প্রবল স্রোতে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি চলাচল ব্যাহত

প্রতিনিধি, ভোলা
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ২১

উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতের কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে নদী পারাপারের দ্বিগুণ সময় লাগছে। তা ছাড়া ফেরি পারাপারে ট্রিপের সংখ্যা কমে আসায় ঘাটে অপেক্ষায় থাকা দুই পাড়ে যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থেকে নষ্ট হচ্ছে কাঁচা ও পচনশীল পণ্য। ফলে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী, চালক ও ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনা-চট্টগ্রাম, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুরের ইলিশা ফেরিঘাট। সম্প্রতি ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে একটি ফেরি বিকল ও মেঘনায় প্রবল স্রোত থাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে পরিবহনের দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। ২-৩ দিন অপেক্ষা করেও ফেরিতে সিরিয়াল না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীদের। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি।

ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট পর্যন্ত মেঘনার প্রায় ২২ নটিক্যাল মাইল নদী পারাপারের জন্য বিআইডব্লিউটিসির নিয়মিত ৩টি ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে কিষানি ফেরিটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই পথে পারাপার করা যাত্রী ও পরিবহনের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রতিকূল অবস্থায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকেরা।

ইলিশা ঘাটে থাকা কাভার্ডভ্যান চালক হাসনাইন জানান, বরিশাল থেকে ধান নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোলা ইলিশা ঘাটে এসেছেন তিন দিন আগে। কিন্তু, ফেরি বন্ধ থাকায় এখনো সিরিয়াল পাননি তিনি।

এদিকে কনক চাপা ফেরির মাস্টার কামাল পাশা বলেন, একটি ফেরি নষ্ট থাকা ও দিনের অর্ধেক সময় জোয়ারে ডুবে থাকে ফেরিতে ওঠানামার অ্যাপ্রোচ সড়ক ও গ্যাংওয়ে। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তি বেড়েছে। স্রোতে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় ট্রিপ কমে যাওয়ায় এই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ভোলা বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রবল স্রোতে কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা সেখানে ৩ / ৪ ঘণ্টা সময় লাগছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে দুই পাড়ের ঘাট ডুবে থাকায় ফেরি লোড-আনলোডে ৪ / ৫ ঘণ্টা সময় লাগছে। 

জানা যায়, ভোলা-লক্ষ্মীপুর এই ফেরি সার্ভিসে প্রতিদিন দুই শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন ও কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হয়। ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে কম সময় লাগার কারণে এই রুটে যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় ওয়ে ওঠে এ রুটটি। তাই এ রুটের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত