রাঙামাটিতে ২৩টি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি

হিমেল চাকমা রাঙামাটি
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ১০: ২৯
আপডেট : ২২ মে ২০২৩, ১০: ৪৭

রাঙামাটির বরকল উপজেলার ২৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি। এসব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০০। কবে এসব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাবে তারও সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি বরকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

বই না পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো জাক্কোবাজেই বেপ্রাবি, রামছড়া বেপ্রাবি, রদংহাবা বেপ্রাবি, পুলছড়া বেপ্রাবি, চুমোচুমি বেপ্রাবি, বড় হরিনা মুখ বেপ্রাবি, কুদুছড়া বেপ্রাবি, নোয়াপাড়া বেপ্রাবি, কুসুম ছড়ি দোসরি পাড়া বেপ্রাবি, রংগাছছড়ি বেপ্রাবি, বাকছড়ি বেপ্রাবি, জুংছড়া বেপ্রাবি, বামে ভূষনছড়া বেপ্রাবি, বাজেইছড়া বেপ্রাবি, মারিশ্যাছড়া বেপ্রাবি, নোয়াপাড়া বেপ্রাবি (বড় হরিনা), তাগলক বাগ বেপ্রাবি, মরাঠেগা বেপ্রাবি, তেলখনি ছড়া বেপ্রাবি, পেরাছড়া বেপ্রাবি, ঠেগা গুইছড়ি বেপ্রাবি, রামুক্যাছড়ি বেপ্রাবি ও জারুলছরি বেপ্রাবি।

২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বামে ভুষণছড়া বে.প্রা. বিদ্যালয় ছাড়া বাকি ২২টি এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮টি বিদ্যালয় সুবর্ণভূমি ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। বাকিগুলো জনগণের চাঁদার টাকায় চলছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একটু আন্তরিক হলে এ সমস্যা দেখা দিত না। এসব কাজ করেন শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর উদয়ন চাকমা। আমাদের কোনো কথা শোনেন না। তিনি ইউইও (উপজেলা এডুকেশন অফিসার) ছাড়া কাউকে পাত্তা দেন না।’ 

সুবর্ণভূমি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মানবাশীষ চাকমা বলেন, ‘আমাদের ৮টি বিদ্যালয়ে ৩৩৮ শিক্ষার্থী আছে। আমরা শুরু থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বইয়ের চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের বই দেওয়া হয়নি। আমাদের ৮ স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট ১ হাজার ৬৭৬টি বইয়ের চাহিদা ছিল। দেওয়া হয় মাত্র ৫০৪টি।’

রামছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনিল চাকমা বলেন, ‘নতুন বইয়ে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন পাঠ সংযোজন করা হয়েছে। বই না পাওয়ায় আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা অনেকবার যোগাযোগ করেছি উপজেলা শিক্ষা অফিসে। কিন্তু আমাদের কথার কোনো পাত্তা দেয়নি শিক্ষা অফিস।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘একসময় ম্যানুয়েলি বইয়ের চাহিদা নেওয়া হতো। গত বছর থেকে অনলাইনে বইয়ের চাহিদা নেওয়া হচ্ছে। যেটাকে পিইএমইএস (প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) বলা হয়। তাগাদা দেওয়ার পরও সে অনুযায়ী বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো ফরম পূরণ করেনি। ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা স্কুলগুলোতে বই পাঠানোর চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আগামী বছর এ সমস্যা সৃষ্টি হবে না। এ বছর সর্বমোট ১৮ শ সেট নতুন বইয়ের চাহিদা পাঠিয়েছি। এ বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত