এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি—এই তিন মাস তীব্র গরম অনুভূত হয় দেশে। গ্রীষ্মের এ সময়ে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা থাকে গড়ে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদার এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোয় জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে হবে।
শহর ও গ্রামাঞ্চলে সমানভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং লোডশেডিংয়ের তথ্য ২৪ ঘণ্টা পূর্বে প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। মু. আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হ
লোডশেডিং এড়াতে এসি’ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখাসহ দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার ও আলোকসজ্জা পরিহার করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
চলতি রমজানে মানুষকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্ত রাখতে চাহিদার সমান বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়েছে সরকার। বায়ুতে তাপমাত্রা কম থাকায় বর্তমানে পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ১৩ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মার্চের শেষের দিকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রা।
রমজানে মানুষকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেছেন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। লোডশেড মুক্ত রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া শিল্প, কলকারখানায়ও গ্যাস সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আর এতেই টান পড়েছে বাসাবাড়ির
এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রীর নিচে না নামানোর জন্য অনুরোধ করছি। না হলে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে, তাতে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হতে পারে। মসজিদ ছাড়াও বাসা-বাড়ি, দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে যাতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা ও অপ্রয়োজনীয় ফ্যান লাইট না চলে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে...
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর চালু করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরল...
বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে নির্দিষ্ট লাইনে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে এবং এর আগেই গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি আরও বলেন, লোডশেডিং শুরু হলে তা তাঁর নিজ বাসা থেকেই কার্যকর হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গ্রীষ্মে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পবিত্র রমজানে গ্যাস আমদানি করা হবে এবং ব্যয় সংকোচন করতে ভবিষ্যতে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, আসন্ন রমজান মাসে লোডশেডিং হবে না।
বিশ্বে গড়ে যেখানে মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার হয় ৩ হাজার কিলোওয়াট, সেখানে দেশে মাত্র ৪৬৫ কিলোওয়াট। কিন্তু তারপরও দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং এবং গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে; বিশেষ করে শিল্প খাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের অভাবে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় ২০২৩ সালের মার্চে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বুস্টার যন্ত্রটিও বন্ধ হয়। দুই দফা মেরামত ও দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত মে মাসে ফের উৎপাদনে আসে ১০০ মেগাওয়াটের গ্য
মধ্য আমেরিকার দেশ কিউবায় বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। পুরো দেশেই বিদ্যুৎ ব্ল্যাকআউটের কারণ হলো, দেশটির সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থসংকটে ভুগতে থাকা কিউবায় বিগত কিছুদিন ধরেই বিদ্যুতের সংকট দেখা দিলেও এই প্রথম পুরো দেশই বিদ্যুৎহীন হওয়ার ঘটনা ঘটল।
ফরিদপুরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। হঠাৎ এমন লোডশেডিংয়ে দেখা দিয়ে ভোগান্তি।
ভাদ্র মাস বিদায় নিয়েছে। আশ্বিনও পার করে ফেলেছে পাঁচ দিন। শরতের এ সময় তাপমাত্রা কমার কথা; কিন্তু ঘটছে তার উল্টো। সারা দেশে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই এতটা গরম যে মনে হচ্ছে, তাপমাত্
৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর থেকে এ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ ইউনিট থেকে দৈনিক ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
ডলার-সংকটের কারণে ঝুলছে এলএনজি বাবদ ৬০ কোটি ডলারের বেশি বকেয়া। এই কারণে নতুন করে এলএনজি কেনা বন্ধ আছে। গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক লোডশেডিং চলছে সারা দেশে। বিদ্যুতের জন্য মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।