প্রতিনিধি
পাথরঘাটা (বরগুনার): উত্তল বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই, প্রকৃতির ভয়াল দুর্যোগ, কখনো দস্যুদের হামলা, আবার কখনো দাদনের দায়ে আটকা চির দারিদ্র্যের সঙ্গে জিম্মি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জেলেরা। সব সমস্যা মোকাবিলার পর তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান তাঁরা। এ ছাড়া সরকারি বিধিনিষেধও নিয়মিতই মানতে হয় তাঁদের।
বছরের প্রায় সারাটা মৌসুম জেলেদের বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। এখন ইলিশের মৌসুম শুরু হয়েছে উপকূল জুড়ে। গত ২০ মে থেকে টানা ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকারে বিধিনিষেধের কারণে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না উপজেলার জেলেরা। একদিকে আয়ের একমাত্র পথ বন্ধ, অন্যদিকে মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পরেছে তাঁদের। এ ছাড়া নিবদ্ধিত জেলেরা সরকারি অনুদান পেলেও অনিবন্ধিত জেলেরা পাচ্ছেন না কোন সরকারি সহায়তা।
জেলে পল্লি ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সাগরে অবরোধ থাকায় মাছ ধরায় ব্যবহৃত নৌকা নদী থেকে ডাঙায় তুলে রেখেছেন জেলেরা। পেটের তাগিদে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তাঁরা। কেউ দিনমজুর বা রিকশা চালান। আবার কাজ না পেয়ে প্রতিদিন শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন অনেক বেকার জেলে।
প্রান্তিক জেলেরা জানান, সাগরে ৬৫ দিন অবরোধ মাছ ধরতে পারছেন না তাঁরা। ঘরে ছেলেমেয়ের খাবার ও সংসারের খরচপাতি নিয়ে মহাবিপদে আছেন তাঁরা। ৬৫ দিন কীভাবে সংসারের খরচ জোগান দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। ৬৫ দিনের অবরোধে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন অনেকই।
হরিণঘাটা গ্রামের জাকির বলেন, 'সাদা ষ্টাম পেপারে সাক্ষর দিয়ে কর্জ (ঋণ) করে টাকা এনে বাজার করছি। ঘরে চাল নেই, সাগরে অবরোধ! পেট আর বাচ্চারা তো অবরোধ বুঝেনা।' রুহিতা গ্রামের জয়নাল বলেন, 'ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমরা বড়রা বুঝি, কিন্তু বাচ্চারা তো বোঝে না। বারবার মাছ-মাংসের জন্য বায়না ধরে। কী হরমু কন ভাই? '
সোনা মিয়া নামের আরেক জেলে জানান, খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকাই তাঁদের একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু নিবন্ধিত জেলে না হওয়ায় সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তাঁরা। এ চিত্র শুধু তিনজন জেলের নয়। এমন চিত্র উপকূলের হাজার হাজার অনিবন্ধিত জেলেদের চিত্র বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের জেলেরা দেশীয় আইন মেনে না খেয়ে দিন পার করছে। অপরদিকে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ জল সীমায় এসে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যাদের পরামর্শে মৎস্য অধিদপ্তর এই ৬৫ দিনের অবরোধ শুরু করেছে তাঁদের এ ব্যাপারে আরও গভীর গবেষণা করা উচিত। কেননা এই আইন পাশ করার পর থেকে দিন দিন ইলিশ মাছের সংখ্যা কমে গেছে। অপরদিকে জেলেরা ভুগছে অর্থনৈতিক সংকটে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৩৬ হাজার ২২ জন। তার মধ্যে সমুদ্রগামী ২৭ হাজার ২৭৭ জেলে পাবে খাদ্য সহায়তা ৮৬ কেজি করে চাল।
নিবন্ধনের বাইরে বরগুনা জেলায় লক্ষাধিক জেলেদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিভাগীয় মৎস্য উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, বাকি জেলেদের কার্ডের আওতায় আনতে সরকার ইতিমধ্যে নতুন করে জেলে তালিকা নিবন্ধনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানান তিনি।
পাথরঘাটা (বরগুনার): উত্তল বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই, প্রকৃতির ভয়াল দুর্যোগ, কখনো দস্যুদের হামলা, আবার কখনো দাদনের দায়ে আটকা চির দারিদ্র্যের সঙ্গে জিম্মি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জেলেরা। সব সমস্যা মোকাবিলার পর তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান তাঁরা। এ ছাড়া সরকারি বিধিনিষেধও নিয়মিতই মানতে হয় তাঁদের।
বছরের প্রায় সারাটা মৌসুম জেলেদের বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। এখন ইলিশের মৌসুম শুরু হয়েছে উপকূল জুড়ে। গত ২০ মে থেকে টানা ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকারে বিধিনিষেধের কারণে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না উপজেলার জেলেরা। একদিকে আয়ের একমাত্র পথ বন্ধ, অন্যদিকে মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পরেছে তাঁদের। এ ছাড়া নিবদ্ধিত জেলেরা সরকারি অনুদান পেলেও অনিবন্ধিত জেলেরা পাচ্ছেন না কোন সরকারি সহায়তা।
জেলে পল্লি ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সাগরে অবরোধ থাকায় মাছ ধরায় ব্যবহৃত নৌকা নদী থেকে ডাঙায় তুলে রেখেছেন জেলেরা। পেটের তাগিদে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তাঁরা। কেউ দিনমজুর বা রিকশা চালান। আবার কাজ না পেয়ে প্রতিদিন শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন অনেক বেকার জেলে।
প্রান্তিক জেলেরা জানান, সাগরে ৬৫ দিন অবরোধ মাছ ধরতে পারছেন না তাঁরা। ঘরে ছেলেমেয়ের খাবার ও সংসারের খরচপাতি নিয়ে মহাবিপদে আছেন তাঁরা। ৬৫ দিন কীভাবে সংসারের খরচ জোগান দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। ৬৫ দিনের অবরোধে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন অনেকই।
হরিণঘাটা গ্রামের জাকির বলেন, 'সাদা ষ্টাম পেপারে সাক্ষর দিয়ে কর্জ (ঋণ) করে টাকা এনে বাজার করছি। ঘরে চাল নেই, সাগরে অবরোধ! পেট আর বাচ্চারা তো অবরোধ বুঝেনা।' রুহিতা গ্রামের জয়নাল বলেন, 'ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমরা বড়রা বুঝি, কিন্তু বাচ্চারা তো বোঝে না। বারবার মাছ-মাংসের জন্য বায়না ধরে। কী হরমু কন ভাই? '
সোনা মিয়া নামের আরেক জেলে জানান, খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকাই তাঁদের একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু নিবন্ধিত জেলে না হওয়ায় সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তাঁরা। এ চিত্র শুধু তিনজন জেলের নয়। এমন চিত্র উপকূলের হাজার হাজার অনিবন্ধিত জেলেদের চিত্র বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের জেলেরা দেশীয় আইন মেনে না খেয়ে দিন পার করছে। অপরদিকে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ জল সীমায় এসে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যাদের পরামর্শে মৎস্য অধিদপ্তর এই ৬৫ দিনের অবরোধ শুরু করেছে তাঁদের এ ব্যাপারে আরও গভীর গবেষণা করা উচিত। কেননা এই আইন পাশ করার পর থেকে দিন দিন ইলিশ মাছের সংখ্যা কমে গেছে। অপরদিকে জেলেরা ভুগছে অর্থনৈতিক সংকটে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৩৬ হাজার ২২ জন। তার মধ্যে সমুদ্রগামী ২৭ হাজার ২৭৭ জেলে পাবে খাদ্য সহায়তা ৮৬ কেজি করে চাল।
নিবন্ধনের বাইরে বরগুনা জেলায় লক্ষাধিক জেলেদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিভাগীয় মৎস্য উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, বাকি জেলেদের কার্ডের আওতায় আনতে সরকার ইতিমধ্যে নতুন করে জেলে তালিকা নিবন্ধনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে