বরগুনা আ. লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২২, ১৬: ১২

বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বুড়িরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা এনামুল হক শাহীন। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাড. হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন দিয়েছেন। মামলায় সিদ্দিকুর রহমান ছাড়াও বুড়িরচর ইউনিয়নের ফারুক মৃধার ছেলে সুমন, বশির এবং সৈয়দ গাজীর ছেলে মুসাকে আসামি করা হয়েছে। 

জানা যায়, সিদ্দিকুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। মামলার বাদী এনামুল হক শাহীনও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এনামুল হক শাহীন স্বতন্ত্র এবং সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে শাহীন ও সিদ্দিকুর রহমান উভয়েই পরাজিত হন। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন হুমায়ুন কবীর ও এনামুল হক শাহীন। নির্বাচনে হুমায়ুন কবিরের কাছে সিদ্দিকুর রহমান পরাজিত হন। আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানের ধারণা এনামুল হক শাহিন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করেছেন। এ নিয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ছিলেন সাবেক এই চেয়ারম্যান। 

শাহীনের অভিযোগ, পরাজিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকেরা শাহীনের সমর্থকদের গালাগাল ও মারধরের চেষ্টা করেছে। গত ১৯ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা থানার সামনে বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজের ল চেম্বারের সামনে আসামিরা এনামুল হক শাহিনকে একা পেয়ে খুনের উদ্দেশ্য হামলা চালায়। হামলায় আহত শাহিন বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। 

এ নিয়ে মামলার বাদী এনামুল হক শাহিন বলেন, ‘আমি নির্বাচনে কারও সঙ্গে আপস করিনি। সিদ্দিকুর রহমান মনে করেছে আমি কবিরের সঙ্গে আপস করে তাঁকে বিজয়ী করেছি। ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে সিদ্দিকের লোকজন আমাকে মারধর করেছে। আমার বাবা আবদুল মান্নান ওই ইউনিয়নে দুইবার চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি একাধিকবার নির্বাচন করেছি। সিদ্দিক ও তাঁর লোকজন অনেক লোকের সামনে আমাকে মারধর করেছে। এটা আমার কাম্য ছিল না।’ 

মারধরের প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম। এ বছর আমি হতে পারিনি। এতে আমার কারও ওপর কোনো ক্ষোভ নেই। শাহিনকে আমি মারিনি। তিনি কারও পরামর্শে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছেন। শাহিন মামলায় উল্লেখ করেছে পৌর মেয়রের ল চেম্বারের সামনে ঘটনা। সেখানে কোনো ঘটনা হলে পৌর মেয়র সাক্ষ্য থাকতেন। শাহিনের মিথ্যা মামলা করা ঠিক হয়নি।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত