পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন নেতৃত্বশূন্য থাকা পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাডে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে প্রকাশ করা হয়। পরে কেন্দ্র থেকে জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।
তবে এর আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় প্রকাশিত ভুয়া বিজ্ঞপ্তিটি। অনেকে অভিনন্দন জানায় পদ প্রত্যাশিত নাম থাকা দুই নেতাকে।
গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান কোয়েলকে সভাপতি ও সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ মো. বেলাল হোসেন পাবেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ভুয়া বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। তবে কে বা কারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাড এবং সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর নকল করে এমন ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে বিষয়টি জানেন না কেউই।
এদিকে এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ অন্য নেতা-কর্মীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ বেলাল হোসেন পাবেল বলেন, ‘যারা এই মিথ্যা ভুয়া কমিটিটি ফেসবুকে ছাড়ছে তারা মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আমার সাথে ষড়যন্ত্র করছে। তাই যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ রইল।’
জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহসভাপতি আরিফ আলামিন বলেন, ‘যারা গুজব সৃষ্টি করছে তারা কেউ ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনেক সাংগঠনিক জেলাই দীর্ঘদিন থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী খোঁজ খবর নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে কমিটিগুলো করছি। এরই মধ্যে আমরা অনেক কমিটি করেছি।’
পটুয়াখালী জেলা কমিটি প্রসঙ্গে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত গ্রহণ করেছি। এখানে যাতে কোনোভাবেই বিতর্কিত কেউ আসতে না পারে সে জন্য আমরা যাচাই বাছাই করছি। আশা করছি শোকের মাস আগস্টের শেষে আমরা কমিটি ঘোষণা করতে পারব।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কমিটি প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ পটুয়াখালী জেলার কোনো কমিটি ঘোষণা করেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে প্রেস রিলিজটি ছড়িয়ে পড়েছে তা অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ প্রচার করেছে। আমরা এরই মধ্যে এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছি। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে হাসান সিকদারকে সভাপতি ও ওমর ফারুক ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক বছরের জন্য পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সে সময় এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হলেও গত ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর পর পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি নিলেও জেলা কমিটি আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে কয়েক ডজন ছাত্রলীগ নেতা রয়েছেন যারা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী। প্রতি মাসেই দুই থেকে তিনবার ঢাকা সফর করছেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির চালাচ্ছেন তাঁরা।
দীর্ঘদিন নেতৃত্বশূন্য থাকা পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাডে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে প্রকাশ করা হয়। পরে কেন্দ্র থেকে জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।
তবে এর আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় প্রকাশিত ভুয়া বিজ্ঞপ্তিটি। অনেকে অভিনন্দন জানায় পদ প্রত্যাশিত নাম থাকা দুই নেতাকে।
গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান কোয়েলকে সভাপতি ও সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ মো. বেলাল হোসেন পাবেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ভুয়া বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। তবে কে বা কারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাড এবং সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর নকল করে এমন ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে বিষয়টি জানেন না কেউই।
এদিকে এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ অন্য নেতা-কর্মীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ বেলাল হোসেন পাবেল বলেন, ‘যারা এই মিথ্যা ভুয়া কমিটিটি ফেসবুকে ছাড়ছে তারা মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আমার সাথে ষড়যন্ত্র করছে। তাই যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ রইল।’
জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহসভাপতি আরিফ আলামিন বলেন, ‘যারা গুজব সৃষ্টি করছে তারা কেউ ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনেক সাংগঠনিক জেলাই দীর্ঘদিন থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী খোঁজ খবর নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে কমিটিগুলো করছি। এরই মধ্যে আমরা অনেক কমিটি করেছি।’
পটুয়াখালী জেলা কমিটি প্রসঙ্গে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত গ্রহণ করেছি। এখানে যাতে কোনোভাবেই বিতর্কিত কেউ আসতে না পারে সে জন্য আমরা যাচাই বাছাই করছি। আশা করছি শোকের মাস আগস্টের শেষে আমরা কমিটি ঘোষণা করতে পারব।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কমিটি প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ পটুয়াখালী জেলার কোনো কমিটি ঘোষণা করেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে প্রেস রিলিজটি ছড়িয়ে পড়েছে তা অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ প্রচার করেছে। আমরা এরই মধ্যে এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছি। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে হাসান সিকদারকে সভাপতি ও ওমর ফারুক ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক বছরের জন্য পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সে সময় এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হলেও গত ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর পর পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি নিলেও জেলা কমিটি আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে কয়েক ডজন ছাত্রলীগ নেতা রয়েছেন যারা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী। প্রতি মাসেই দুই থেকে তিনবার ঢাকা সফর করছেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির চালাচ্ছেন তাঁরা।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
৮ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৯ ঘণ্টা আগে