স্মৃতি ফলক উন্মোচন
তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)
বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার পাথরঘাটার অধিকাংশ মানুষ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বেঁচে থাকার তাগিদে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত সমুদ্রে পাড়ি জমাতে হয় তাঁদের। জেলেরা সমুদ্রে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হন। গত ৩০ বছরে শুধু উপজেলায় নিখোঁজ হয়েছেন ১৮৮ জন জেলে। এতে জমি-জমা বিক্রিসহ বিভিন্ন কাজ করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনদের।
নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে এখনো জেলে পল্লিতে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারি। ১৯৯৩ সালের বন্যা, ২০০৭ সালে সিডর, ২০০৮ সালে নার্গিস, ২০০৯ সালের আইলা, ২০১৩ সালে মহাসেন, ২০১৫ সালের কোমেন, ২০১৬ সালের রোয়ানু, ২০২৩ সালের মিধিলিসহ এই সকল বন্যায় জেলে পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বেশি জেলে নিখোঁজ হয়েছেন ২০০৭ সালের সিডরে।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে ৫ জন, ১৯৯৪ সালে ২ জন, ২০০১ সালে ৫ জন, ২০০৬ সালে ১৪ জন, ২০০৭ সালে ৯১ জন, ২০১৪ সালে ৭ জন, ২০১৮ সালে ১৩ জন সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১৫ জন জেলেসহ এখনো পর্যন্ত মোট ১৮৮ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। এসব নিখোঁজ জেলেদের তালিকা প্রকাশ করে সম্প্রতি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সামনে স্মৃতি ফলক উন্মোচন করেছে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় জেলে সংগঠন, গণমাধ্যম কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদ, মৎস্য দপ্তর ও পৌরসভার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে একাধিকবার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এই চূড়ান্ত ডেটাবেইস প্রস্তুত করা হয়।
জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিখোঁজদের সন্ধান না পেয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্বজনদের। নিখোঁজদের কোনো মৃত্যু সনদ না থাকার কারণে পরিবারের জমি-জমা বিক্রিসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় পড়ছে পরিবারগুলো। নিখোঁজ জেলেদের স্ত্রীরা পাচ্ছেন না সরকারি সহায়তা অথবা বিধবা ভাতা।
১৯৯৩ সালে নিখোঁজ কালমেঘার জেলে হারুন সরদারের মা জবেদা বলেন, আমার ছেলে একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সমুদ্রে ডুবে যায়। ছেলে বেঁচে আছে না মরে গেছে তাও জানি না। ছেলে নিখোঁজের পর তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে রেখে দুই মাস পর বাবার বাড়ি চলে যায়। অন্যের বাড়ি কাজ করে তাঁদের দুই সন্তানকে খাবারের ব্যবস্থা করি। এখন তাঁরা কর্মের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রয়েছে। ৩০ বছর নিখোঁজ থাকার পরেও পাইনি সরকারি কোনো অনুদান।
২০১৪ সালে স্বামীসহ দুই সন্তানকে হারিয়েছে চরদুয়ানীর রানী বেগম। তিনি বলেন, আমার স্বামী ইসমাইল ফরাজী এবং দুই ছেলে সাইকুল ও শহিদুলকে হারিয়েছি। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা। জানি না তাঁরা কোথায় আছে, বেঁচে আছে না মরে গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দুই পত্রবধূ চলে যায় বাবার বাড়ি, পরে তারাও অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে মেয়ে রহিমাকে এসএসসি পাশ করিয়ে বিয়ে দিয়েছি। এতাবৎকাল সরকারি সহায়তা ২০০০ টাকা আর ৫ কেজি চাল পেয়েছি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারের জন্য নদী, মোহনা, সাগর ও গভীর সাগরে গমন করে। বড় তিনটি নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী উপজেলা হওয়ায় যে কোনো বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এই পাথরঘাটায় প্রথম আঘাত হানে। এর ফলে প্রতি বছরই জেলে ও মাছ ধরার ট্রলারগুলো নদী, মোহনা, সমুদ্র ও গভীর সমুদ্রে নিখোঁজ হয়। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান নিখোঁজ জেলেদের ডেটাবেইস করে একটি স্মৃতি ফলক স্থাপন করায় আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষই মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত। নিখোঁজ জেলেদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যে জেলে নিখোঁজের ছয় মাস শেষ হয়ে গেছে ওই সব জেলে পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও কিছু করার চেষ্টা চলছে।
ইউএনও রোকনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজ জেলেদের নামসহ উপজেলা পরিষদের মধ্যে একটি ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে, যাতে দেখলেই বোঝা যায় যে এই উপজেলার কতজন জেলে নিখোঁজ। নিখোঁজ জেলেদের তালিকা প্রস্তুত করে রেশন ও আর্থিক সহায়তাসহ তাঁদের জমিজমা বিক্রির জন্য একটি সনদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাবর।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার পাথরঘাটার অধিকাংশ মানুষ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বেঁচে থাকার তাগিদে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত সমুদ্রে পাড়ি জমাতে হয় তাঁদের। জেলেরা সমুদ্রে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হন। গত ৩০ বছরে শুধু উপজেলায় নিখোঁজ হয়েছেন ১৮৮ জন জেলে। এতে জমি-জমা বিক্রিসহ বিভিন্ন কাজ করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনদের।
নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে এখনো জেলে পল্লিতে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারি। ১৯৯৩ সালের বন্যা, ২০০৭ সালে সিডর, ২০০৮ সালে নার্গিস, ২০০৯ সালের আইলা, ২০১৩ সালে মহাসেন, ২০১৫ সালের কোমেন, ২০১৬ সালের রোয়ানু, ২০২৩ সালের মিধিলিসহ এই সকল বন্যায় জেলে পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বেশি জেলে নিখোঁজ হয়েছেন ২০০৭ সালের সিডরে।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে ৫ জন, ১৯৯৪ সালে ২ জন, ২০০১ সালে ৫ জন, ২০০৬ সালে ১৪ জন, ২০০৭ সালে ৯১ জন, ২০১৪ সালে ৭ জন, ২০১৮ সালে ১৩ জন সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১৫ জন জেলেসহ এখনো পর্যন্ত মোট ১৮৮ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। এসব নিখোঁজ জেলেদের তালিকা প্রকাশ করে সম্প্রতি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সামনে স্মৃতি ফলক উন্মোচন করেছে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় জেলে সংগঠন, গণমাধ্যম কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদ, মৎস্য দপ্তর ও পৌরসভার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে একাধিকবার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এই চূড়ান্ত ডেটাবেইস প্রস্তুত করা হয়।
জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিখোঁজদের সন্ধান না পেয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্বজনদের। নিখোঁজদের কোনো মৃত্যু সনদ না থাকার কারণে পরিবারের জমি-জমা বিক্রিসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় পড়ছে পরিবারগুলো। নিখোঁজ জেলেদের স্ত্রীরা পাচ্ছেন না সরকারি সহায়তা অথবা বিধবা ভাতা।
১৯৯৩ সালে নিখোঁজ কালমেঘার জেলে হারুন সরদারের মা জবেদা বলেন, আমার ছেলে একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সমুদ্রে ডুবে যায়। ছেলে বেঁচে আছে না মরে গেছে তাও জানি না। ছেলে নিখোঁজের পর তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে রেখে দুই মাস পর বাবার বাড়ি চলে যায়। অন্যের বাড়ি কাজ করে তাঁদের দুই সন্তানকে খাবারের ব্যবস্থা করি। এখন তাঁরা কর্মের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রয়েছে। ৩০ বছর নিখোঁজ থাকার পরেও পাইনি সরকারি কোনো অনুদান।
২০১৪ সালে স্বামীসহ দুই সন্তানকে হারিয়েছে চরদুয়ানীর রানী বেগম। তিনি বলেন, আমার স্বামী ইসমাইল ফরাজী এবং দুই ছেলে সাইকুল ও শহিদুলকে হারিয়েছি। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা। জানি না তাঁরা কোথায় আছে, বেঁচে আছে না মরে গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দুই পত্রবধূ চলে যায় বাবার বাড়ি, পরে তারাও অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে মেয়ে রহিমাকে এসএসসি পাশ করিয়ে বিয়ে দিয়েছি। এতাবৎকাল সরকারি সহায়তা ২০০০ টাকা আর ৫ কেজি চাল পেয়েছি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারের জন্য নদী, মোহনা, সাগর ও গভীর সাগরে গমন করে। বড় তিনটি নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী উপজেলা হওয়ায় যে কোনো বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এই পাথরঘাটায় প্রথম আঘাত হানে। এর ফলে প্রতি বছরই জেলে ও মাছ ধরার ট্রলারগুলো নদী, মোহনা, সমুদ্র ও গভীর সমুদ্রে নিখোঁজ হয়। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান নিখোঁজ জেলেদের ডেটাবেইস করে একটি স্মৃতি ফলক স্থাপন করায় আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষই মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত। নিখোঁজ জেলেদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যে জেলে নিখোঁজের ছয় মাস শেষ হয়ে গেছে ওই সব জেলে পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও কিছু করার চেষ্টা চলছে।
ইউএনও রোকনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজ জেলেদের নামসহ উপজেলা পরিষদের মধ্যে একটি ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে, যাতে দেখলেই বোঝা যায় যে এই উপজেলার কতজন জেলে নিখোঁজ। নিখোঁজ জেলেদের তালিকা প্রস্তুত করে রেশন ও আর্থিক সহায়তাসহ তাঁদের জমিজমা বিক্রির জন্য একটি সনদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাবর।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে