মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নভেম্বর মাসে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদের মাছুয়া-রায়েন্দা ফেরি চালু হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এর আগে প্রায় চার দশক ধরে এই দুই উপজেলার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল খেয়া।
জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ঘাটে পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন এই ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। এ সময় দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
খেয়ায় ইজাদাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করত। জনপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং মোটরসাইকেল পারাপারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো যাত্রীদের কাছ থেকে। এদিকে ফেরি কর্তৃপক্ষ মানুষের টোল ফ্রি করে তাঁদের রেট ঘোষণা করেছেন। এতে সাইকেল, ভ্যান ও রিকশা ৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা, ইজিবাইক, সিএনজি, মাহেন্দ্র ১৫ টাকা, ছোট পিকআপ ৫০ টাকা, বড় পিকআপ ১১৫ টাকা, বড় ট্রাক ২৫০ টাকা, মিনিবাস ৬৫ টাকা ও বড় বাস ১১৫ টাকা। সরকার নির্ধারিত এ টোলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ।
এদিকে শরণখোলা ও মঠবাড়িয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বলেশ্বর নদীতে ফেরি চালু হওয়ার খবরে আনন্দে ভাসছেন এই অঞ্চলের মানুষ। ফেরি চালুর ফলে দুই আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রার সঙ্গে সড়ক পথে দূরত্ব কমেছে ৭০ কিলোমিটার। ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।
মাছুয়া ফেরি ঘাটের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, যুগ যুগ ধরে খেয়াঘাটের ইজারাদাররা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাছুয়া-রায়েন্দা নদী পারাপারে যাত্রীদের জিম্মি করে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ফেরি চালুর মধ্য দিয়ে তাদের এ হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পেয়েছে।
আ. রাজ্জাক মিয়া জানান, ফেরি চালুর পর থেকে খেয়ার ট্রলার গুলো যাত্রীদের ৩০ টাকায় নদী পারাপারের জন্য ডাকে। অথচ একই নদীতে এর আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হতো।
এদিকে বড়মাছুয়া এবং রায়েন্দায় ফেরি চালুর ফলে পায়রা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্বও প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার কমে যাওয়া এবং সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বামনা, বরগুনা, আমতলী, তালতলীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর লাখো মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এই ফেরি সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর দুই তীরের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততর করতে রায়েন্দা-বড় মাছুয়া ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে রায়েন্দার পাশে রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়। অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়। এই কাজে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মো. মাহফুজ খান প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করেছে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়াতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ এই ফেরিতে পার হবে। সহস্রাধিক যানবাহনও চলাচল করবে এই ফেরিতে। প্রতিদিন মাছুয়া থেকে সকাল ৮ টা, রায়েন্দা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা, মাছুয়া থেকে ১১ টা, রায়েন্দা সাড়ে ১২টা, মাছুয়া থেকে দুপুর ২টা, রায়েন্দা থেকে বিকেল ৪টায় ফেরি চলাচলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে প্রতি ঘণ্টায় ফেরি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফেরি চালক আব্দুর রউফ বলেন, মাছুয়া থেকে রায়েন্দা ঘাটে ভিড়তে এখন ৪০ মিনিট সময় লাগে। অন্যান্য সময় হয়তো ৪০ থেকে ৫০ মিনিট লাগতে পারে।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার একটা বড় অংশের সঙ্গে বাগেরহাটের মানুষের যোগাযোগের জন্য বলেশ্বর রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়া ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি পায়রা থেকে মোংলা বন্দরের মধ্যে নতুন যোগাযোগ স্থাপন হবে। বলেশ্বর নদীর দুই তীরের মানুষ স্বল্প সময় এবং অল্প ব্যয়ে তাদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। ফেরির সুবিধা থাকাতে দুই পাড়ের মানুষের জন্য যাত্রীবাহী পরিবহনও চালু হবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নভেম্বর মাসে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদের মাছুয়া-রায়েন্দা ফেরি চালু হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এর আগে প্রায় চার দশক ধরে এই দুই উপজেলার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল খেয়া।
জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ঘাটে পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন এই ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। এ সময় দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
খেয়ায় ইজাদাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করত। জনপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং মোটরসাইকেল পারাপারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো যাত্রীদের কাছ থেকে। এদিকে ফেরি কর্তৃপক্ষ মানুষের টোল ফ্রি করে তাঁদের রেট ঘোষণা করেছেন। এতে সাইকেল, ভ্যান ও রিকশা ৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা, ইজিবাইক, সিএনজি, মাহেন্দ্র ১৫ টাকা, ছোট পিকআপ ৫০ টাকা, বড় পিকআপ ১১৫ টাকা, বড় ট্রাক ২৫০ টাকা, মিনিবাস ৬৫ টাকা ও বড় বাস ১১৫ টাকা। সরকার নির্ধারিত এ টোলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ।
এদিকে শরণখোলা ও মঠবাড়িয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বলেশ্বর নদীতে ফেরি চালু হওয়ার খবরে আনন্দে ভাসছেন এই অঞ্চলের মানুষ। ফেরি চালুর ফলে দুই আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রার সঙ্গে সড়ক পথে দূরত্ব কমেছে ৭০ কিলোমিটার। ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।
মাছুয়া ফেরি ঘাটের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, যুগ যুগ ধরে খেয়াঘাটের ইজারাদাররা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাছুয়া-রায়েন্দা নদী পারাপারে যাত্রীদের জিম্মি করে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ফেরি চালুর মধ্য দিয়ে তাদের এ হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পেয়েছে।
আ. রাজ্জাক মিয়া জানান, ফেরি চালুর পর থেকে খেয়ার ট্রলার গুলো যাত্রীদের ৩০ টাকায় নদী পারাপারের জন্য ডাকে। অথচ একই নদীতে এর আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হতো।
এদিকে বড়মাছুয়া এবং রায়েন্দায় ফেরি চালুর ফলে পায়রা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্বও প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার কমে যাওয়া এবং সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বামনা, বরগুনা, আমতলী, তালতলীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর লাখো মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এই ফেরি সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর দুই তীরের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততর করতে রায়েন্দা-বড় মাছুয়া ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে রায়েন্দার পাশে রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়। অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়। এই কাজে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মো. মাহফুজ খান প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করেছে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়াতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ এই ফেরিতে পার হবে। সহস্রাধিক যানবাহনও চলাচল করবে এই ফেরিতে। প্রতিদিন মাছুয়া থেকে সকাল ৮ টা, রায়েন্দা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা, মাছুয়া থেকে ১১ টা, রায়েন্দা সাড়ে ১২টা, মাছুয়া থেকে দুপুর ২টা, রায়েন্দা থেকে বিকেল ৪টায় ফেরি চলাচলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে প্রতি ঘণ্টায় ফেরি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফেরি চালক আব্দুর রউফ বলেন, মাছুয়া থেকে রায়েন্দা ঘাটে ভিড়তে এখন ৪০ মিনিট সময় লাগে। অন্যান্য সময় হয়তো ৪০ থেকে ৫০ মিনিট লাগতে পারে।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার একটা বড় অংশের সঙ্গে বাগেরহাটের মানুষের যোগাযোগের জন্য বলেশ্বর রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়া ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি পায়রা থেকে মোংলা বন্দরের মধ্যে নতুন যোগাযোগ স্থাপন হবে। বলেশ্বর নদীর দুই তীরের মানুষ স্বল্প সময় এবং অল্প ব্যয়ে তাদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। ফেরির সুবিধা থাকাতে দুই পাড়ের মানুষের জন্য যাত্রীবাহী পরিবহনও চালু হবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
৩ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১০ ঘণ্টা আগে