মোহাম্মদ কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)
১৯৯০ সালে ১৩ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পাথরঘাটা পৌরসভা। সে সময়ের থানা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইউনুস আলী পাথরঘাটার পাবলিক লাইব্রেরি ভবনটিতে একটি অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ৩০ বছর কেটে গেলেও এখনো অস্থায়ী কার্যালয়েই চলছে পৌরসভার কার্যক্রম।
পাথরঘাটার মানুষ মনে করেন, ৩০ বছরেও স্থায়ী কার্যালয়ে কার্যক্রম শুরু করতে না পারা এক ধরনের ব্যর্থতা। তাঁরা বলছেন, যে পৌরসভা ৩০ বছরেও নিজেদের স্থায়ী কার্যালয় গড়তে পারেনি তাঁরা কীভাবে পৌরবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবে।
পাথরঘাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠা থেকে ৩০ বছরে যে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারেনি সে কি করে ৩০ হাজার নাগরিকের ভাগ্যের পরিবর্তন করবে। পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণি পৌরসভায় উন্নীত হলেও নেই নিজস্ব পৌরভবন। এমনকি পৌরসভার নিজস্ব ভবন না থাকায় পাবলিক লাইব্রেরিকে পৌরভবন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিষয়ক গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ভবন না থাকায় পৌরবাসী এখানে এসে বসতেও পারে না। কোন রকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ সারতে হয় নাগরিকদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, পৌর পরিষদ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবের কারণেই তারা পাবলিক লাইব্রেরিটিতে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালের দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির জন্য ভবনটি নির্মিত হয়। তবে বাস্তবে কখনোই পাবলিক লাইব্রেরি বা গণগ্রন্থাগার হিসেবে রূপ নেয়নি এটি। ভবনটি নির্মাণের পর কয়েক বছর স্থানীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন এবং জাতীয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হতো। পরবর্তীতে কিছুদিন ওই ভবনে তৎকালীন পাথরঘাটা থানা হাকিম আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত করত। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে পাথরঘাটা পৌরসভা গঠনের শুরু থেকেই পৌরসভার কার্যক্রম এখানেই চলমান।
পৌর পরিষদের ব্যবহৃত ভবনের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের পলেস্তার ঝরে পড়ে ছাদের রড বের হয়ে গেছে। মাথা ওপর যাতে পলেস্তারের অংশ না পরে সে জন্য জাল দিয়ে বিশেষ মাচা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জহিরুল হক খান চিনু, রফিকুল ইসলাম কাঁকন, আবু বকর মিল্লাতসহ একাধিক কাউন্সিলর জানান ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা আরও জানান, জরাজীর্ণ ভবনে বসে আমরা আধুনিক পৌরসভা গঠনের স্বপ্ন দেখি যা আসলেই হাস্যকর।
পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, পৌর ভবনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা পৌরবাসীর প্রাণের দাবি। এ জন্য এরই মধ্যে সরকারের কাছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যেকোনো সময় এ ভবনটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে জন্য কিছু দাপ্তরিক বিভাগ অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছি।
১৯৯০ সালে ১৩ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পাথরঘাটা পৌরসভা। সে সময়ের থানা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইউনুস আলী পাথরঘাটার পাবলিক লাইব্রেরি ভবনটিতে একটি অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ৩০ বছর কেটে গেলেও এখনো অস্থায়ী কার্যালয়েই চলছে পৌরসভার কার্যক্রম।
পাথরঘাটার মানুষ মনে করেন, ৩০ বছরেও স্থায়ী কার্যালয়ে কার্যক্রম শুরু করতে না পারা এক ধরনের ব্যর্থতা। তাঁরা বলছেন, যে পৌরসভা ৩০ বছরেও নিজেদের স্থায়ী কার্যালয় গড়তে পারেনি তাঁরা কীভাবে পৌরবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবে।
পাথরঘাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠা থেকে ৩০ বছরে যে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারেনি সে কি করে ৩০ হাজার নাগরিকের ভাগ্যের পরিবর্তন করবে। পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণি পৌরসভায় উন্নীত হলেও নেই নিজস্ব পৌরভবন। এমনকি পৌরসভার নিজস্ব ভবন না থাকায় পাবলিক লাইব্রেরিকে পৌরভবন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিষয়ক গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ভবন না থাকায় পৌরবাসী এখানে এসে বসতেও পারে না। কোন রকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ সারতে হয় নাগরিকদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, পৌর পরিষদ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবের কারণেই তারা পাবলিক লাইব্রেরিটিতে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালের দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির জন্য ভবনটি নির্মিত হয়। তবে বাস্তবে কখনোই পাবলিক লাইব্রেরি বা গণগ্রন্থাগার হিসেবে রূপ নেয়নি এটি। ভবনটি নির্মাণের পর কয়েক বছর স্থানীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন এবং জাতীয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হতো। পরবর্তীতে কিছুদিন ওই ভবনে তৎকালীন পাথরঘাটা থানা হাকিম আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত করত। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে পাথরঘাটা পৌরসভা গঠনের শুরু থেকেই পৌরসভার কার্যক্রম এখানেই চলমান।
পৌর পরিষদের ব্যবহৃত ভবনের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের পলেস্তার ঝরে পড়ে ছাদের রড বের হয়ে গেছে। মাথা ওপর যাতে পলেস্তারের অংশ না পরে সে জন্য জাল দিয়ে বিশেষ মাচা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জহিরুল হক খান চিনু, রফিকুল ইসলাম কাঁকন, আবু বকর মিল্লাতসহ একাধিক কাউন্সিলর জানান ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা আরও জানান, জরাজীর্ণ ভবনে বসে আমরা আধুনিক পৌরসভা গঠনের স্বপ্ন দেখি যা আসলেই হাস্যকর।
পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, পৌর ভবনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা পৌরবাসীর প্রাণের দাবি। এ জন্য এরই মধ্যে সরকারের কাছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যেকোনো সময় এ ভবনটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে জন্য কিছু দাপ্তরিক বিভাগ অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছি।
পুরোনো ঋণগ্রহীতা সদস্যদের বয়স ৬৫ হলে তাঁকে নতুন করে আর ঋণ দেয় না বেসরকারি সংস্থা আশা। তবে তাদের দেওয়া হচ্ছে এককালীন ১৫ হাজার টাকা। এই টাকাটিকে অবসর ভাতা বলছে আশা। ২০১৮ সাল থেকে এমন কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই বেসরকারি সংস্থাটি। তাতে খুশি দীর্ঘদিনের পুরোনো স
১১ মিনিট আগেখুলনায় আগামী ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের জেলা ইজতেমা। তাবলিগ জামাতের আয়োজনে ময়ূরী আবাসিক এলাকায় এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। যা চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২৩ মিনিট আগেবগুড়ায় মাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র জেলা দায়রা জজ মো. শাজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বগুড়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৪ মিনিট আগেঢাকার আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বন্ধ হয়ে যাওয়া দুই কারখানার শ্রমিকেরা। এ ছড়া শ্রমিকেরা ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পুরোনো অংশের মূল ফটকে অবস্থান নেন। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকদের সড়কে অবস্থা
২৯ মিনিট আগে