খান রফিক, বরিশাল
ঈদুল আজহায় বরিশাল নগরে চাচা-ভাতিজার পাল্টাপাল্টি রাজনীতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চাচা নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করান। তাতে মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে নানা শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। তবে ওই অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি ভাতিজা মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তাঁর অনুসারী নেতারাও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।
এর জবাবে মেয়র সাদিক ও তাঁর অনুসারীদের ঈদের রাতে ভূরিভোজ করান আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। মাহবুব উদ্দিন স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়া দলনেতা। তিনি ১৯৯৬ সালে বরিশাল সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি প্রার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, ঈদের দিন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল ক্লাবে নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাড়ে ৫ হাজার মানুষের দাওয়াত ছিল। তাঁদের বিরিয়ানি ও রোস্ট দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে ভাতিজা মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও তাঁর অনুসারীদের দেখা যায়নি। যদিও সেখানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিমসহ রাজনীতিক, সমাজসেবক ও বিভিন্ন ধর্মের লোক ছিলেন।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে ক্ষণিকের জন্য চাচা-ভাতিজা কোলাকুলি করলেও তাঁদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। সে সময় মেয়র সাদিকের পাশে তাঁর ছেলেও ছিলেন।
জানতে চাইলে বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়র সাদিক ঈদের দিন বিকেলে তাঁর সামনে বলছেন যে তাঁকে চাচা খোকন সেরনিয়াবাত দাওয়াত দেননি। মেয়র আরও বলছেন, ঈদের জামাতে তাঁর ছেলেকে একটু আদর করতে পারতেন দাদা খোকন সেরনিয়াবাত।’
সহসভাপতি আনোয়ার বলেন, তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত কাউন্সিলর শিলাকে দাওয়াত দিয়েছেন অন্য একজন কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলরদের দাওয়াত তো দিবেন নবনির্বাচিত মেয়র নিজে। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব ভাইকে দাওয়াত দিয়েছেন অন্য একজন। ওই ঘটনার পর মাহবুব ভাই মেয়র সাদিকসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সব নেতাকে ঈদের রাতে বাসায় দাওয়াত করে খাইয়েছেন।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আমাকে দাওয়াতই দেননি, কী করে যাব! অন্য কেউ দাওয়াত দিলে কি হবে বলেন?’ তিনি আরও বলেন, ঝোঁকের মধ্যে মেয়র সাদিককে ঈদে দাওয়াত করে খাওয়ানো হয়েছে। হঠাৎ দুপুরে সিদ্ধান্ত হয় যে মেয়র সাদিক তাঁর বাসায় যাবেন। রাতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ প্রায় ৩০০ লোক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ঈদের দাওয়াতে অংশ নেন। মাহবুব বলেন, সদর আসনের এমপি মনোনয়ন পেলে তিনি সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করবেন।
এ প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত মেয়র খোকনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত লস্কর নুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। সংগঠনভিত্তিক প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তবে মেয়র সাদিক ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গিরকে দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন নবনির্বাচিত মেয়র খোকন। তিনি দাওয়াত দিয়েছেন কি না, তা জানা নেই।’
এ ব্যাপারে শহর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগে উপদল সৃষ্টি করতে প্রতিনিয়ত মেয়র সাদিক ব্যস্ত। তিনি এখন মাহবুব ভাইয়ের ওপর ভর করছেন। পাল্টাপাল্টি এমন আয়োজনে চাচা-ভাতিজার দূরত্ব ফুটে উঠল।’
আওয়ামী লীগ নেতা মোহন বলেন, ‘এসব অনুষ্ঠানে আবার দাওয়াত দেওয়া লাগবে কেন? ভাতিজা সাদিক তো বলে বেড়াচ্ছেন যে আমার চাচায় মেয়র হয়েছেন। তাহলে চাচার কর্মসূচিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে আসা উচিত ছিল ভাতিজার।’
ঈদুল আজহায় বরিশাল নগরে চাচা-ভাতিজার পাল্টাপাল্টি রাজনীতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চাচা নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করান। তাতে মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে নানা শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। তবে ওই অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি ভাতিজা মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তাঁর অনুসারী নেতারাও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।
এর জবাবে মেয়র সাদিক ও তাঁর অনুসারীদের ঈদের রাতে ভূরিভোজ করান আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। মাহবুব উদ্দিন স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়া দলনেতা। তিনি ১৯৯৬ সালে বরিশাল সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি প্রার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, ঈদের দিন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল ক্লাবে নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাড়ে ৫ হাজার মানুষের দাওয়াত ছিল। তাঁদের বিরিয়ানি ও রোস্ট দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে ভাতিজা মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও তাঁর অনুসারীদের দেখা যায়নি। যদিও সেখানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিমসহ রাজনীতিক, সমাজসেবক ও বিভিন্ন ধর্মের লোক ছিলেন।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে ক্ষণিকের জন্য চাচা-ভাতিজা কোলাকুলি করলেও তাঁদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। সে সময় মেয়র সাদিকের পাশে তাঁর ছেলেও ছিলেন।
জানতে চাইলে বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়র সাদিক ঈদের দিন বিকেলে তাঁর সামনে বলছেন যে তাঁকে চাচা খোকন সেরনিয়াবাত দাওয়াত দেননি। মেয়র আরও বলছেন, ঈদের জামাতে তাঁর ছেলেকে একটু আদর করতে পারতেন দাদা খোকন সেরনিয়াবাত।’
সহসভাপতি আনোয়ার বলেন, তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত কাউন্সিলর শিলাকে দাওয়াত দিয়েছেন অন্য একজন কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলরদের দাওয়াত তো দিবেন নবনির্বাচিত মেয়র নিজে। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব ভাইকে দাওয়াত দিয়েছেন অন্য একজন। ওই ঘটনার পর মাহবুব ভাই মেয়র সাদিকসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সব নেতাকে ঈদের রাতে বাসায় দাওয়াত করে খাইয়েছেন।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আমাকে দাওয়াতই দেননি, কী করে যাব! অন্য কেউ দাওয়াত দিলে কি হবে বলেন?’ তিনি আরও বলেন, ঝোঁকের মধ্যে মেয়র সাদিককে ঈদে দাওয়াত করে খাওয়ানো হয়েছে। হঠাৎ দুপুরে সিদ্ধান্ত হয় যে মেয়র সাদিক তাঁর বাসায় যাবেন। রাতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ প্রায় ৩০০ লোক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ঈদের দাওয়াতে অংশ নেন। মাহবুব বলেন, সদর আসনের এমপি মনোনয়ন পেলে তিনি সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করবেন।
এ প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত মেয়র খোকনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত লস্কর নুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। সংগঠনভিত্তিক প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তবে মেয়র সাদিক ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গিরকে দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন নবনির্বাচিত মেয়র খোকন। তিনি দাওয়াত দিয়েছেন কি না, তা জানা নেই।’
এ ব্যাপারে শহর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগে উপদল সৃষ্টি করতে প্রতিনিয়ত মেয়র সাদিক ব্যস্ত। তিনি এখন মাহবুব ভাইয়ের ওপর ভর করছেন। পাল্টাপাল্টি এমন আয়োজনে চাচা-ভাতিজার দূরত্ব ফুটে উঠল।’
আওয়ামী লীগ নেতা মোহন বলেন, ‘এসব অনুষ্ঠানে আবার দাওয়াত দেওয়া লাগবে কেন? ভাতিজা সাদিক তো বলে বেড়াচ্ছেন যে আমার চাচায় মেয়র হয়েছেন। তাহলে চাচার কর্মসূচিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে আসা উচিত ছিল ভাতিজার।’
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
২০ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে