ব্রাহ্মণপাড়ায় আগাম মুলা চাষে কৃষকের হাসি

মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) 
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ২২
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ৫৩

‘২৫ হাজার টাকা খরচে ৪৮ শতক জমিতে আগাম জাতের মুলার চাষ করেছি। ফলনের ৩০ শতাংশ বিক্রি করে ৪০-৪৫ হাজার টাকা পেয়েছি। পুরোপুরি বিক্রি হলে প্রায় লাখ টাকা পাওয়ার আশা রয়েছে। আগামী মৌসুমে চাষ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।’ 

কথাগুলো কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষক ছফিউল্লাহর। শুধু তিনিই নন, ওই ইউনিয়নে আরও অন্তত ৫০ জন চাষি আগাম মুলার চাষ করেছেন এবং বাজারে বিক্রি করে তাঁর মতো লাভবান হয়েছেন। 

ব্রাহ্মণপাড়ায় শীতের সবজি মুলা এবার আগেভাগে বাজারে চলে এসেছে। উপজেলার মালাপাড়া, অলুয়া, আসাদনগর, মনোহরপুর, চণ্ডীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আগাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি তাঁরা। 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩১০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যে ২১০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের মুলা চাষের ফলন এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেত থেকে মুলা তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে মুলা ধুয়ে আঁটি বাঁধছেন বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এ সময় চাষিরা জানান, প্রতি একর মুলা চাষে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। আর বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতি একর খেতের মুলা বিক্রি করে পাওয়া যায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

মালাপাড়া এলাকার চাষি জসিম উদ্দিন জানান, তিনি ২১ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষ করেছেন। বীজ রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে বর্তমানে ফলন এসে বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। মুলা আবাদের মধ্যেই এখন আলু রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। মুলা বিক্রি শেষ হলে এরপর থেকে তিনি বাজারে আগাম আলু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন। 

অলুয়া এলাকার কৃষক গৌরাঙ্গ বলেন, তিনি ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করে এখন বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। 

একই এলাকার কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, মুলার পাশাপাশি করলা, লাউ, বরবটি আবাদ করে বাজারজাত করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই চাষাবাদের খরচ উঠে গেছে। খরচের কয়েক গুণ লাভ হবে বলে আশাবাদী তিনি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘মুলার পাশাপাশি ব্রাহ্মণপাড়ায় আগাম জাতের অনেক সবজি আবাদ হয়েছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এবং মাঠে থেকে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি। আগাম এসব সবজির ফলনও হয়েছে ভালো। ভালো দাম পেয়ে চাষিরা অনেক খুশি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত