যে তারা একটি কমিটি ঘোষণা দেয়। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রায় তারা আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।’
আবুল কাশেম মিয়া আরও বলেন,‘ হামলায় আমাদের আহ্বায়ক কমিটির তিনজন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সভাপতি নুরুল হক মাল বলেন, ‘আবুল কাশেম মিয়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। কমিটি গঠনেও আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত আবুল কাশেম মিয়াকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছে, তা অধিকাংশ দলিল লেখকেরা মেনে নেননি। কারণ আবুল কাশেম মিয়া সদরে দলিল লেখেন না, তিনি দলিল লেখেন নড়িয়া উপজেলায়। তার কোনো সমর্থন নেই। এ কারণে সদরের মূল দলিল লেখকেরা মিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে।’
এ বিষয়ে কার্যকরী কমিটির সভাপতি সাগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের দালাল আবুল কাশেম মিয়া ও আব্দুস সামাদ বেপারীরা একটি ভুয়া আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। আবুল কাশেম মিয়া নড়িয়াতে দলিল লেখেন, আর সামাদ বেপারী কোনো পেশাদার দলিল লেখক নন। তারা আওয়ামী সুবিধাবাদী। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সখ্যতা রয়েছে। তাদের আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে আমরা সব দলিল লেখকেরা মিলে পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি গঠন করায় তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কমিটির একজন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
আজ শুক্রবার পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলালউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) ১১টি অকেজো গাড়ি বছরের পর বছর ধরে খোলা জায়গায় পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন ও গবেষণা প্রকল্পের জন্য কেনা এসব যান এখন মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। চুরি হচ্ছে যন্ত্রাংশ। গাড়িগুলো এভাবে ফেলে না রেখে নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারের এ খাত থেকে আয় হতো ব
৩ মিনিট আগেঘটনাস্থলে উপস্থিত শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতা–কর্মীদের একটি মতবিনিময় সভা উপলক্ষে গেরুয়া বাজারে একটি দোকানে খাবার খাচ্ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীক ও সাবেক সহসভাপতি নবীনুর রহমান নবীনসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
১০ মিনিট আগেরাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। এতে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ডিএমপির মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগরের সভাপতি জগদীশ চাকমা।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরার ডেল্টা হেলথকেয়ার হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে পড়ে ছিলেন রিকশাচালক ইসমাইল আলী। হামাগুড়ি দিয়ে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য সাহায্যের আকুতি জানান তিনি। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা দরজা খোলেননি। চিকিৎসাও দেননি। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সিঁড়ির
২ ঘণ্টা আগে