সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের কারাগারে থাকার সুযোগে তাঁদের পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর নির্যাতন ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে। পরিবারগুলোর অভিযোগ, বাদীপক্ষের লোকজন তাদের বাড়ির চারপাশ থেকে বাঁশ কেটে নেওয়া, পুকুরের মাছ ধরে নেওয়া এবং খড় লুটপাটের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারের নারী ও শিশুরা।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত। নিরাপত্তার অভাবে বাড়ির বাইরে বের হয় না। স্বজনদের কেউ প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য দিতে এলেও লুকিয়ে আসছে। ওই পরিবারের নারী সদস্যরা বলেন, আজ সকালে তাঁদের ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে বাদীপক্ষের লোকজন। দুপুরের দিকে জাল ফেলে পুকুরের মাছ তুলে নিয়ে গেছে এবং গাদা থেকে খড় নিয়ে গেছে। এ সময় হুমকিও দিয়ে গেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে চরম অনিরাপত্তায় দিন পার করছে এই তিন পরিবারের নারী ও শিশুরা।
এর আগে টানা ৬ দিন পুলিশি পাহারায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তবে দুদিন ধরে পুলিশ না থাকায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবারগুলো। পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে নারী সদস্যরা বলেন, ঘটনার দিন ঝগড়া হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি ঘটেও থাকে, সেগুলোর তদন্ত হবে। কিন্তু বাদীপক্ষের হুমকি-ধমকিতে জানমালের চরম অনিরাপত্তায় দিন পার করছে তারা। পরিবারগুলো নিরাপত্তার পাশাপাশি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানিয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান ও মামলায় আটক মো. আবদুল মজিদ মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছা. নাজমুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ও ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। তারাও আটক আছে। বাড়িতে কোনো পুরুষ নাই। এ সুযোগে মামলার বাদী ও তার লোকজন সব সময় আমাদের হুমকি দিচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হলেই তারা আমাদের মেরে ফেলবে। দরজা-জানালা বন্ধ করে আছি। তারা বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে এবং দরজা-জানালায় লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করছে।’
নাজমুন্নাহার বেগম আরও বলেন, নিহত বৃদ্ধা দীর্ঘদিন থেকেই উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টের রোগী। ঘটনার দিন তিনি চিৎকার করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু হত্যার মিথ্যা মামলা দিয়ে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদেরও ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার ৭ নম্বর আসামি সাবেক স্কুলশিক্ষক হযরত আলীর কলেজপড়ুয়া নাতনি মিথিলা বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। সে কারণে আমাদের লোকজন আটক আছেন। সঠিক বিচার আমরাও দাবি করছি। কিন্তু তার আগেই বাদীপক্ষ ও তাদের স্বজনরা আমাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করছে। ঘটনার দিন থেকেই নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ আমরা। আমাদের কোনো আত্মীয়স্বজন খাবার দিতে এলে তাদেরও হুমকি দিচ্ছে তারা। যখন-তখন তারা আমাদের পুকুরের মাছ, ঝাড় থেকে বাঁশ, গাদা থেকে খড়সহ নানা জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হলেই হাত-পা কেটে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে, অতর্কিত বাড়িতে চালানো হচ্ছে ভাঙচুর। এমন পরিস্থিতিতে চরম অনিরাপত্তায় দিন পার করছি আমরা।’
মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা তৎপর আছি। ঘটনার দিন থেকে পুলিশ তাদের ৬ দিন পাহারা দিয়েছে।’ এরপরে যদি কোনো ছোটখাটো ঘটনা ঘটে, তাহলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে বলেন ওসি।
উল্লেখ্য, মো. আকালু শেখের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মৃত আবদুল হামিদ মিয়ার ছেলে মো. আবদুল মজিদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ মার্চে দুই পক্ষের মারামারি হলে রফিকুল ইসলামের মা মারা যান। পরে মো. আবদুল মজিদ মিয়াকে প্রধান করে ১৭ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন রফিকুল ইসলাম।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের কারাগারে থাকার সুযোগে তাঁদের পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর নির্যাতন ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে। পরিবারগুলোর অভিযোগ, বাদীপক্ষের লোকজন তাদের বাড়ির চারপাশ থেকে বাঁশ কেটে নেওয়া, পুকুরের মাছ ধরে নেওয়া এবং খড় লুটপাটের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারের নারী ও শিশুরা।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত। নিরাপত্তার অভাবে বাড়ির বাইরে বের হয় না। স্বজনদের কেউ প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য দিতে এলেও লুকিয়ে আসছে। ওই পরিবারের নারী সদস্যরা বলেন, আজ সকালে তাঁদের ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে বাদীপক্ষের লোকজন। দুপুরের দিকে জাল ফেলে পুকুরের মাছ তুলে নিয়ে গেছে এবং গাদা থেকে খড় নিয়ে গেছে। এ সময় হুমকিও দিয়ে গেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে চরম অনিরাপত্তায় দিন পার করছে এই তিন পরিবারের নারী ও শিশুরা।
এর আগে টানা ৬ দিন পুলিশি পাহারায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তবে দুদিন ধরে পুলিশ না থাকায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবারগুলো। পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে নারী সদস্যরা বলেন, ঘটনার দিন ঝগড়া হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি ঘটেও থাকে, সেগুলোর তদন্ত হবে। কিন্তু বাদীপক্ষের হুমকি-ধমকিতে জানমালের চরম অনিরাপত্তায় দিন পার করছে তারা। পরিবারগুলো নিরাপত্তার পাশাপাশি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানিয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান ও মামলায় আটক মো. আবদুল মজিদ মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছা. নাজমুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ও ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। তারাও আটক আছে। বাড়িতে কোনো পুরুষ নাই। এ সুযোগে মামলার বাদী ও তার লোকজন সব সময় আমাদের হুমকি দিচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হলেই তারা আমাদের মেরে ফেলবে। দরজা-জানালা বন্ধ করে আছি। তারা বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে এবং দরজা-জানালায় লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করছে।’
নাজমুন্নাহার বেগম আরও বলেন, নিহত বৃদ্ধা দীর্ঘদিন থেকেই উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টের রোগী। ঘটনার দিন তিনি চিৎকার করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু হত্যার মিথ্যা মামলা দিয়ে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদেরও ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার ৭ নম্বর আসামি সাবেক স্কুলশিক্ষক হযরত আলীর কলেজপড়ুয়া নাতনি মিথিলা বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। সে কারণে আমাদের লোকজন আটক আছেন। সঠিক বিচার আমরাও দাবি করছি। কিন্তু তার আগেই বাদীপক্ষ ও তাদের স্বজনরা আমাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করছে। ঘটনার দিন থেকেই নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ আমরা। আমাদের কোনো আত্মীয়স্বজন খাবার দিতে এলে তাদেরও হুমকি দিচ্ছে তারা। যখন-তখন তারা আমাদের পুকুরের মাছ, ঝাড় থেকে বাঁশ, গাদা থেকে খড়সহ নানা জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হলেই হাত-পা কেটে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে, অতর্কিত বাড়িতে চালানো হচ্ছে ভাঙচুর। এমন পরিস্থিতিতে চরম অনিরাপত্তায় দিন পার করছি আমরা।’
মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা তৎপর আছি। ঘটনার দিন থেকে পুলিশ তাদের ৬ দিন পাহারা দিয়েছে।’ এরপরে যদি কোনো ছোটখাটো ঘটনা ঘটে, তাহলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে বলেন ওসি।
উল্লেখ্য, মো. আকালু শেখের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মৃত আবদুল হামিদ মিয়ার ছেলে মো. আবদুল মজিদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ মার্চে দুই পক্ষের মারামারি হলে রফিকুল ইসলামের মা মারা যান। পরে মো. আবদুল মজিদ মিয়াকে প্রধান করে ১৭ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন রফিকুল ইসলাম।
ময়মনসিংহ নগরীর বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে। তাঁর নাম ত্রিপলা ভদ্র একা (২০)। তিনি ছিলেন ময়মনসিংহ মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
১ মিনিট আগেঈদুল ফিতরের উৎসবকে নিরাপদ এবং উৎসবমুখর করতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘ডিবি সব সময় নগরবাসীর পাশে রয়েছে এবং ঈদ উদ্যাপনেও আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’
৭ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঈদের জামাতের স্থান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার তন্তর এলাকায় চালককে মারধর করে অটোরিকশা ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে জহির (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে