বরগুনা প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের নারীদের অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন। বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীনদের হুমকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী ভোটারদের অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরুৎসাহী। বরগুনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকার নারীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী—এই তিন উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন গঠিত। আয়তন ও ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় দেশের শীর্ষ ১০টি আসনের মধ্যে বরগুনা-১ আসন অন্যতম। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯১০। এঁদের মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন নারী ভোটার। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় এ আসনে নারী ভোটার সংখ্যা বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিটি নির্বাচনে নারী ভোটাররা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনার বিভিন্ন এলাকার নারী ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে মনোভাব জানার চেষ্টা করেছেন এই প্রতিবেদক। এর মধ্যে প্রতি ১০ জন নারীর দুজন কারও সহযোগিতা ছাড়াই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত তাঁরা। এ ছাড়া তিনজন হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁরা পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি নির্ভরশীল। অর্থাৎ এই নারীদের অভিভাবক চাইলে ভোট দিতে যাবেন, না চাইলে যাবেন না। বাকি পাঁচ নারী সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা ‘নিরাপত্তার ভয়ে’ ভোট দিতে যেতে চান না।
বরগুনা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা এলাকা। এই এলাকার একজন গৃহবধূ পারভীন আক্তার যাঁর স্বামীর পেশা নদীতে মাছ শিকার করা। ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহী কি না জানতে চাইলে পারভীন বলেন, ‘হ্যারা যেই রহম হুমকি-ধামকি দেয় মোবাইলে দেহি, হ্যাতে মুই এবার ভোট দেতে যামনু। গ্যাছে বচ্ছর (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) হ্যার (স্বামীর) কতায় ভোট দেতে যাইয়া ফিররা আইছি। মোর ভোট বোলে দেওয়া অইয়া গ্যাছে। এবারও যা দ্যাকতে আছি, হ্যাতে মোর মোনে অয়ন যে সেন্টারে যাইয়া মোর ভোটটা মুই দেতে পারমু।’
একই প্রশ্ন করা হয় পারভীনের প্রতিবেশী মাকসুদা বেগমকে। মাকসুদা বলেন, ‘মোগো ভোট দেলেও বা কী না দেলেও বা কী। হুনছি বোলে এবারও হ্যারা (ক্ষমতাসীনরা) রাইতে নিজেরা ভোট দিয়া লইবে, নাইলে কাইট্টা লইয়া যাইবে। ফাও ছেরেচ্ছাত (কষ্ট করে) হইররা কেডা ভোট দেতে যাইবে।’
জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলেপল্লির কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ওই নারীরা অবশ্য জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে গিয়ে স্বামীর পছন্দমতো প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে আসছেন। সংসদ নির্বাচনেও স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে। এঁদের মধ্যে একজন নিলুফা বেগম বলেন, ‘মোরা হারা জনম হ্যার (স্বামীর) কতামতো প্রার্থীরে ভোট দিয়া আইছি। এইবারও এর ব্যত্যয় হবে না।’
ভোটাধিকার প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অপরের ওপর নির্ভরশীল নন এমন কয়েকজন নারী জানান, প্রচার-প্রচারণায় যেমন পরিবেশ, এখনো ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সিদ্ধান্তহীন। আমতলী উপজেলার চাওড়া এলাকার বাসিন্দা রেজওয়ানা পারভীন (৩৪)। ভোট দিতে যাবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘অবশ্যই যাওয়া উচিত। এটা নাগরিক অধিকার। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, প্রার্থীরা পরস্পরকে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, তাতে এখনো নিরাপদ বোধ করছি না। তবে ভোটের দিন ভোট দিতে যাব মানসিকভাবে এমন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’ একই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজন নারীর।
বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষের প্রকল্প সমন্বয়কারী সামিয়া আফরিন বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনেই নারীরা ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে আমাদের নারীদের একটা বড় অংশ এখনো নির্ভরশীল ব্যক্তির মতামতে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধ্য হন। আবার অনেকে নিরাপত্তার ভয়ে কেন্দ্রে যেতে চান না। তবে কিছু নারী আছেন যাঁরা যেকোনো পরিবেশে স্বাধীন মতপ্রকাশ করেন। তবে এমন নারীর সংখ্যা খুব কম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করছি না। নারীদের উচিত, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের চর্চা করা।’
বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধকরণে আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমেও নারীদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর বাইরেও প্রার্থীদেরও বলা হয়েছে যাতে নারীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই পরিবেশ বজায় রাখতে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের নারীদের অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন। বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীনদের হুমকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী ভোটারদের অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরুৎসাহী। বরগুনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকার নারীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী—এই তিন উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন গঠিত। আয়তন ও ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় দেশের শীর্ষ ১০টি আসনের মধ্যে বরগুনা-১ আসন অন্যতম। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯১০। এঁদের মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন নারী ভোটার। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় এ আসনে নারী ভোটার সংখ্যা বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিটি নির্বাচনে নারী ভোটাররা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনার বিভিন্ন এলাকার নারী ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে মনোভাব জানার চেষ্টা করেছেন এই প্রতিবেদক। এর মধ্যে প্রতি ১০ জন নারীর দুজন কারও সহযোগিতা ছাড়াই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত তাঁরা। এ ছাড়া তিনজন হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁরা পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি নির্ভরশীল। অর্থাৎ এই নারীদের অভিভাবক চাইলে ভোট দিতে যাবেন, না চাইলে যাবেন না। বাকি পাঁচ নারী সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা ‘নিরাপত্তার ভয়ে’ ভোট দিতে যেতে চান না।
বরগুনা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা এলাকা। এই এলাকার একজন গৃহবধূ পারভীন আক্তার যাঁর স্বামীর পেশা নদীতে মাছ শিকার করা। ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহী কি না জানতে চাইলে পারভীন বলেন, ‘হ্যারা যেই রহম হুমকি-ধামকি দেয় মোবাইলে দেহি, হ্যাতে মুই এবার ভোট দেতে যামনু। গ্যাছে বচ্ছর (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) হ্যার (স্বামীর) কতায় ভোট দেতে যাইয়া ফিররা আইছি। মোর ভোট বোলে দেওয়া অইয়া গ্যাছে। এবারও যা দ্যাকতে আছি, হ্যাতে মোর মোনে অয়ন যে সেন্টারে যাইয়া মোর ভোটটা মুই দেতে পারমু।’
একই প্রশ্ন করা হয় পারভীনের প্রতিবেশী মাকসুদা বেগমকে। মাকসুদা বলেন, ‘মোগো ভোট দেলেও বা কী না দেলেও বা কী। হুনছি বোলে এবারও হ্যারা (ক্ষমতাসীনরা) রাইতে নিজেরা ভোট দিয়া লইবে, নাইলে কাইট্টা লইয়া যাইবে। ফাও ছেরেচ্ছাত (কষ্ট করে) হইররা কেডা ভোট দেতে যাইবে।’
জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলেপল্লির কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ওই নারীরা অবশ্য জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে গিয়ে স্বামীর পছন্দমতো প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে আসছেন। সংসদ নির্বাচনেও স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে। এঁদের মধ্যে একজন নিলুফা বেগম বলেন, ‘মোরা হারা জনম হ্যার (স্বামীর) কতামতো প্রার্থীরে ভোট দিয়া আইছি। এইবারও এর ব্যত্যয় হবে না।’
ভোটাধিকার প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অপরের ওপর নির্ভরশীল নন এমন কয়েকজন নারী জানান, প্রচার-প্রচারণায় যেমন পরিবেশ, এখনো ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সিদ্ধান্তহীন। আমতলী উপজেলার চাওড়া এলাকার বাসিন্দা রেজওয়ানা পারভীন (৩৪)। ভোট দিতে যাবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘অবশ্যই যাওয়া উচিত। এটা নাগরিক অধিকার। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, প্রার্থীরা পরস্পরকে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, তাতে এখনো নিরাপদ বোধ করছি না। তবে ভোটের দিন ভোট দিতে যাব মানসিকভাবে এমন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’ একই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজন নারীর।
বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষের প্রকল্প সমন্বয়কারী সামিয়া আফরিন বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনেই নারীরা ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে আমাদের নারীদের একটা বড় অংশ এখনো নির্ভরশীল ব্যক্তির মতামতে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধ্য হন। আবার অনেকে নিরাপত্তার ভয়ে কেন্দ্রে যেতে চান না। তবে কিছু নারী আছেন যাঁরা যেকোনো পরিবেশে স্বাধীন মতপ্রকাশ করেন। তবে এমন নারীর সংখ্যা খুব কম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করছি না। নারীদের উচিত, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের চর্চা করা।’
বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধকরণে আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমেও নারীদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর বাইরেও প্রার্থীদেরও বলা হয়েছে যাতে নারীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই পরিবেশ বজায় রাখতে।’
চট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
২৭ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
৩৯ মিনিট আগে