সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের এজেন্টের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধি, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২১, ১১: ১৩

অতিরিক্ত ফি আদায়, গ্রাহক হয়রানি-হুমকি, পণ্য দেরিতে পৌঁছানো, পণ্য খোয়া যাওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এজেন্ট শাখার বিরুদ্ধে। এই সংবাদ প্রকাশিত হলে এই প্রতিনিধিকে ভবিষ্যতে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন এজেন্ট শাখার মালিক সেলিম। 

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকার কাছে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের অভিযোগ, ২০০ টাকার বুকিং পার্সেলে ৬০০ টাকা দিতে হয়। বেশি টাকা নেওয়ার বিষয়ে কেউ জানতে চাইলে স্বীকার করে না। আরেকজন জানান, দীঘিনালা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আম পাঠিয়েছিলাম, চলে গেছে বরগুনা। পরে সুন্দরবনের বরগুনা কর্তৃপক্ষ আমের টাকা ফেরত দেয়। 

অনিয়ন্ত্রিত ফি আদায়ের বিষয়ে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কাদের হোসেন ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এ ঘটনায় এজেন্ট শাখার লোকজন কাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও ভবিষ্যতে কোন পার্সেল সুন্দরবন কুরিয়ারে বুকিং দিতে নিষেধ করা হয়। এ বিষয়েও কাদেরকে চুপ থাকতে হুমকি দেওয়া হয়। 

পার্সেল সঠিক সময়ে, অক্ষতভাবে পৌঁছানো নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। এজেন্টটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন পণ্য আনা নেওয়া করায় অনেকেই সময়মতো পার্সেল পাচ্ছে না। এদিকে এজেন্ট শাখায় কোন পার্সেল বুকিং দিতে গেলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পলিব্যাগ কিনতে বাধ্য করেন, না হয় প্যাকেট, চিঠি, পার্সেল বুকিং নেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রয়েছে পণ্য খোয়া যাওয়ার অভিযোগও। উপজেলার সোহেল বড়ুয়া গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের পটিয়া একটি পার্সেল পাঠান। এতে একটি ইলেকট্রিক শেভিং মেশিন, কলমসহ কিছু জরুরি জিনিসপত্র ছিল। এই পার্সেলটি পাঠানোর ১৫ দিন পর পটিয়া সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে পার্সেল নিতে ফোন করা হয়। তবে এ পার্সেলের শেভিং মেশিন, ২০টি কলমসহ অন্তত ৩ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে জানান সোহেল বড়ুয়া। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও ভ্রুক্ষেপই করেননি সুন্দরবনের দীঘিনালা এজেন্ট শাখা কর্তৃপক্ষ। পরে হটলাইনে যোগাযোগ করলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের হেড অফিস থেকে বলা হয়, প্রমাণসহ অভিযোগ করলে গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাবেন। 

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ম্যানেজার মো. ফরিদুল আলম জানান, সুন্দরবন সব সময়ই গ্রাহকের সেবায় সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনের নিয়মবহির্ভূত ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোন কাজ করলে এজেন্ট বাতিল করা হবে। 

এদিকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের দীঘিনালা এজেন্ট শাখার মালিক সেলিমের সঙ্গে কথা বলতে এজেন্ট শাখায় গেলে সে আজকের পত্রিকার দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধির সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। ২১ আগস্ট শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় দীঘিনালা কলেজ গেট এলাকায় এই প্রতিনিধিকে হুমকিও দেন। পত্রিকায় কুরিয়ার সার্ভিস নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন সেলিম।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত