আইয়ুব খান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না জেলেরা। শুধু তাই নয়, সাগরে মাছ কম থাকায় অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন। ফলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জেলেরা অলস সময় পার করছেন।
আজ সোমবার থেকে পুরোদমে জেলেরা সাগরে নামতে শুরু করেছেন। অন্য বছর এই সময়ে নদী রূপালি ইলিশে ভরা থাকলেও এ বার ঠিক উল্টো। ইলিশের মৌসুমেও ইলিশ ধরতে না পেরে রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৩ হাজার ৮৪৭ জন নিবন্ধিত জেলেসহ প্রায় ২০ হাজার জেলে হতাশায় রয়েছেন। একদিকে করোনা সংকট, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, জাল ও নৌকা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করা জেলেরা এখন অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছে। উৎসবের আমেজে পড়েছে ভাট। জেলেরা ভেবেছিলেন নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিলবে। কিন্তু ইলিশের ভরা মৌসুমেও উপকূলীয় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না রুপালি ইলিশ। তবে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন শিগগিরই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। জ্যৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুম চলছে ইলিশের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণেও আশানুরূপ দেখা মিলছে না। নিষেধাজ্ঞার পর গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয়। কিন্তু নদনদী ও সাগরেও দেখা মিলছে না ইলিশের। সাগরে মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও আগুনমুখা, দারছিড়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে মাছের হাহাকার দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে মাছ ধরার নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রস্তুতি নিয়েও গত শুক্রবার থেকে সাগরে যাত্রা শুরু করতে পারেনি জেলেরা।
কোড়ালিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন ও মাহমুদ হাসান বলেন, টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা সাগরে গেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও এবার জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না।
উপজেলার দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের জেলে মো. জামাল মাঝি বলেন, বছরের অন্য সময় মাছ ধরে কোনো ক্রমে সংসারটা চলে যায়। তখন কিছু টাকা ধার করতে হয়। আর ইলিশের মৌসুমে আয়ের সময়। কারণ ওই সময় ইলিশ ধরে মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারি। এ বছর সেখানেই ঘাটতি পড়েছে। কী করে সংসার চালাব বুঝে উঠতে পারছি না।
উত্তর চরমোন্তাজ জেলে মো. জামাল মাঝি বলেন, বড় কোনো মাছ নাই। গেল বার এমন টাইমে বড় মাছ আছেলে। সিজনের গড়ে আর দুই মাস সময় আছে এরহম চললে তো আমাগো না খাইয়া থাহা লাগবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, মূলত চলতি বছরে খুব বিলম্বে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ইলিশ মাছের তেমন দেখা মিলছে না। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই মাছের দেখা মিলবে।
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোলাসহ উপকূলীয় কিছু কিছু জায়গায় ইলিশ মোটামুটি দেখা যাচ্ছে। দেরিতে হলেও কিছুদিন পরে মাছ পাওয়া যাবে।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না জেলেরা। শুধু তাই নয়, সাগরে মাছ কম থাকায় অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন। ফলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জেলেরা অলস সময় পার করছেন।
আজ সোমবার থেকে পুরোদমে জেলেরা সাগরে নামতে শুরু করেছেন। অন্য বছর এই সময়ে নদী রূপালি ইলিশে ভরা থাকলেও এ বার ঠিক উল্টো। ইলিশের মৌসুমেও ইলিশ ধরতে না পেরে রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৩ হাজার ৮৪৭ জন নিবন্ধিত জেলেসহ প্রায় ২০ হাজার জেলে হতাশায় রয়েছেন। একদিকে করোনা সংকট, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, জাল ও নৌকা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করা জেলেরা এখন অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছে। উৎসবের আমেজে পড়েছে ভাট। জেলেরা ভেবেছিলেন নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিলবে। কিন্তু ইলিশের ভরা মৌসুমেও উপকূলীয় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না রুপালি ইলিশ। তবে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন শিগগিরই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। জ্যৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুম চলছে ইলিশের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণেও আশানুরূপ দেখা মিলছে না। নিষেধাজ্ঞার পর গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয়। কিন্তু নদনদী ও সাগরেও দেখা মিলছে না ইলিশের। সাগরে মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও আগুনমুখা, দারছিড়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে মাছের হাহাকার দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে মাছ ধরার নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রস্তুতি নিয়েও গত শুক্রবার থেকে সাগরে যাত্রা শুরু করতে পারেনি জেলেরা।
কোড়ালিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন ও মাহমুদ হাসান বলেন, টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা সাগরে গেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও এবার জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না।
উপজেলার দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের জেলে মো. জামাল মাঝি বলেন, বছরের অন্য সময় মাছ ধরে কোনো ক্রমে সংসারটা চলে যায়। তখন কিছু টাকা ধার করতে হয়। আর ইলিশের মৌসুমে আয়ের সময়। কারণ ওই সময় ইলিশ ধরে মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারি। এ বছর সেখানেই ঘাটতি পড়েছে। কী করে সংসার চালাব বুঝে উঠতে পারছি না।
উত্তর চরমোন্তাজ জেলে মো. জামাল মাঝি বলেন, বড় কোনো মাছ নাই। গেল বার এমন টাইমে বড় মাছ আছেলে। সিজনের গড়ে আর দুই মাস সময় আছে এরহম চললে তো আমাগো না খাইয়া থাহা লাগবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, মূলত চলতি বছরে খুব বিলম্বে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ইলিশ মাছের তেমন দেখা মিলছে না। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই মাছের দেখা মিলবে।
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোলাসহ উপকূলীয় কিছু কিছু জায়গায় ইলিশ মোটামুটি দেখা যাচ্ছে। দেরিতে হলেও কিছুদিন পরে মাছ পাওয়া যাবে।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৯ ঘণ্টা আগে