Ajker Patrika

ইলিশের দেখা নেই, চলছে জাটকা নিধন

  • জেলেরা দিনরাত নদী চষে বেড়ালেও ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না।
  • এর বদলে চলছে বেআইনিভাবে জাটকা নিধন।
  • মৎস্য বিভাগ বলছে, আগামী মে মাসের পর থেকে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
নেই ইলিশের সরবরাহ। ফাঁকা পড়ে আছে আড়ত। সম্প্রতি হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী মাছঘাটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেই ইলিশের সরবরাহ। ফাঁকা পড়ে আছে আড়ত। সম্প্রতি হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী মাছঘাটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলতি বছরের শীত মৌসুমে একেবারেই মিলছে না ইলিশ মাছ। স্থানীয় জেলেরা দিনরাত নদী চষে বেড়ালেও মাছটির দেখা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে চলছে বেআইনিভাবে জাটকা নিধন। আড়তে প্রতি মণ জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ হাজার টাকা।

সদরের বিভিন্ন বাজার, মাছঘাট ও হাইমচর উপজেলার সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত চরভৈরবী ঘুরে জানা গেল এসব তথ্য। চরভৈরবী মাছঘাট এলাকার জেলে করিম মিয়া ও শাহাবুদ্দিন বলেন, নদীতে পানি কম। সারা দিন নদীতে থাকলেও ইলিশ পাওয়া যায় না। কিন্তু ঋণ আছে, সংসার চালাতে হয়। যে কারণে এখন ছোট মাছ ধরেন।

মাছঘাটের ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, ‘শীত মৌসুমে নদীতে পানি কমে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠে। ফলে ইলিশ কম পাওয়া যায়। এখন বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ বিক্রি করেই আমাদের আড়তগুলো চালু আছে। নদীতে ইলিশ নাই বললেই চলে। ছোট সাইজের কিছু ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি। সারা দিনে প্রায় ২০টি আড়তে ২-৩ মণ ইলিশ বিক্রি হয়।’

জেলা শহরের ওয়্যারলেস মাছ বাজারে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যবসায়ী জাটকা বিক্রি করছেন। আকার ৭-৮ ইঞ্চি হবে। প্রতি কেজির দাম চাইলেন ৮৫০-৯০০ টাকা। আরেক ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা। মাছ কিনতে আসা রাবেয়া বেগম নামের একজন জানান, বাজারে ইলিশের দেখা মিলছে না। তাই তিনি ১ কেজি জাটকা কিনেছেন ৮৫০ টাকায়।

সদর উপজেলার বহরিয়া মাছঘাটে ইলিশ নেই। শুধু ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে। ঘাটের ইলিশ আড়তগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। হরিণা ফেরিঘাটসংলগ্ন মাছঘাটে রয়েছে প্রায় ১৪টি ইলিশের আড়ত। কিন্তু পুরো এলাকা এখন নীরব। কিছু জেলে জাটকা নিয়ে আসছেন। মুহূর্তেই সব হাঁকডাকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এই আড়তের পাইকার ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, বড় আকারের ইলিশ নেই। জাটকা প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়।

চাঁদপুর মাছঘাটের আড়তদার ওমর ফারুক বলেন, শীতে মেঘনায় খুবই কম ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সব আড়ত মিলিয়ে এখন ১০-১২ মণ মাছ বিক্রি হয়। তাও আকারে ছোট। জাটকার মণও ৩৮-৪০ হাজার টাকা।

এ নিয়ে কথা হলে সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছরই শীত মৌসুমে নদীতে ইলিশ কম থাকে। যে কারণে ছোটবড় যে আকারের ইলিশ জেলেরা ধরে আনেন, তার দাম চড়া হয়। তবে আগামী মে মাসের পর থেকে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ তখন জাটকাগুলো আকারে বড় হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

নয়াদিল্লিতে নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ৩ মাস সময় নিল ভারত

চাপে পড়ে ৫টি বাস রিকুইজিশন দিয়েছেন পিরোজপুরের ডিসি, সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: প্রেস সচিব

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে নদীতে মিলল নববধূর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত