বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে কাউন্সিলরের কার্যালয় ঘেরাও করে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ নিয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি রোড অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগে বিএম কলেজ সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে করপোরেশনের একদল কর্মচারী।
আজ রোববার বিকেলে এ ঘটনায় যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
করপোরেশনের কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব সিটি করপোরেশনের সড়ক পরিদর্শক রাজিব খানকে মারধর করেছেন। পাল্টাপাল্টি এ অবরোধের কারণে গোটা নগরীতে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লব সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নগরে সরব রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোডে সরকারি বরিশাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানের নির্মাণাধীন বাড়ির নকশা তদারকি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিএম কলেজে রোডে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সামনে শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী সড়ক অবরোধ করে কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। অপরদিকে কাউন্সিলর বিপ্লবের সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে সিঅ্যান্ডবি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব সাংবাদিকদের বলেন, কলেজশিক্ষক কামরুজ্জামান তাঁর বাড়িতে ভবন নির্মাণকাজ করছেন। কাজ শুরুর পর থেকে সিটি করপোরেশন কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রায়ই একদল যুবক ওই বাড়িতে হানা দেয় এবং নির্মাণকাজের নানা ত্রুটি দেখিয়ে কলেজশিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছে। এরই মধ্যে কলেজশিক্ষকের কাছ থেকে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা উৎকোচও নিয়েছে ওই যুবকেরা।
কাউন্সিলর বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, ওই যুবকেরা মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিশেষ নিয়োগ দেওয়া অস্থায়ী কর্মচারী। তারা নগরের সর্বত্রই এভাবে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করে থাকেন।
বিপ্লব বলেন, তার ওয়ার্ডের একজন নিরীহ শিক্ষককে এভাবে হয়রানি করায় তিনি প্রতিবাদ করেন। এটিকে অজুহাত হিসেবে তুলে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর ইন্ধন দেন। সেই ইন্ধনে রোববার বেলা ৩টার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে এসে তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা বিএম কলেজ সংলগ্ন ব্যস্ততম সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
তবে বিসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহান সাংবাদিকদের জানান, বিসিসির সড়ক পরিদর্শক রাজিব খানকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কক্ষের মধ্যে আটকে মারধর করেছেন কাউন্সিলর বিপ্লব। এর আগেও তিনি বিসিসির আরেক কর্মচারীকে মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদে বিসিসির কর্মচারীরা রোববার দুপুরে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
এ নিয়ে গোরাস্থান রোডের বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মো. কামরুজ্জামান জানান, তিনি নিয়ম মেনে নকশা অনুযায়ী বাড়ির নির্মাণকাজ করছেন। প্রায়ই একদল যুবক এসে সেখানে হানা দেন এবং নোটিশ দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। গত ২১ মার্চ ওই যুবকেরা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ সময় কাউন্সিলর বিপ্লবও ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করেন এবং তাঁর ওয়ার্ডে কাউকে হয়রানি না করার জন্য যুবকদের হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে কাউন্সিলর বিপ্লবের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের জেরে তাঁর সমর্থকেরা সিঅ্যান্ডবি সড়ক অবরোধ করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিসিসির মেয়র বিরোধী আরও ৯ কাউন্সিলর সমর্থকদের নিয়ে ওই বিক্ষোভে যোগ দেন।
এ বিষয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার ফরিদ আহমেদ জানান, কাউন্সিলর বিপ্লবকে হয়রানি করার প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় জনতাও যোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষ দুইটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি।’
বরিশালে কাউন্সিলরের কার্যালয় ঘেরাও করে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ নিয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি রোড অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগে বিএম কলেজ সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে করপোরেশনের একদল কর্মচারী।
আজ রোববার বিকেলে এ ঘটনায় যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
করপোরেশনের কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব সিটি করপোরেশনের সড়ক পরিদর্শক রাজিব খানকে মারধর করেছেন। পাল্টাপাল্টি এ অবরোধের কারণে গোটা নগরীতে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লব সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নগরে সরব রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোডে সরকারি বরিশাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানের নির্মাণাধীন বাড়ির নকশা তদারকি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিএম কলেজে রোডে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সামনে শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী সড়ক অবরোধ করে কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। অপরদিকে কাউন্সিলর বিপ্লবের সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে সিঅ্যান্ডবি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব সাংবাদিকদের বলেন, কলেজশিক্ষক কামরুজ্জামান তাঁর বাড়িতে ভবন নির্মাণকাজ করছেন। কাজ শুরুর পর থেকে সিটি করপোরেশন কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রায়ই একদল যুবক ওই বাড়িতে হানা দেয় এবং নির্মাণকাজের নানা ত্রুটি দেখিয়ে কলেজশিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছে। এরই মধ্যে কলেজশিক্ষকের কাছ থেকে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা উৎকোচও নিয়েছে ওই যুবকেরা।
কাউন্সিলর বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, ওই যুবকেরা মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিশেষ নিয়োগ দেওয়া অস্থায়ী কর্মচারী। তারা নগরের সর্বত্রই এভাবে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করে থাকেন।
বিপ্লব বলেন, তার ওয়ার্ডের একজন নিরীহ শিক্ষককে এভাবে হয়রানি করায় তিনি প্রতিবাদ করেন। এটিকে অজুহাত হিসেবে তুলে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর ইন্ধন দেন। সেই ইন্ধনে রোববার বেলা ৩টার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে এসে তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা বিএম কলেজ সংলগ্ন ব্যস্ততম সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
তবে বিসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহান সাংবাদিকদের জানান, বিসিসির সড়ক পরিদর্শক রাজিব খানকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কক্ষের মধ্যে আটকে মারধর করেছেন কাউন্সিলর বিপ্লব। এর আগেও তিনি বিসিসির আরেক কর্মচারীকে মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদে বিসিসির কর্মচারীরা রোববার দুপুরে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
এ নিয়ে গোরাস্থান রোডের বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মো. কামরুজ্জামান জানান, তিনি নিয়ম মেনে নকশা অনুযায়ী বাড়ির নির্মাণকাজ করছেন। প্রায়ই একদল যুবক এসে সেখানে হানা দেন এবং নোটিশ দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। গত ২১ মার্চ ওই যুবকেরা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ সময় কাউন্সিলর বিপ্লবও ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করেন এবং তাঁর ওয়ার্ডে কাউকে হয়রানি না করার জন্য যুবকদের হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে কাউন্সিলর বিপ্লবের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের জেরে তাঁর সমর্থকেরা সিঅ্যান্ডবি সড়ক অবরোধ করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিসিসির মেয়র বিরোধী আরও ৯ কাউন্সিলর সমর্থকদের নিয়ে ওই বিক্ষোভে যোগ দেন।
এ বিষয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার ফরিদ আহমেদ জানান, কাউন্সিলর বিপ্লবকে হয়রানি করার প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় জনতাও যোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষ দুইটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি।’
জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি মো. মজিবুর রহমান চুন্নু বলেন, ‘আজকের সভায় আইনজীবীরা সর্বসম্মতিক্রমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণের জন্য আদালত বর্জনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। আমরা আজকের মধ্যে এ রেজল্যুশন জেলা জজ আদালতের প্রধান বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দিচ্ছি।
২ মিনিট আগেসিলেটে মাদক সেবনকালে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের তালতলা এলাকার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীতে তরমুজচাষিদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে তরমুজচাষি রাকিব ভদ্দর বাদী হয়ে তালতলী থানায় শহীদুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
১৯ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
২৪ মিনিট আগে