ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু, বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২২, ২৩: ৩৭
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১২: ০২

মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ১৫ রমজান বাড়ি আসার কথা ছিল গার্মেন্টস কর্মী আবু সালেহের। কিন্তু ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁদের সব ওলটপালট হয়ে গেছে। চোখের সামনে এক সন্তানের মৃত্যু দেখে অপর সন্তান বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় আবু সালেহেরও।

গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান তাঁরা। আজ রোববার সকাল ১০টায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের তাঁর নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, ইপিজেডের এইচকেডি গার্মেন্টস কর্মী আবু সালেহ (৩৮) ও তাঁর ছেলে আবদুল মোমিন (১)। নিহত আবু সালেহ ওই ইউনিয়নের মৃত আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী কলি (২৫) ও আরেক সন্তান মুহিত (৪)। মাহিত বাবা ও ছোট ভাইয়ের মরদেহের সঙ্গে পাথরঘাটায় ফিরে জানাজায় অংশ নিলেও মা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যুর সংবাদে আবু সালেহের বাড়ি পাথরঘাটাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

কালমেঘা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, ছোট বেলায় আবু সালেহের বাবা মারা গেলে সেই সময় থেকেই তাঁর মাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করছিলেন। বিয়ের পর পরিবারের সঙ্গে মাকে নিয়েই চট্টগ্রামের বন্দরটিলা আকমল আলী রোডের মনির বিল্ডিংয়ে বসবাস করে আসছে। 

জানা যায়, পরিবার নিয়ে মার্কেটে কেনাকাটার করতে যাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রী ও ছেলেরা রিকশায় ছিলেন। পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা দিলে রাস্তায় পরে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হন বাবা-ছেলে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা কাভার্ডভ্যানটি ভাঙচুর এবং সড়কে অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

ইপিজেড থানার উপপরিদর্শক আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, কাভার্ডভ্যান চাপায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত