Ajker Patrika

আগৈলঝাড়ায় দিনে-রাতে অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ থাকছে না, জনজীবন বিপর্যস্ত

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩, ১৫: ২৪
আগৈলঝাড়ায় দিনে-রাতে অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ থাকছে না, জনজীবন বিপর্যস্ত

চলমান তীব্র এই তাপপ্রবাহে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দিন-রাত মিলিয়ে অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ থাকছে না। তাতে স্থানীয় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এ খবর জানা গেছে। তাঁরা বলছেন, দিনে-রাতে আট-দশবার লোডশেডিং হচ্ছে। একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ, তার ওপর লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবনে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার আগৈলঝাড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে টেলিভিশন, ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটারসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে ব্যাটারি চার্জ দিতে না পারায় ইজিবাইকচালকেরা গাড়ি চালাতে পারছে না।

উপজেলার দক্ষিণ বাকাল গ্রামের ব্যবসায়ী জীবন হালদার বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত আট-দশবার লোডশেডিং হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

বাশাইল গ্রামের গৃহিণী রোকেয়া বেগম বলেন, রাতে বেশির ভাগ সময় লোডশেডিংয়ের কারণে ঘুমাতে না পেরে পরিবার নিয়ে বাধ্য হয়ে বাইরে রাত যাপন করতে হয়েছে।

উপজেলার পাকুরিতা গ্রামের তপন বাড়ৈ বলেন, শনিবার রাতে তিনবার ও আজ রোববার সকালে একবার লোডশেডিং হয়েছে। প্রতিবারে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং ছিল।

ছয়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা কবির হাওলাদার বলেন, রাতে-দিনে মিলিয়ে মোট পাঁচবার লোডশেডিং দেওয়া হয়েছে।

গৈলা রথখোলা বাজারের ব্যবসায়ী মামুন সরদার বলেন, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যায়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আসছে এক-দেড় ঘণ্টা পর। এ ঘটনা একবার নয়, দিনে-রাতে কয়েকবার ঘটছে। সন্ধ্যার পর এবং রাতে কয়েকবার দেড় ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একে তো তাপপ্রবাহ, তার ওপর লোডশেডিংয়ের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুতের বিভাগীয় অফিসের প্রকৌশলী জিহাদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রায় ৫২ হাজার গ্রাহকের বর্তমানে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। এ ছাড়া পায়রা কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট সম্পন্ন দুটি ইউনিট চালু থাকলেও দেড় মাস আগে কয়লাসংকটের কারণে একটি বন্ধ হয়ে যায়। অপর ইউনিটটি বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও দু-এক দিনের মধ্যে সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে। যে কারণে এই এলাকায় লোডশেডিংয়ের তীব্রতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে এই সংকটের কোনো সমাধান আপাতত কেউ দিতে পারেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগীয় অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) অসিত কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত