পরের জমিতে কাজ করে জিপিএ-৫ পেলেও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত ছাইদুলের 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৩৪
Thumbnail image

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শিক্ষার্থী ছাইদুল সরদার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের চিন্তায় বাবা-মায়ের চোখমুখেও হতাশার ছায়া। 

জানা গেছে, উপজেলার সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মো. সাইদুল সরদার। সাইদুলের পিতা মো. বাবুল সরদার তিনি পেশায় একজন দরিদ্র কৃষক। তিনি অন্যের জমিতে কৃষিকাজ ও বাজারে তরকারী বিক্রি করে সংসার চালান। অভাবের এই সংসারে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে সাইদুল সরদার। 

উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের দিনমজুর ও তিন সন্তানের জনক মো. বাবুল সরদারের ছোট ছেলে মো. সাইদুল সরদার। তার বড় ভাই শাওন সরদার বিএ পড়ার পাশাপাশি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। তার মা পারভীন বেগম একজন গৃহিণী। 

সাইদুল সরদার জানান, ‘এতদিন নিজে অন্যের জমিতে কাজ করে ও প্রাইভেট পড়িয়ে পড়ালেখার খরচ জুগিয়েছি। এখন ভালো কোনো কলেজে ভর্তি এবং পড়ালেখার খরচ চালানো দিনমজুর বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। অর্থের অভাবে আমার ভালো কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দরিদ্রদের সেবা করতে চাই। জানিনা সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না।’
 
সাইদুল সরদারের পিতা মো. বাবুল সরদার বলেন, ‘অভাব-অনাটনের মধ্যেও পরের জমিতে কাজ করে ভালো ফলাফল করেছে। সে আরও পড়তে চায়। কিন্তু দিনমজুরের আয়ে ৫ জনের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। ছেলের কলেজে পড়ালেখার খরচ কোথায় পাব। কোনোরকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।’

সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল হক জানান, সাইদুল সরদার একজন মেধাবী ছাত্র। দরিদ্র হওয়ায় স্কুল থেকে তার কোনো পরীক্ষার ফি সহ কোনো টাকা নেওয়া হতো না। গরিব পরিবারের সন্তান হয়েও ভালো রেজাল্ট করে এখন অর্থের অভাবে ভালো কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার। জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে ছেলেটির শিক্ষার পথ সুগম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত