সাইফুল ইসলাম, চরফ্যাশন (ভোলা)
চাষি থেকে হাতবদল হয়ে ভোক্তা পর্যায়ে চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বর্তমানে চরফ্যাশনে খুচরা বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে প্রতিটি ২৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। অথচ খেত থেকে তরমুজটি চাষিরা ১০০ টাকায় বিক্রি করেন। চরফ্যাশন থেকে প্রতিদিন সড়ক ও নদীপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে তরমুজের দাম কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় কিনতে পারছেন না তাঁরা। চাষিরা বলছেন, বাজারে চাহিদার সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট চক্র ইচ্ছেমতো দামে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে একদিকে যেমন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক, অন্যদিকে চড়া দামে তরমুজ কিনতে হয় ক্রেতাদের। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।
বাজারে তরমুজ কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বছর আমার সন্তানদের এখনো তরমুজ খাওয়াতে পারিনি। রমজান উপলক্ষে তরমুজের দাম বেশি। বাড়তি দামে তরমুজ কেনার সামর্থ্য নেই।’
চরফ্যাশন উপজেলার নজরুলনগর এলাকার তরমুজচাষি আবুল কালাম জানান, বর্তমানে মাঝারি থেকে বড় আকারের ১০০ তরমুজ ১৩ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পিস অনুযায়ী বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এটা উচিত না, এতে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। আর বাজার ঠিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো উচিত।’
মুজিবনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তরমুজচাষি শামিম পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা খেত থেকে যে তরমুজটি ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন বাজারে সেই তরমুজের দাম ২৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। যদিও আমাদের লোকসান হয়নি। আমাদের কাছ থেকে তারা ছোট-বড় সাইজ দেখে দাম ঠিক করেছে। এত দামে যেহেতু বিক্রি করি নাই, তাই ক্রেতার ওপর এত চাপ পড়ুক তা চাই না।’
তরমুজের পাইকারি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, ‘কৃষকের খেত থেকে কিছুটা কম দামে তরমুজ কিনলেও পরিবহন ভাড়ায় অনেক খরচ হয়ে যায়। তা ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে গেছে। সব খরচসহ প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়েছে ৩৩০ টাকা। এ জন্য আকারভেদে তরমুজ বিক্রি করতে হয়।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চরফ্যাশন উপজেলায় বার্ষিক ৮৫ হাজার ১৯২ হেক্টর আবাদি জমি ও ৩ হাজার ৩৩৭ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। আবাদি জমির মধ্যে চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজিসহ ধান চাষ হয়েছে ৭৫ হাজার ৭২ হেক্টর জমিতে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘চরফ্যাশন উপজেলায় গ্লোরি, জাম্বু ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ চাষ হয়। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০ থেকে ৫০০ মেট্রিকটন ফলন হতে পারে। তরমুজ চাষে কৃষকদের হেক্টরপ্রতি খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন বলেন, ‘চরফ্যাশন উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উপজেলার নজরুলনগর, নুরাবাদ ও মুজিবনগর ইউনিয়নে তরমুজ চাষ বেশি হয়। বিগত দিনগুলোর থেকে এ বছর তরমুজের আবাদের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনও বেশি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা পর্যায়ে তরমুজের দাম তিন-চার গুণ হওয়া অযৌক্তিক।’
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত বুধবার রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য মনিটরিংসহ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যতালিকা না থাকা, জিনিসপত্রের মূল্য বেশি রাখা ইত্যাদি অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড প্রদান করাসহ ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে কোনো ব্যবসায়ী যদি এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকেন, তাহলে ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাষি থেকে হাতবদল হয়ে ভোক্তা পর্যায়ে চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বর্তমানে চরফ্যাশনে খুচরা বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে প্রতিটি ২৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। অথচ খেত থেকে তরমুজটি চাষিরা ১০০ টাকায় বিক্রি করেন। চরফ্যাশন থেকে প্রতিদিন সড়ক ও নদীপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে তরমুজের দাম কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় কিনতে পারছেন না তাঁরা। চাষিরা বলছেন, বাজারে চাহিদার সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট চক্র ইচ্ছেমতো দামে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে একদিকে যেমন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক, অন্যদিকে চড়া দামে তরমুজ কিনতে হয় ক্রেতাদের। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।
বাজারে তরমুজ কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বছর আমার সন্তানদের এখনো তরমুজ খাওয়াতে পারিনি। রমজান উপলক্ষে তরমুজের দাম বেশি। বাড়তি দামে তরমুজ কেনার সামর্থ্য নেই।’
চরফ্যাশন উপজেলার নজরুলনগর এলাকার তরমুজচাষি আবুল কালাম জানান, বর্তমানে মাঝারি থেকে বড় আকারের ১০০ তরমুজ ১৩ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পিস অনুযায়ী বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এটা উচিত না, এতে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। আর বাজার ঠিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো উচিত।’
মুজিবনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তরমুজচাষি শামিম পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা খেত থেকে যে তরমুজটি ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন বাজারে সেই তরমুজের দাম ২৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। যদিও আমাদের লোকসান হয়নি। আমাদের কাছ থেকে তারা ছোট-বড় সাইজ দেখে দাম ঠিক করেছে। এত দামে যেহেতু বিক্রি করি নাই, তাই ক্রেতার ওপর এত চাপ পড়ুক তা চাই না।’
তরমুজের পাইকারি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, ‘কৃষকের খেত থেকে কিছুটা কম দামে তরমুজ কিনলেও পরিবহন ভাড়ায় অনেক খরচ হয়ে যায়। তা ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে গেছে। সব খরচসহ প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়েছে ৩৩০ টাকা। এ জন্য আকারভেদে তরমুজ বিক্রি করতে হয়।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চরফ্যাশন উপজেলায় বার্ষিক ৮৫ হাজার ১৯২ হেক্টর আবাদি জমি ও ৩ হাজার ৩৩৭ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। আবাদি জমির মধ্যে চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজিসহ ধান চাষ হয়েছে ৭৫ হাজার ৭২ হেক্টর জমিতে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘চরফ্যাশন উপজেলায় গ্লোরি, জাম্বু ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ চাষ হয়। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০ থেকে ৫০০ মেট্রিকটন ফলন হতে পারে। তরমুজ চাষে কৃষকদের হেক্টরপ্রতি খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন বলেন, ‘চরফ্যাশন উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উপজেলার নজরুলনগর, নুরাবাদ ও মুজিবনগর ইউনিয়নে তরমুজ চাষ বেশি হয়। বিগত দিনগুলোর থেকে এ বছর তরমুজের আবাদের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনও বেশি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা পর্যায়ে তরমুজের দাম তিন-চার গুণ হওয়া অযৌক্তিক।’
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত বুধবার রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য মনিটরিংসহ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যতালিকা না থাকা, জিনিসপত্রের মূল্য বেশি রাখা ইত্যাদি অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড প্রদান করাসহ ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে কোনো ব্যবসায়ী যদি এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকেন, তাহলে ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১৬ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৪০ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগে