বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট 

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ৩৯
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ০২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে প্রায় ৮৭ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানজটে আটকে আছে বন্যার ত্রাণবাহী গাড়িও। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, তিন দিন মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানির স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় সড়কের অধিকাংশ স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে কোথাও যানবাহন ধীরে চলছে, কোথাও যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত থেকে ফেনীর লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় খরস্রোতা পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। গতকাল রোববার বিকেলে লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকার মহাসড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও চট্টগ্রাম লেনের স্থানটি দেবে যায়। পরে সন্ধ্যা থেকে উল্টো লেন দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে। 

এদিকে মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এসব গর্তে পড়ে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ফেনী লেমুয়া ব্রিজ পর্যন্ত দুই লেনেই প্রায় ৮৭ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানজটে আটকে আছে বন্যার ত্রাণবাহী গাড়িও। 

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী ফারজানা আকতার লিপি বলেন, ‘মহাসড়কের যান চলাচলের খবর শুনে রোববার ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করি। এখন দিনের ১টা বেজে গেছে। চৌদ্দগ্রামে আটকে আছি।’ 

কক্সবাজার থেকে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় ছেড়ে আসা মারসা পরিবহনের চালক নয়ন মিয়া বলেন, ‘গত রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইতে সড়কে যানজটে আটকা পড়ি। এখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। চৌদ্দগ্রামে আটকে আছি। ঢাকায় কখন পৌঁছাব তা জানি না। যানজটের কারণে কোনো খাবার পাচ্ছি না। এতে করে যাত্রীদের নিয়ে সীমাহীন কষ্টে আছি।’ 

আলমগীর হোসেন নামে এক ট্রাকচালক বলেন, ‘সড়কে যান চলাচল শুরুর খবর শুনে গত রাতে গাজীপুর থেকে পোশাকপণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রওনা হয়েছি। ১৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে, এখনো চৌদ্দগ্রাম পার হতে পারিনি।’ 

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়কের ফেনী লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে সড়কের উভয় পাশে কয়েক হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। সড়কে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে অনেক জায়গা দেবে গেছে এবং কুমিল্লার অংশে অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে সড়কের ফেনী অংশ থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পুলিশের সহায়তায় যান চলাচল শুরু করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে দেবে যাওয়া স্থান এবং গর্তগুলো মেরামতের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া সড়কে নতুন করে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত