তাসনিম মহসিন

ঢাকা: বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। এমন সুন্দর সম্পর্কের মধ্যেই গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং কোয়াড নিয়ে বেশ কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, যা সবাইকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। কূটনীতিকেরা মনে করেছন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা চাপ সামলাতে গিয়ে চীন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তাই অন্যের ওপর গলা চরাচ্ছে তারা।
চীন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একমেরু বিশ্বকাঠামোয় নিজের হিস্যা বুঝে নিতে লড়ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রও বসে নেই। এশিয়াসহ গোটা বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে নানা কৌশল ও জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে ইউরোপের পরীক্ষিত মিত্রদের নিজের পাশে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে চীনের প্রতিবেশীদের মধ্যেও অনেককে পাশে পাচ্ছে ওয়াশিংটন।
কোভিড-১৯, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর অবস্থান। চীনকে কোনঠাসা করতে মার্কিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে কয়েকটি জোট। এগুলো নিয়ে চীন আগে খুব একটা সোচ্চার না থাকলেও বর্তমানে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সোচ্চার হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে শুধু মার্কিন নেতৃত্বে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি দেশ নিজ স্বার্থে চীন বিরোধিতা করে আসছিল। তবে এবার পুরো অঞ্চলের দেশগুলোকে এ জোটে টানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলের (আইপিএস) মাধ্যমে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে কাছে টানছে যুক্তরাষ্ট্র। গঠন করা হয়েছে কৌশলগত জোট কোয়াড, যেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
সম্প্রতি কোয়াডের দেশগুলো কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে। আর এ বৈঠক থেকে আসিয়ানভুক্ত দেশ ও আইপিএসের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে টিকার ফর্মূলা দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্থায়ন করবে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। আর টিকা উৎপাদন করবে ভারত। আর এটাই নতুন করে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনের জন্য। কারণ আসিয়ানের দেশগুলোর সবাই চীনের প্রতিবেশী। দীর্ঘ দিন ধরে চীন এ দেশগুলোর ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক টানাপোড়েন যত বাড়বে, অন্য দেশগুলাকে ততই বিপদে পড়তে হবে। বাংলাদেশ কখনোই কোনো নিরাপত্তা জোটে অংশ নেয়নি। কুয়েত বা ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের কাছে জোটভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ যায়নি। পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বাংলাদেশের কাঠামোতে সামরিক দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু সামরিক অংশ বাদ দিয়ে আইপিএসে যোগ দেওয়ার কথা বলেছে, তাই বাংলাদেশের ওপর চীনের তীক্ষ্ণ নজর পড়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই গতকাল সোমবার চীন অনেকটা হঠাৎ করেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।
এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ সমতা বজায় রেখেই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। কোনো দেশের শত্রু বাংলাদেশের শত্রু হবে, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বাইরে। বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য—জনগনের উন্নয়ণ। এ জন্য সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে বাংলাদেশ।
তবে এমন বক্তব্য সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের প্রেক্ষাপটেই এসেছে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা মিশনের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, চীনা রাষ্ট্রদূতকে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তর তিনি দিয়েছেন। প্রশ্নটি এই মুহূর্তে একটু অন্য রকম হলেও সমসাময়িক ছিল। বিশেষ করে চীন যেভাবে তার কূটনীতিকে পরিচালনা করে, তার তুলনায় এর উত্তর অন্য সময়ের থেকে বেশি জোরালো ছিল। বিগত দিনগুলোর পরিস্থিতি, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঢাকা সফর, টিকা কূটনীতিসহ সামনের দিনে চীনের অবস্থানের একটি পরিষ্কার বার্তা এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিয়েছে বেইজিং।
চীনের হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ন্যাচারালি তিনি একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরা হয়তো এটা চায় না। তিনি তাঁর বক্তব্য বলবেন। যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদের কাছে অ্যাপ্রোচও করে নাই। এটা একটু আগ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা... উনি বলেছেন, ফাইন, দ্যাটস মাচ। এটা নিয়ে আমাদের বিশেষ বক্তব্য নাই। বাট উই উইল ডিসাইড হোয়াট টু ডু (কিন্তু আমরা ঠিক করবে যে, আমরা কী করব)। আমরা আমাদের জনগণের জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত দিন ধরে দেখেছেন। বহু সময় বহু লোক বহু কিছু বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের স্বার্থের ব্যপারে, আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য, যা যা করার, আমরা সেটাই করেছি। উই মেইনটেইন আ নন অ্যালাইন (জোটনিরপেক্ষ) এবং একটি ব্যালেন্স ফরেন পলিসি (ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি)। অ্যান্ড উই কনটিনিউ টু ডু ইট (আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখব)।’
চীনের বক্তব্যটিকে ভাষাগত দিক থেকে বিবেচনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চীনা রাষ্ট্রদূত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছেন। আর চীনের তো একটি অবস্থান রয়েছেই। কোয়াড বা আইপিএস হলো একটি সামরিক জোট। ফলে এখানে চীন বাংলাদেশকে এর অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় না। ব্রিটিশরা বললে হয়তো আরও পরিশীলিত ভাষায় বলত। চীনারা ভাষাগত দিক থেকে একটু সরাসরি বলেছে।’
এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তাঁর মন্তব্যের জন্য তলব করা হবে কি না—জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ‘এখনো সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে, তলব করা হবে না। তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কী করি–না করি, তা আমরা সব মিডিয়াকে বলি না। উই হ্যাভ ভিশন...ওয়েস অব ডুয়িং থিংস (আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য ও কাজের ধরন আছে)।’
২০১৬ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং বাংলাদেশ সফর করেন। সফরে মধ্য দিয়ে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত হয়। সে সময় দেশের ২৭টি প্রকল্পে ২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালকে দুই দেশের জন্য বন্ধুত্বের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ২৭ প্রকল্পের সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো ঋণ চুক্তিতে বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত এ ২৭ সমঝোতার মাত্র ছয়টি ঋণ চুক্তিতে রূপান্তর হয়েছে। আর ২১টি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি চীন-বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যেই আরও নয়টি প্রকল্পে মোট ৬৪১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে চীনের ঋণে যেসব প্রকল্প চলমান, তার মধ্যে রয়েছে ৫০ কোটি ডলারের ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’, ২০ কোটি ডলারের ‘মর্ডানাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’, ১৬৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক (ফেজ-১)’ ও ৯১ কোটি ৭১ লাখ ডলারের ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক (ফেজ-২)’ প্রকল্প। এ ছাড়া ‘ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-৩’ ও ‘কনস্ট্রাকশন অব টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলি’ প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করা যায়। এ দুই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ও ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণের অর্থ ছাড় করেছে চীন। এর বাইরে সররকারি ব্যবস্থানায় পায়রায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করছে চীনারা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চীনের এ আচরণে আমরা বিরক্ত হয়েছি কথাটা পুরোপুরি ঠিক না হলেও ভুল না। এটাকে এককথায় বিরক্ত না বলে অপ্রত্যাশিত বলাটা ঠিক হবে। কারণ, বিরক্ত শব্দের আলাদা অর্থ রয়েছে। চীনের একজন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে আমরা এ রকম আচরণ প্রত্যাশা করিনি। চীনকে এ নিয়ে তলব করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে নানা হিসাব করা হচ্ছে। শুধু চীনা প্রকল্প নয়, চীনা টিকারও প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে জনগণের স্বার্থে যেটি ভালো হবে, আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।

ঢাকা: বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। এমন সুন্দর সম্পর্কের মধ্যেই গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং কোয়াড নিয়ে বেশ কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, যা সবাইকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। কূটনীতিকেরা মনে করেছন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা চাপ সামলাতে গিয়ে চীন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তাই অন্যের ওপর গলা চরাচ্ছে তারা।
চীন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একমেরু বিশ্বকাঠামোয় নিজের হিস্যা বুঝে নিতে লড়ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রও বসে নেই। এশিয়াসহ গোটা বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে নানা কৌশল ও জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে ইউরোপের পরীক্ষিত মিত্রদের নিজের পাশে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে চীনের প্রতিবেশীদের মধ্যেও অনেককে পাশে পাচ্ছে ওয়াশিংটন।
কোভিড-১৯, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর অবস্থান। চীনকে কোনঠাসা করতে মার্কিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে কয়েকটি জোট। এগুলো নিয়ে চীন আগে খুব একটা সোচ্চার না থাকলেও বর্তমানে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সোচ্চার হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে শুধু মার্কিন নেতৃত্বে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি দেশ নিজ স্বার্থে চীন বিরোধিতা করে আসছিল। তবে এবার পুরো অঞ্চলের দেশগুলোকে এ জোটে টানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলের (আইপিএস) মাধ্যমে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে কাছে টানছে যুক্তরাষ্ট্র। গঠন করা হয়েছে কৌশলগত জোট কোয়াড, যেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
সম্প্রতি কোয়াডের দেশগুলো কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে। আর এ বৈঠক থেকে আসিয়ানভুক্ত দেশ ও আইপিএসের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে টিকার ফর্মূলা দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্থায়ন করবে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। আর টিকা উৎপাদন করবে ভারত। আর এটাই নতুন করে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনের জন্য। কারণ আসিয়ানের দেশগুলোর সবাই চীনের প্রতিবেশী। দীর্ঘ দিন ধরে চীন এ দেশগুলোর ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক টানাপোড়েন যত বাড়বে, অন্য দেশগুলাকে ততই বিপদে পড়তে হবে। বাংলাদেশ কখনোই কোনো নিরাপত্তা জোটে অংশ নেয়নি। কুয়েত বা ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের কাছে জোটভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ যায়নি। পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বাংলাদেশের কাঠামোতে সামরিক দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু সামরিক অংশ বাদ দিয়ে আইপিএসে যোগ দেওয়ার কথা বলেছে, তাই বাংলাদেশের ওপর চীনের তীক্ষ্ণ নজর পড়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই গতকাল সোমবার চীন অনেকটা হঠাৎ করেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।
এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ সমতা বজায় রেখেই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। কোনো দেশের শত্রু বাংলাদেশের শত্রু হবে, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বাইরে। বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য—জনগনের উন্নয়ণ। এ জন্য সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে বাংলাদেশ।
তবে এমন বক্তব্য সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের প্রেক্ষাপটেই এসেছে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা মিশনের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, চীনা রাষ্ট্রদূতকে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তর তিনি দিয়েছেন। প্রশ্নটি এই মুহূর্তে একটু অন্য রকম হলেও সমসাময়িক ছিল। বিশেষ করে চীন যেভাবে তার কূটনীতিকে পরিচালনা করে, তার তুলনায় এর উত্তর অন্য সময়ের থেকে বেশি জোরালো ছিল। বিগত দিনগুলোর পরিস্থিতি, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঢাকা সফর, টিকা কূটনীতিসহ সামনের দিনে চীনের অবস্থানের একটি পরিষ্কার বার্তা এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিয়েছে বেইজিং।
চীনের হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ন্যাচারালি তিনি একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরা হয়তো এটা চায় না। তিনি তাঁর বক্তব্য বলবেন। যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদের কাছে অ্যাপ্রোচও করে নাই। এটা একটু আগ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা... উনি বলেছেন, ফাইন, দ্যাটস মাচ। এটা নিয়ে আমাদের বিশেষ বক্তব্য নাই। বাট উই উইল ডিসাইড হোয়াট টু ডু (কিন্তু আমরা ঠিক করবে যে, আমরা কী করব)। আমরা আমাদের জনগণের জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত দিন ধরে দেখেছেন। বহু সময় বহু লোক বহু কিছু বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের স্বার্থের ব্যপারে, আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য, যা যা করার, আমরা সেটাই করেছি। উই মেইনটেইন আ নন অ্যালাইন (জোটনিরপেক্ষ) এবং একটি ব্যালেন্স ফরেন পলিসি (ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি)। অ্যান্ড উই কনটিনিউ টু ডু ইট (আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখব)।’
চীনের বক্তব্যটিকে ভাষাগত দিক থেকে বিবেচনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চীনা রাষ্ট্রদূত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছেন। আর চীনের তো একটি অবস্থান রয়েছেই। কোয়াড বা আইপিএস হলো একটি সামরিক জোট। ফলে এখানে চীন বাংলাদেশকে এর অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় না। ব্রিটিশরা বললে হয়তো আরও পরিশীলিত ভাষায় বলত। চীনারা ভাষাগত দিক থেকে একটু সরাসরি বলেছে।’
এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তাঁর মন্তব্যের জন্য তলব করা হবে কি না—জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ‘এখনো সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে, তলব করা হবে না। তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কী করি–না করি, তা আমরা সব মিডিয়াকে বলি না। উই হ্যাভ ভিশন...ওয়েস অব ডুয়িং থিংস (আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য ও কাজের ধরন আছে)।’
২০১৬ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং বাংলাদেশ সফর করেন। সফরে মধ্য দিয়ে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত হয়। সে সময় দেশের ২৭টি প্রকল্পে ২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালকে দুই দেশের জন্য বন্ধুত্বের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ২৭ প্রকল্পের সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো ঋণ চুক্তিতে বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত এ ২৭ সমঝোতার মাত্র ছয়টি ঋণ চুক্তিতে রূপান্তর হয়েছে। আর ২১টি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি চীন-বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যেই আরও নয়টি প্রকল্পে মোট ৬৪১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে চীনের ঋণে যেসব প্রকল্প চলমান, তার মধ্যে রয়েছে ৫০ কোটি ডলারের ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’, ২০ কোটি ডলারের ‘মর্ডানাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’, ১৬৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক (ফেজ-১)’ ও ৯১ কোটি ৭১ লাখ ডলারের ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক (ফেজ-২)’ প্রকল্প। এ ছাড়া ‘ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-৩’ ও ‘কনস্ট্রাকশন অব টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলি’ প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করা যায়। এ দুই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ও ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণের অর্থ ছাড় করেছে চীন। এর বাইরে সররকারি ব্যবস্থানায় পায়রায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করছে চীনারা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চীনের এ আচরণে আমরা বিরক্ত হয়েছি কথাটা পুরোপুরি ঠিক না হলেও ভুল না। এটাকে এককথায় বিরক্ত না বলে অপ্রত্যাশিত বলাটা ঠিক হবে। কারণ, বিরক্ত শব্দের আলাদা অর্থ রয়েছে। চীনের একজন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে আমরা এ রকম আচরণ প্রত্যাশা করিনি। চীনকে এ নিয়ে তলব করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে নানা হিসাব করা হচ্ছে। শুধু চীনা প্রকল্প নয়, চীনা টিকারও প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে জনগণের স্বার্থে যেটি ভালো হবে, আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
৭ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
এসআই আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভবনটির ওপর থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গায় পড়ে যেতে পারেন, অথবা কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ মিনিট আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নভেম্বর মাসে দেশে ৫২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০১ জন এবং আহত ১৭১ জন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ ও আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
দুর্ঘটনার শিকার ৭৪৬টি যানবাহনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান ও লরি ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, বাস ১৩ শতাংশ, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং কার-জিপ-মাইক্রোবাস ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেল ক্রসিংয়ে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত, মহাসড়কে অবাধে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত যান চলাচল, পর্যাপ্ত রোড সাইন ও সড়কবাতির অভাব, মিডিয়ান ও ডিভাইডার না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টো পথে চলাচল, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়ক নিরাপত্তায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি ও ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটালভাবে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও নিয়মিত রোড সেফটি অডিট, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন স্ক্র্যাপ করা এবং মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ।

নভেম্বর মাসে দেশে ৫২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০১ জন এবং আহত ১৭১ জন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ ও আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
দুর্ঘটনার শিকার ৭৪৬টি যানবাহনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান ও লরি ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, বাস ১৩ শতাংশ, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং কার-জিপ-মাইক্রোবাস ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেল ক্রসিংয়ে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত, মহাসড়কে অবাধে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত যান চলাচল, পর্যাপ্ত রোড সাইন ও সড়কবাতির অভাব, মিডিয়ান ও ডিভাইডার না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টো পথে চলাচল, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়ক নিরাপত্তায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি ও ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটালভাবে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও নিয়মিত রোড সেফটি অডিট, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন স্ক্র্যাপ করা এবং মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ।

বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে
১১ মে ২০২১
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
এসআই আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভবনটির ওপর থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গায় পড়ে যেতে পারেন, অথবা কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ মিনিট আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৯ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এই ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন।
বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলো হলো: শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার; দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার; নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা।
আজ সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্রজনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন।
ছাত্রজনতা দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যান। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্রজনতা মূল সড়কে চলে আসেন।
দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে ছাত্রজনতা শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার সড়কে এসে তৃতীয়বারের মতো পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এই ব্যারিকেড টপকাতে না পেরে তাঁরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। প্রতিনিধি দলটি কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবেন বলে জানা যায়।
এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এই ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন।
বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলো হলো: শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার; দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার; নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা।
আজ সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্রজনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন।
ছাত্রজনতা দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যান। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্রজনতা মূল সড়কে চলে আসেন।
দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে ছাত্রজনতা শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার সড়কে এসে তৃতীয়বারের মতো পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এই ব্যারিকেড টপকাতে না পেরে তাঁরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। প্রতিনিধি দলটি কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবেন বলে জানা যায়।
এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে
১১ মে ২০২১
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
৭ মিনিট আগে
এসআই আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভবনটির ওপর থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গায় পড়ে যেতে পারেন, অথবা কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ মিনিট আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৯ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তর বাসাবো এলাকার নির্মাণাধীন ভবন থেকে টিপু মোল্লা (৪৭) নামে এক ঠিকাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, রোববার বেলা ২টার দিকে খবর পেয়ে উত্তর বাসাবো ৫৫ / ২ নম্বর হোল্ডিংয়ে নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের রাখা ফাঁকা জায়গার নিচ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সিআইডির ফরেনসিক টিম বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। বাম পায়ের হাঁটু ভাঙা এবং ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা ও কাটা ছিল। উদ্ধারের সময় মৃত ওই ব্যক্তির পরনে লুঙ্গির কোচে সিগারেটের প্যাকেটে গাঁজা পাওয়া যায়।
ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এসআই আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভবনটির ওপর থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গায় পড়ে যেতে পারেন, অথবা কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে তিনি মাদক সেবন করেছিলেন কিনা সে বিষয়েও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
টিপু মোল্লার বড় ভাই মো. আবু মোল্লা বলেন, উত্তর বাসাবোয় তাদের নিজেদের বাড়ি। স্ত্রী মিনু আক্তার ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। টিপু ঠিকাদারি করতেন। তবে ওই নির্মাণাধীন ভবনে কেন গিয়েছিলেন সেটি জানা নেই।

রাজধানীর উত্তর বাসাবো এলাকার নির্মাণাধীন ভবন থেকে টিপু মোল্লা (৪৭) নামে এক ঠিকাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, রোববার বেলা ২টার দিকে খবর পেয়ে উত্তর বাসাবো ৫৫ / ২ নম্বর হোল্ডিংয়ে নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের রাখা ফাঁকা জায়গার নিচ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সিআইডির ফরেনসিক টিম বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। বাম পায়ের হাঁটু ভাঙা এবং ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা ও কাটা ছিল। উদ্ধারের সময় মৃত ওই ব্যক্তির পরনে লুঙ্গির কোচে সিগারেটের প্যাকেটে গাঁজা পাওয়া যায়।
ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এসআই আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভবনটির ওপর থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গায় পড়ে যেতে পারেন, অথবা কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে তিনি মাদক সেবন করেছিলেন কিনা সে বিষয়েও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
টিপু মোল্লার বড় ভাই মো. আবু মোল্লা বলেন, উত্তর বাসাবোয় তাদের নিজেদের বাড়ি। স্ত্রী মিনু আক্তার ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। টিপু ঠিকাদারি করতেন। তবে ওই নির্মাণাধীন ভবনে কেন গিয়েছিলেন সেটি জানা নেই।

বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে
১১ মে ২০২১
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
৭ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৯ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন।
এতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। পশ্চিমাঞ্চলের রেল চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাৎক্ষণিক দুই দফা দাবি পূরণ ও বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণের আশ্বাস পেলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কর্মসূচি চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সব আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান দুটি দাবি ছিল স্টেশনমাস্টার নিয়োগ ও স্টপেজ চালু করা। সেই দুটা দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো পূরণে সংশ্লিষ্টরাও আন্তরিক। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পূরণ করা হবে। আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন।
এতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। পশ্চিমাঞ্চলের রেল চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাৎক্ষণিক দুই দফা দাবি পূরণ ও বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণের আশ্বাস পেলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কর্মসূচি চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সব আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান দুটি দাবি ছিল স্টেশনমাস্টার নিয়োগ ও স্টপেজ চালু করা। সেই দুটা দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো পূরণে সংশ্লিষ্টরাও আন্তরিক। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পূরণ করা হবে। আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে
১১ মে ২০২১
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
৭ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রজনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
এসআই আজিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভবনটির ওপর থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গায় পড়ে যেতে পারেন, অথবা কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ মিনিট আগে