কুমিল্লা প্রতিনিধি
‘আগে পানি বন্ধ করেন, তারপর খাওন। খাওনা দিয়া কি অইব, পানির নিচে সব শেষ। এখনো পানি আসছে।’ ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা কাজল আক্তার। আরেক বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, একটা পুরুষ লোক নাই, প্রতিবন্ধী মা ও দুই জি (মেয়ে) নিয়ে কোনো রকম জানডা নিয়ে পাড়ে আইছি। কই যামু, যে দিক দিয়া যাই সেদিকেই বিপদ, সহায় সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে।’ এমন অনেক আহাজারি কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় গোমতি বাঁধের একটি গর্ত দিয়ে নিঃসরণের সময় গর্তটি বড় হয়ে ধসে পরিণত হয়। মুহূর্তেই গোমতির পানি প্রবেশ করে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, ভরাসার, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল, রাজাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ে। রাতে আতঙ্কিত মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন।
অনেকেই গোমতি বাঁধের ওপরে আসবাবপত্র ও গবাদি পশু পাখি নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। পরে ভোর থেকেই মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে দেখা যায়। আবার কেউ কেউ সম্পত্তি রক্ষায় পানিতে অবস্থান নিয়েছেন। আবার অনেকে পানিবন্দী হয়ে আছে। উদ্ধারের জন্য হাহাকার করছেন তারা। সেনাবাহিনী ও কিছু কিছু জায়গায় সীমিত পরিসরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এদিকে অনবরত পানি প্রবেশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, গোমতি নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এ উপজেলার ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতি নদী ও খালগুলোয়। সর্বশেষ আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কুমিল্লা সদর, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে ভারতের উজানের পানি প্লাবিত হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় দুলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়ে পড়ে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ।
গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো স্থানীয়রা বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করতে দেখা যায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে শুকনো খাবারের। এ ছাড়া ২২৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩৪০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১৫ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পানিবন্দী অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মাঠে কাজ করছে।
এদিকে কুমিল্লার সদর উপজেলার বিবির বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ বিতরণ করেন কুমিল্লা মহানগর ও জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মেদ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, মো. মোস্তাক মিয়া, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু। এসময় বন্যা কবলিত প্রায় তিনশ বাসিন্দাদের মাঝে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে জেলার চৌদ্দগ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
‘আগে পানি বন্ধ করেন, তারপর খাওন। খাওনা দিয়া কি অইব, পানির নিচে সব শেষ। এখনো পানি আসছে।’ ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা কাজল আক্তার। আরেক বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, একটা পুরুষ লোক নাই, প্রতিবন্ধী মা ও দুই জি (মেয়ে) নিয়ে কোনো রকম জানডা নিয়ে পাড়ে আইছি। কই যামু, যে দিক দিয়া যাই সেদিকেই বিপদ, সহায় সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে।’ এমন অনেক আহাজারি কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় গোমতি বাঁধের একটি গর্ত দিয়ে নিঃসরণের সময় গর্তটি বড় হয়ে ধসে পরিণত হয়। মুহূর্তেই গোমতির পানি প্রবেশ করে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, ভরাসার, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল, রাজাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ে। রাতে আতঙ্কিত মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন।
অনেকেই গোমতি বাঁধের ওপরে আসবাবপত্র ও গবাদি পশু পাখি নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। পরে ভোর থেকেই মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে দেখা যায়। আবার কেউ কেউ সম্পত্তি রক্ষায় পানিতে অবস্থান নিয়েছেন। আবার অনেকে পানিবন্দী হয়ে আছে। উদ্ধারের জন্য হাহাকার করছেন তারা। সেনাবাহিনী ও কিছু কিছু জায়গায় সীমিত পরিসরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এদিকে অনবরত পানি প্রবেশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, গোমতি নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এ উপজেলার ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতি নদী ও খালগুলোয়। সর্বশেষ আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কুমিল্লা সদর, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে ভারতের উজানের পানি প্লাবিত হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় দুলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়ে পড়ে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ।
গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো স্থানীয়রা বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করতে দেখা যায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে শুকনো খাবারের। এ ছাড়া ২২৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩৪০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১৫ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পানিবন্দী অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মাঠে কাজ করছে।
এদিকে কুমিল্লার সদর উপজেলার বিবির বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ বিতরণ করেন কুমিল্লা মহানগর ও জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মেদ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, মো. মোস্তাক মিয়া, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু। এসময় বন্যা কবলিত প্রায় তিনশ বাসিন্দাদের মাঝে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে জেলার চৌদ্দগ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. আবদুস শহীদকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিকেলে আবদুস শহীদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
১ মিনিট আগেসাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন এক নারী। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা এলাকার গোলাম মোস্তফার স্ত্রী ইসরাত জাহান (৪০) শেরপুর থানায় এ লিখিত অভিযোগ করেন।
১ মিনিট আগেনিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে ১৭ দিন অভিযান চালিয়ে ৫১৭ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ লাখ এক হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরা থেকে আটকের সময় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের বাসা থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ ৩ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৮৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে। ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে আজ বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৩ মিনিট আগে