Ajker Patrika

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি আ.লীগ নেতার,  সতর্ক করলেন ইউএনও

  বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ০৬
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি আ.লীগ নেতার,  সতর্ক করলেন ইউএনও

‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে’—এমন বক্তব্য দেন বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারেক। এমন বক্তব্য দেওয়ায় তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে ডেকে সতর্ক করেছেন।

শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই সভায় বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন। 

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বক্তব্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকে সতর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার জন্য আমাদের কাছ থেকে কোনো রকমের অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেখানে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সে জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্তকে নিয়োজিত করা হয়েছিল। সভায় কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারেক মাঝি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন এবং তাঁর পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জমাদ্দারও দুঃখ প্রকাশ করায় আমরা প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছি।’ 

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মাঝি বলেন, ‘বক্তব্যে আমি বলেছিলাম, আমরা তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত এবং একপর্যায়ে আমি বলেছি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে। এই বক্তব্য আমার দেওয়া ঠিক হয়নি। আমাকে ডেকে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমি দুঃখ প্রকাশ করি। পরে তিনি সতর্ক করে আমাকে ছেড়ে দেন।’ 

তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জমাদ্দার বলেন, ‘কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারেক মাঝিকে মঞ্চ থেকে ডেকে নিয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত। বারেক মাঝি তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আমিও বারেক মাঝির পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’ 

রেজবী উল কবির বলেন, ‘এটি আমাদের দলীয় সভা ছিল এবং আমার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভাটি কোনো পাবলিক প্লেসে বা মাইক ব্যবহার করে করা হয়নি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি কীভাবে ঘটল জানা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত