বাঁকখালী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩: ১৮
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩: ৫৬

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নদীর কস্তুরাঘাট মোহনা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। 

বাঁকখালী নদীর তীর দখল করে কয়েক বছর ধরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে। সম্প্রতি নদীতীরের ৬০০ হেক্টর প্যারাবন নিধন করে একে একে চলছে স্থাপনা নির্মাণের কাজ। নদীর কস্তুরাঘাটের সঙ্গে খুরুশকুলের সংযোগ স্থাপনে বাঁকখালী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এই সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে প্যারাবন কেটে এর মধ্যে শতাধিক পাকা ভবন তৈরি করেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। 

এই দখল উৎসবে রাজনীতিক, ব্যবসায়িক, আইনজীবী থেকে শুরু করে খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষও রয়েছে। কয়েক মাস আগেও যেখানে ছিল ম্যানগ্রোভ বা প্যারাবন, পাখির কিচিরমিচির; সেখানে এখন স্থাপনার পর স্থাপনা। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল থেকে শুরু হওয়া এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে নদীর সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এই জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের রায় রয়েছে। কোনোভাবেই নদী দখলের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। 

গত ২৬ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘বাঁকখালী দখলে মেয়রও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত