নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাকা: থানায় থানায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। আজ রোববার সকাল থেকে বেড়েছে পুলিশের টহল। বাড়ানো হয়েছে কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক ফোর্স। হেফাজতে ইসলামের নাশকতা প্রতিরোধে থানা, ফাড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ দুপুর থেকে অফিস ডিউটি কমিয়ে সব সিনিয়র অফিসাররা মাঠে ডিউটি করছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানান গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঝুঁকি বিবেচনা করে কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রীক সার্বক্ষনিক পুলিশ ফোর্স রাখা হয়েছে। অফিস ডিউটির বদলে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশি টহল।
পুলিশ সদরদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের ওপর হামলায় ব্যর্থ হলে নাশকতাকারীরা সরকারি স্থাপনা ক্ষতি করতে পারে। যে কোনো ধরনের নাশকতা ও হামলা প্রতিরোধে মেট্রোপলিটন, জেলা ও থানা পর্যায়ে সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের যেকোন ইউনিটে সব সময় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন একত্রে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া টহলরত অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন ফোর্স। পুলিশের উপর কোনো হামলা হলে যাতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স ও আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হয়েছে টহলরত পুলিশ সদস্যদের।
অতিরিক্ত ফোর্সের বিষয়ে যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, আমরা ডিসি-এসপি-ইএনও এর কার্যালয়সহ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। যেসব জায়গায় নিরাপত্তা ঘাটতি রয়েছে, সেসব জায়গায় নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে টহল বাড়ানো হয়েছে। থানা ফাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কওমী মাদ্রাসার তালিকা করে ছাত্রসংখ্যা ও শক্তিমাত্রা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কওমী মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়েছে।
হেফাজতের ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নাশকতা চালায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায়। জেলার ৫৮টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করা হয়েছে দুইটি মন্দির। প্রেসক্লাব ও স্থানীয় সরকারি দলীয় নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়েছে।
জেলার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নাশকতার পর থানায় এলএমজি পোস্টসহ নিরাপত্তা জোরদার করেছি। টহল বাড়ানো হয়েছে। হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার হতে পারেন তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই মাদ্রাসা কেন্দ্রীক টহল বাড়িয়ে দিয়েছি।
হঠাৎ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চলমান কার্যক্রমের অংশ মন্তব্য করে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, যে কোনো অপ্রিতকর ঘটনা কঠোর হাতে দমন করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে।
হেফাজত কর্মীরা এখন অনেকটাই শান্ত দাবি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতা মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ডের পর সংগঠনটির অনেক কর্মী মানসিকভাবে নেতৃত্ব নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হেফাজত মাঠে নেমে জালাও পোড়াও করার সাহস পাবে না। তবে হেফাজতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে সেই আশঙ্কায় পুলিশ সব সময় সতর্ক রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যের প্রমাণ মেলে রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের ঘটনায়। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্রকে কয়েক মিনিট বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। কিছু শিক্ষার্থী গাড়ির পিছুপিছু মিছিল নিয়ে মূল রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে যান। কর্মীদের অতীতের মত মারমুখী হতে দেখা যায়নি।
তবে নেতাদের গ্রেপ্তারে কর্মীরা শান্ত থাকবে এটা মানতে নারাজ দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিনী। তিনি বলেন, লকডাউনের ফাঁদে ফেলে রমজান মাসে আলেম-ওলামা হয়রানি ও গ্রেপ্তার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। হয়রানি, গ্রেপ্তারর বন্ধ, আটকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। তিনি বলেন, হয়রানি ও গ্রেফতার করে আলেম-ওলামাদের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। কর্মীরা দেশের প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা: থানায় থানায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। আজ রোববার সকাল থেকে বেড়েছে পুলিশের টহল। বাড়ানো হয়েছে কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক ফোর্স। হেফাজতে ইসলামের নাশকতা প্রতিরোধে থানা, ফাড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ দুপুর থেকে অফিস ডিউটি কমিয়ে সব সিনিয়র অফিসাররা মাঠে ডিউটি করছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানান গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঝুঁকি বিবেচনা করে কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রীক সার্বক্ষনিক পুলিশ ফোর্স রাখা হয়েছে। অফিস ডিউটির বদলে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশি টহল।
পুলিশ সদরদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের ওপর হামলায় ব্যর্থ হলে নাশকতাকারীরা সরকারি স্থাপনা ক্ষতি করতে পারে। যে কোনো ধরনের নাশকতা ও হামলা প্রতিরোধে মেট্রোপলিটন, জেলা ও থানা পর্যায়ে সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের যেকোন ইউনিটে সব সময় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন একত্রে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া টহলরত অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন ফোর্স। পুলিশের উপর কোনো হামলা হলে যাতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স ও আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হয়েছে টহলরত পুলিশ সদস্যদের।
অতিরিক্ত ফোর্সের বিষয়ে যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, আমরা ডিসি-এসপি-ইএনও এর কার্যালয়সহ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। যেসব জায়গায় নিরাপত্তা ঘাটতি রয়েছে, সেসব জায়গায় নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে টহল বাড়ানো হয়েছে। থানা ফাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কওমী মাদ্রাসার তালিকা করে ছাত্রসংখ্যা ও শক্তিমাত্রা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কওমী মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়েছে।
হেফাজতের ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নাশকতা চালায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায়। জেলার ৫৮টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করা হয়েছে দুইটি মন্দির। প্রেসক্লাব ও স্থানীয় সরকারি দলীয় নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়েছে।
জেলার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নাশকতার পর থানায় এলএমজি পোস্টসহ নিরাপত্তা জোরদার করেছি। টহল বাড়ানো হয়েছে। হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার হতে পারেন তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই মাদ্রাসা কেন্দ্রীক টহল বাড়িয়ে দিয়েছি।
হঠাৎ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চলমান কার্যক্রমের অংশ মন্তব্য করে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, যে কোনো অপ্রিতকর ঘটনা কঠোর হাতে দমন করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে।
হেফাজত কর্মীরা এখন অনেকটাই শান্ত দাবি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতা মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ডের পর সংগঠনটির অনেক কর্মী মানসিকভাবে নেতৃত্ব নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হেফাজত মাঠে নেমে জালাও পোড়াও করার সাহস পাবে না। তবে হেফাজতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে সেই আশঙ্কায় পুলিশ সব সময় সতর্ক রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যের প্রমাণ মেলে রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের ঘটনায়। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্রকে কয়েক মিনিট বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। কিছু শিক্ষার্থী গাড়ির পিছুপিছু মিছিল নিয়ে মূল রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে যান। কর্মীদের অতীতের মত মারমুখী হতে দেখা যায়নি।
তবে নেতাদের গ্রেপ্তারে কর্মীরা শান্ত থাকবে এটা মানতে নারাজ দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিনী। তিনি বলেন, লকডাউনের ফাঁদে ফেলে রমজান মাসে আলেম-ওলামা হয়রানি ও গ্রেপ্তার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। হয়রানি, গ্রেপ্তারর বন্ধ, আটকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। তিনি বলেন, হয়রানি ও গ্রেফতার করে আলেম-ওলামাদের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। কর্মীরা দেশের প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৬ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে