পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৮: ২৬

ভোলার দৌলতখানে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবক নোমানের মরদেহ চার দিন পর ঘটনাস্থলে ভেসে উঠেছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে তাঁর ভাসমান লাশ দেখতে পান। 

দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। নোমানের পরিবার মরদেহ শনাক্ত করেছে। 

এদিকে নোমানের মরদেহ উদ্ধারের খবরে তাঁর স্বজন ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। স্বজনেরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন। 

নোমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন ও ভোলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম কামরুল।

নিখোঁজের পর থেকে এ ঘটনায় ওসির গাড়িচালক কনস্টেবল মো. রাসেল ও সজীব নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও দৌলতখান থানা থেকে প্রত্যাহার করে ভোলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে থানার উপপরিদর্শক স্বরূপ কান্তি পাল ও সহকারী উপপরিদর্শক মো. সোহেল রানাকে। 

গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল মাছ ঘাটসংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় নোমানসহ বেশ কয়েকজন জুয়া খেলছিলেন। এ সময় বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য ও ক্লোজড হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা নোমানদের জুয়ার আসরে তাঁদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে নোমানসহ কয়েকজন পড়ে যায়। তাঁদের মধ্যে সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও, নোমান উঠতে পারেনি। এরপরই নিখোঁজ হয় নোমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নোমান নদীতে পড়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার না করে ওপর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। 

দৌলতখান থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত