চট্টগ্রামে ফের অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, আহত ২ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৮: ০৪

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের মধ্যে ছাত্রদের দিকে একজনকে শটগান উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। এই ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ দুপুর একটা থেকে চান্দগাঁও আবাসিক ও বহদ্দারহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন—ইসমাইল হোসেন (৩১) ও মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২০)। ইসমাইল শিক্ষার্থী এবং ইলিয়াছ শ্রমিক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা সরকার দলীয় স্লোগান দিচ্ছেন। বেশ কয়েকটি গ্রুপ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। কালো টি-শার্ট ও নীল গেঞ্জি পরা দুজনকে একটি শটগান দিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে একটি গ্রুপ থেকে ওই দুজন গুলি ছোড়েন। 

চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।’ 

এর আগে, দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও ট্রাফিক পুলিশ বক্স সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে আগে থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অবস্থান থাকলেও শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার খবরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের আশপাশেই অবস্থান নিয়েছেন তারা। 

দুপুর ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ হঠাৎ করেই স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। চট্টগ্রামের কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক চন্দনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। এতে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে।’ 

চন্দনা আরও বলেন, ‘আমরা ছত্রভঙ্গ হলে পুলিশের অনেক টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পুলিশ আমাদের ওপর গুলি করেছে। আমরা আত্মরক্ষার্থে জাস্ট ঢিল ছুড়েছি। গুলির বিপরীতে ঢিল। কামানের বিপরীতে লাঠি। আমরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক শ্রাবণ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও সরকারদলীয়রা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তারা এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে শিবির-ছাত্রদলের আন্দোলন বলে ট্যাগ লাগাচ্ছে। আমাদের আন্দোলনে সব সাধারণ ছাত্র।’ 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক দাবি করেন, ‘কিছু কিছু ভুয়া স্ক্রিন শট তৈরি করছে সরকার দলীয় লোকজন। এ ছাড়া কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি নিচ্ছে, শিবির ছাত্রদলের আন্দোলন বলে।’ 

এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ জোনের ডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত