রুদ্র রুহান, বরগুনা

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন। এ বিষয়ে বিআরডিবির সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিআরডিবি বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বিআরডিবি বরগুনা জেলার আওতাধীন বরগুনা সদর উপজেলায় ‘অংশীদারত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ এর অধীনে বিভিন্ন গ্রামে টিউবওয়েল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা বাজেটে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রকল্পের বাজেট থেকে ১৫ শতাংশ সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী সদস্যরা ও বাকি ৫ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জোগান দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সুবিধাভোগীদের সমিতি।
বরগুনা সদর উপজেলায় বিআরডিবির বাস্তবায়ন করা কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন নিয়ম শুধুমাত্র কাগজেই, বাস্তবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১৫% টাকা অগ্রিম জমা নিয়ে নিজের মত কাজ করিয়েছেন বিআরডিবির উপজেলার উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের রিপন হাওলাদার ও রোজিনা দম্পতির বাড়িতে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েল স্থাপন করেছে বিআরডিবি। নিয়মানুযায়ী প্রকল্প থেকে তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। নিয়মানুযায়ী ১৫ হাজার টাকা রিপন বহন করলেও জলা অফিস ম্যানেজর নামে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রবীর চন্দ্র।
রিপন বলেন, নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকা বাজেটের নলকূপ স্থাপনে আমার কাছ থেকে ঘুষসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচা করে বাকি টাকা পকেটে পুড়েছেন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র। একই অভিযোগ ওই এলাকার শিউলি বেগমেরও। সদর উপজেলার পূর্ব বাওয়ালকর, মধ্য বাওয়ালকর, গৌরীচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরতলা, দক্ষিণ লাকুরতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ টিরও বেশি নলকূপ স্থাপনের নামে প্রবীর চন্দ্র একই প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু নলকূপই না, বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিআরডিবির কর্মকর্তারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। সদরের বদরখালী ইউনিয়নের মধ্য বাওয়ালকর ও গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুতলা এলাকায় প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুটি রাস্তায় ইটের সলিং করার জন্য অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল এক লাখ টাকা।
সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা জমা ও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকার কাজ করিয়েছে বিআরডিবি। অর্থাৎ প্রকল্পের বরাদ্দের ৮০ হাজার টাকাও খরচা হয়নি। ওই এলাকার বিআরডিবির সদস্য আখিরুজ্জামান বলেন, মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচায় ইটের সলিং করা হয়েছে কিন্তু অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল ১ লাখ টাকা। বাকি টাকা ভাগাভাগি করেছেন বিআরডিবির উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের (ইউসিসিএ) বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন বলেন, বিআরডিবি বরগুনা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের এই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র এই দুজনে এখন বিআরডিবিতে লুটপাট করছে। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ অর্থ নিজেরা যেনতেনভাবে খরচা করে বাকি টাকা তারা পকেটে পুড়ছেন। আমরা এ বিষয়ে বিআরডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিআরডিবি বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, আমি নিয়মানুযায়ী কাজ করিয়েছি। যারা অভিযোগ করেছেন তারা সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন, পায়নি বলেই এমন অভিযোগ করেছেন। বিআরডিবি বরগুনা উপপরিচালক আবদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র যদি জেলা অফিস ম্যানেজের নামে কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তবে আমি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন। এ বিষয়ে বিআরডিবির সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিআরডিবি বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বিআরডিবি বরগুনা জেলার আওতাধীন বরগুনা সদর উপজেলায় ‘অংশীদারত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ এর অধীনে বিভিন্ন গ্রামে টিউবওয়েল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা বাজেটে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রকল্পের বাজেট থেকে ১৫ শতাংশ সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী সদস্যরা ও বাকি ৫ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জোগান দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সুবিধাভোগীদের সমিতি।
বরগুনা সদর উপজেলায় বিআরডিবির বাস্তবায়ন করা কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন নিয়ম শুধুমাত্র কাগজেই, বাস্তবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১৫% টাকা অগ্রিম জমা নিয়ে নিজের মত কাজ করিয়েছেন বিআরডিবির উপজেলার উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের রিপন হাওলাদার ও রোজিনা দম্পতির বাড়িতে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েল স্থাপন করেছে বিআরডিবি। নিয়মানুযায়ী প্রকল্প থেকে তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। নিয়মানুযায়ী ১৫ হাজার টাকা রিপন বহন করলেও জলা অফিস ম্যানেজর নামে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রবীর চন্দ্র।
রিপন বলেন, নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকা বাজেটের নলকূপ স্থাপনে আমার কাছ থেকে ঘুষসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচা করে বাকি টাকা পকেটে পুড়েছেন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র। একই অভিযোগ ওই এলাকার শিউলি বেগমেরও। সদর উপজেলার পূর্ব বাওয়ালকর, মধ্য বাওয়ালকর, গৌরীচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরতলা, দক্ষিণ লাকুরতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ টিরও বেশি নলকূপ স্থাপনের নামে প্রবীর চন্দ্র একই প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু নলকূপই না, বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিআরডিবির কর্মকর্তারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। সদরের বদরখালী ইউনিয়নের মধ্য বাওয়ালকর ও গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুতলা এলাকায় প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুটি রাস্তায় ইটের সলিং করার জন্য অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল এক লাখ টাকা।
সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা জমা ও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকার কাজ করিয়েছে বিআরডিবি। অর্থাৎ প্রকল্পের বরাদ্দের ৮০ হাজার টাকাও খরচা হয়নি। ওই এলাকার বিআরডিবির সদস্য আখিরুজ্জামান বলেন, মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচায় ইটের সলিং করা হয়েছে কিন্তু অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল ১ লাখ টাকা। বাকি টাকা ভাগাভাগি করেছেন বিআরডিবির উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের (ইউসিসিএ) বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন বলেন, বিআরডিবি বরগুনা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের এই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র এই দুজনে এখন বিআরডিবিতে লুটপাট করছে। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ অর্থ নিজেরা যেনতেনভাবে খরচা করে বাকি টাকা তারা পকেটে পুড়ছেন। আমরা এ বিষয়ে বিআরডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিআরডিবি বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, আমি নিয়মানুযায়ী কাজ করিয়েছি। যারা অভিযোগ করেছেন তারা সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন, পায়নি বলেই এমন অভিযোগ করেছেন। বিআরডিবি বরগুনা উপপরিচালক আবদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র যদি জেলা অফিস ম্যানেজের নামে কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তবে আমি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
রুদ্র রুহান, বরগুনা

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন। এ বিষয়ে বিআরডিবির সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিআরডিবি বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বিআরডিবি বরগুনা জেলার আওতাধীন বরগুনা সদর উপজেলায় ‘অংশীদারত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ এর অধীনে বিভিন্ন গ্রামে টিউবওয়েল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা বাজেটে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রকল্পের বাজেট থেকে ১৫ শতাংশ সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী সদস্যরা ও বাকি ৫ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জোগান দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সুবিধাভোগীদের সমিতি।
বরগুনা সদর উপজেলায় বিআরডিবির বাস্তবায়ন করা কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন নিয়ম শুধুমাত্র কাগজেই, বাস্তবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১৫% টাকা অগ্রিম জমা নিয়ে নিজের মত কাজ করিয়েছেন বিআরডিবির উপজেলার উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের রিপন হাওলাদার ও রোজিনা দম্পতির বাড়িতে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েল স্থাপন করেছে বিআরডিবি। নিয়মানুযায়ী প্রকল্প থেকে তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। নিয়মানুযায়ী ১৫ হাজার টাকা রিপন বহন করলেও জলা অফিস ম্যানেজর নামে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রবীর চন্দ্র।
রিপন বলেন, নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকা বাজেটের নলকূপ স্থাপনে আমার কাছ থেকে ঘুষসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচা করে বাকি টাকা পকেটে পুড়েছেন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র। একই অভিযোগ ওই এলাকার শিউলি বেগমেরও। সদর উপজেলার পূর্ব বাওয়ালকর, মধ্য বাওয়ালকর, গৌরীচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরতলা, দক্ষিণ লাকুরতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ টিরও বেশি নলকূপ স্থাপনের নামে প্রবীর চন্দ্র একই প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু নলকূপই না, বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিআরডিবির কর্মকর্তারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। সদরের বদরখালী ইউনিয়নের মধ্য বাওয়ালকর ও গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুতলা এলাকায় প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুটি রাস্তায় ইটের সলিং করার জন্য অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল এক লাখ টাকা।
সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা জমা ও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকার কাজ করিয়েছে বিআরডিবি। অর্থাৎ প্রকল্পের বরাদ্দের ৮০ হাজার টাকাও খরচা হয়নি। ওই এলাকার বিআরডিবির সদস্য আখিরুজ্জামান বলেন, মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচায় ইটের সলিং করা হয়েছে কিন্তু অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল ১ লাখ টাকা। বাকি টাকা ভাগাভাগি করেছেন বিআরডিবির উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের (ইউসিসিএ) বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন বলেন, বিআরডিবি বরগুনা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের এই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র এই দুজনে এখন বিআরডিবিতে লুটপাট করছে। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ অর্থ নিজেরা যেনতেনভাবে খরচা করে বাকি টাকা তারা পকেটে পুড়ছেন। আমরা এ বিষয়ে বিআরডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিআরডিবি বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, আমি নিয়মানুযায়ী কাজ করিয়েছি। যারা অভিযোগ করেছেন তারা সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন, পায়নি বলেই এমন অভিযোগ করেছেন। বিআরডিবি বরগুনা উপপরিচালক আবদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র যদি জেলা অফিস ম্যানেজের নামে কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তবে আমি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন। এ বিষয়ে বিআরডিবির সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিআরডিবি বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বিআরডিবি বরগুনা জেলার আওতাধীন বরগুনা সদর উপজেলায় ‘অংশীদারত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ এর অধীনে বিভিন্ন গ্রামে টিউবওয়েল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা বাজেটে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রকল্পের বাজেট থেকে ১৫ শতাংশ সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী সদস্যরা ও বাকি ৫ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জোগান দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সুবিধাভোগীদের সমিতি।
বরগুনা সদর উপজেলায় বিআরডিবির বাস্তবায়ন করা কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন নিয়ম শুধুমাত্র কাগজেই, বাস্তবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১৫% টাকা অগ্রিম জমা নিয়ে নিজের মত কাজ করিয়েছেন বিআরডিবির উপজেলার উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের রিপন হাওলাদার ও রোজিনা দম্পতির বাড়িতে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েল স্থাপন করেছে বিআরডিবি। নিয়মানুযায়ী প্রকল্প থেকে তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। নিয়মানুযায়ী ১৫ হাজার টাকা রিপন বহন করলেও জলা অফিস ম্যানেজর নামে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রবীর চন্দ্র।
রিপন বলেন, নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকা বাজেটের নলকূপ স্থাপনে আমার কাছ থেকে ঘুষসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচা করে বাকি টাকা পকেটে পুড়েছেন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র। একই অভিযোগ ওই এলাকার শিউলি বেগমেরও। সদর উপজেলার পূর্ব বাওয়ালকর, মধ্য বাওয়ালকর, গৌরীচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরতলা, দক্ষিণ লাকুরতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ টিরও বেশি নলকূপ স্থাপনের নামে প্রবীর চন্দ্র একই প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুধু নলকূপই না, বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিআরডিবির কর্মকর্তারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। সদরের বদরখালী ইউনিয়নের মধ্য বাওয়ালকর ও গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুতলা এলাকায় প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুটি রাস্তায় ইটের সলিং করার জন্য অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল এক লাখ টাকা।
সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা জমা ও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকার কাজ করিয়েছে বিআরডিবি। অর্থাৎ প্রকল্পের বরাদ্দের ৮০ হাজার টাকাও খরচা হয়নি। ওই এলাকার বিআরডিবির সদস্য আখিরুজ্জামান বলেন, মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচায় ইটের সলিং করা হয়েছে কিন্তু অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল ১ লাখ টাকা। বাকি টাকা ভাগাভাগি করেছেন বিআরডিবির উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের (ইউসিসিএ) বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন বলেন, বিআরডিবি বরগুনা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের এই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র এই দুজনে এখন বিআরডিবিতে লুটপাট করছে। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ অর্থ নিজেরা যেনতেনভাবে খরচা করে বাকি টাকা তারা পকেটে পুড়ছেন। আমরা এ বিষয়ে বিআরডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিআরডিবি বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, আমি নিয়মানুযায়ী কাজ করিয়েছি। যারা অভিযোগ করেছেন তারা সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন, পায়নি বলেই এমন অভিযোগ করেছেন। বিআরডিবি বরগুনা উপপরিচালক আবদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র যদি জেলা অফিস ম্যানেজের নামে কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তবে আমি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৯ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৯ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৯ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩৯ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে