আল-আমিন রাজু, ঝালকাঠি থেকে
বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০-এ আগুনের সূত্রপাত ইঞ্জিনরুম থেকেই হয়েছে। লঞ্চের দুটি ইঞ্জিনের একটির ছয়টি ইন্ডিকেটর কভারের মধ্যে ৩ নম্বর নাট (নজেল) ঢিলা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একই ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেডের কভার ভাঙা পাওয়া গেছে। এসব আলামতের ভিত্তিতে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
আজ শনিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ঝলসে যাওয়া অভিযান-১০-এ পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তাঁরা প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি খতিয়ে দেখেন।
এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য ফরেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তাইফুর আহমেদ ভুইয়া প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি ইঞ্জিনের ৩ নম্বর ইন্ডিকেটরটির কভারের নাট ঢিলা পান। এ ছাড়া ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেড ভাঙা দেখতে পান।
বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে ডাকা হয় ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের পাশে রাখা সুন্দরবন-১২ লঞ্চের দুই মাস্টারকে। তাঁদের মধ্যে মোস্তফা মীর প্রথম ক্লাস ও মো. জালাল সেকেন্ড ক্লাস মাস্টার। প্রায় ১০ মিনিট তাঁদের এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হয়। মন্তব্য শেষে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাঁরা অভিজ্ঞতা থেকে প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে ডাকা হয় বিআইডব্লিউটিএর জাহাজ দুর্বার-এর মাস্টার আনিসুর রহমানকে। তিনিও ইন্ডিকেটর কভারের নাট ঢিলা থাকলে আগুন লাগতে পারে বলে নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া আগুনের তীব্রতার কারণে ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেড ফেটে যায় বলে জানান। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘুরে ঘুরে ইঞ্জিনরুমের ইলেকট্রনিক সার্কিট ও বোর্ডের বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও খতিয়ে দেখেন। ৪০ মিনিটেরও বেশি ইঞ্জিনরুমে অবস্থান শেষে লঞ্চ ঘুরে দেখেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে তদন্তের বিষয়ে কথা বলেন।
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক একটি ধারণা পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল এবং লঞ্চে প্রথম শ্রেণির মাস্টার থাকার কথা থাকলেও ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু কাগজপত্র পেয়েছি। এ ছাড়া মালিক ও লঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষে অভিযোগের বিষয়ে বলা যাবে।’
কারও গাফিলতি ছিল কি না? আর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এই যুগ্ম সচিব বলেন, ‘কারও গাফিলতি ছিল কি না, তদন্ত শেষে বলা যাবে। আর আমরা তদন্তের জন্য তিন দিন সময় পেয়েছি। এর মধ্যে আমাদের ঢাকা থেকে আসতে হয়েছে, ঘটনাস্থলসহ কয়েকটি স্থানে গিয়েছি। কিছু ভুক্তভোগী বরগুনা আছেন। আমাদের সেখানে যেতে হবে। হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সব মিলিয়ে যথা সময়ে রিপোর্ট দেওয়া কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করব।’
বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০-এ আগুনের সূত্রপাত ইঞ্জিনরুম থেকেই হয়েছে। লঞ্চের দুটি ইঞ্জিনের একটির ছয়টি ইন্ডিকেটর কভারের মধ্যে ৩ নম্বর নাট (নজেল) ঢিলা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একই ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেডের কভার ভাঙা পাওয়া গেছে। এসব আলামতের ভিত্তিতে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
আজ শনিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ঝলসে যাওয়া অভিযান-১০-এ পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তাঁরা প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি খতিয়ে দেখেন।
এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য ফরেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তাইফুর আহমেদ ভুইয়া প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি ইঞ্জিনের ৩ নম্বর ইন্ডিকেটরটির কভারের নাট ঢিলা পান। এ ছাড়া ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেড ভাঙা দেখতে পান।
বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে ডাকা হয় ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের পাশে রাখা সুন্দরবন-১২ লঞ্চের দুই মাস্টারকে। তাঁদের মধ্যে মোস্তফা মীর প্রথম ক্লাস ও মো. জালাল সেকেন্ড ক্লাস মাস্টার। প্রায় ১০ মিনিট তাঁদের এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হয়। মন্তব্য শেষে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাঁরা অভিজ্ঞতা থেকে প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে ডাকা হয় বিআইডব্লিউটিএর জাহাজ দুর্বার-এর মাস্টার আনিসুর রহমানকে। তিনিও ইন্ডিকেটর কভারের নাট ঢিলা থাকলে আগুন লাগতে পারে বলে নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া আগুনের তীব্রতার কারণে ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেড ফেটে যায় বলে জানান। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘুরে ঘুরে ইঞ্জিনরুমের ইলেকট্রনিক সার্কিট ও বোর্ডের বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও খতিয়ে দেখেন। ৪০ মিনিটেরও বেশি ইঞ্জিনরুমে অবস্থান শেষে লঞ্চ ঘুরে দেখেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে তদন্তের বিষয়ে কথা বলেন।
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক একটি ধারণা পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল এবং লঞ্চে প্রথম শ্রেণির মাস্টার থাকার কথা থাকলেও ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু কাগজপত্র পেয়েছি। এ ছাড়া মালিক ও লঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষে অভিযোগের বিষয়ে বলা যাবে।’
কারও গাফিলতি ছিল কি না? আর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এই যুগ্ম সচিব বলেন, ‘কারও গাফিলতি ছিল কি না, তদন্ত শেষে বলা যাবে। আর আমরা তদন্তের জন্য তিন দিন সময় পেয়েছি। এর মধ্যে আমাদের ঢাকা থেকে আসতে হয়েছে, ঘটনাস্থলসহ কয়েকটি স্থানে গিয়েছি। কিছু ভুক্তভোগী বরগুনা আছেন। আমাদের সেখানে যেতে হবে। হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সব মিলিয়ে যথা সময়ে রিপোর্ট দেওয়া কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করব।’
আয়শা আক্তার আঁখি এ পর্যন্ত তিনি ৫ শতাধিক গয়না তৈরি করেছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে কানের দুল, গলার সেট, মালা, চুড়িসহ নানা ধরনের গয়না। মাটির গয়নায় নান্দনিক ডিজাইন ও কারুকাজ যুক্ত করে সেগুলি তৈরি করেন তিনি। শুরুতে তেমন সাড়া না পেলেও এখন তাঁর তৈরি গয়নাগুলো অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এবং ক্রেতারা নতুন অর্ডার...
১ মিনিট আগেগতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসনালিসহ হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছ
২৫ মিনিট আগেঅভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
৭ ঘণ্টা আগেছোট্ট দোকান। দোকানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই। দোকানটিতে পাওয়া যায় শুধু জিলাপি আর নিমকি। প্রতিবছর রোজার দিনে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ের এই দোকানে জিলাপি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে