লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুলের জন্য মুখ ও গলা চেপে শিশু পপি সাহাকে (৭) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত রুনা আক্তার আঁখিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
এর আগেও স্বর্ণের চেইনের জন্য এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালত আঁখির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। ওই রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আঁখি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আজ কারাগার থেকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আঁখি উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে ও এমরানের স্ত্রী। নিহত পপি সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে বামনী ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের প্রবাসী নির্মল সাহার মেয়ে।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি ও তাঁর স্বামী এমরান ঘটনার তিন মাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হাওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পার্শ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার শিশুকন্যা পপি সাহাকে তাঁর ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। এ সময় শিশুর কানে থাকা তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন আঁখি। এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে আঁখি তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহটি খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পর আঁখির স্বামী এমরান হোসেন ঘরে এলে তাঁকে হত্যার ঘটনাটি জানান। এতে তিনি মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় শিশুটির কোনো খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজতে থাকে। ওই বাড়ির এক নারী আঁখির ঘরে পপির মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে রায়পুর থানা-পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং রুনা ও তাঁর স্বামী এমরানকে আটক করে। পরে রুনা হত্যার ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই শিশুটির মা ববিতা রানী সাহা (৩২) রায়পুর থানায় রুনা এবং তাঁর স্বামী এমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেন। এতে রুনাকে হত্যার দায়ে এবং তাঁর স্বামীকে হত্যার তথ্য গোপনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
রায়ের পর মামলার বাদী ববিতা রানী সাহা বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলা টিপে হত্যা করেছে, তাঁর ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।’
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কানের দুলের লোভে স্কুলছাত্রী পপিকে হত্যা করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আঁখির স্বামীও এ মামলার আসামি ছিলেন। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এতে আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায়ের সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন রুনা আক্তার আঁখি। ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রুনা আক্তার আঁখিসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি আমির হোসেন কিশোরী রোজিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করায় এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। হত্যার পর দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। স্বর্ণের লোভে তিনি হত্যাকাণ্ডটিও ঘটান।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘কানের দুলের জন্য প্রাণ দিতে হলো শিশু পপিকে’ ও ৪ সেপ্টেম্বর ‘শিশু পপি হত্যায় এক আসামির স্বীকারোক্তি’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুলের জন্য মুখ ও গলা চেপে শিশু পপি সাহাকে (৭) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত রুনা আক্তার আঁখিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
এর আগেও স্বর্ণের চেইনের জন্য এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালত আঁখির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। ওই রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আঁখি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আজ কারাগার থেকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আঁখি উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে ও এমরানের স্ত্রী। নিহত পপি সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে বামনী ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের প্রবাসী নির্মল সাহার মেয়ে।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি ও তাঁর স্বামী এমরান ঘটনার তিন মাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হাওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পার্শ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার শিশুকন্যা পপি সাহাকে তাঁর ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। এ সময় শিশুর কানে থাকা তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন আঁখি। এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে আঁখি তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহটি খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পর আঁখির স্বামী এমরান হোসেন ঘরে এলে তাঁকে হত্যার ঘটনাটি জানান। এতে তিনি মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় শিশুটির কোনো খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজতে থাকে। ওই বাড়ির এক নারী আঁখির ঘরে পপির মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে রায়পুর থানা-পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং রুনা ও তাঁর স্বামী এমরানকে আটক করে। পরে রুনা হত্যার ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই শিশুটির মা ববিতা রানী সাহা (৩২) রায়পুর থানায় রুনা এবং তাঁর স্বামী এমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেন। এতে রুনাকে হত্যার দায়ে এবং তাঁর স্বামীকে হত্যার তথ্য গোপনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
রায়ের পর মামলার বাদী ববিতা রানী সাহা বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলা টিপে হত্যা করেছে, তাঁর ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।’
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কানের দুলের লোভে স্কুলছাত্রী পপিকে হত্যা করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আঁখির স্বামীও এ মামলার আসামি ছিলেন। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এতে আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায়ের সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন রুনা আক্তার আঁখি। ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রুনা আক্তার আঁখিসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি আমির হোসেন কিশোরী রোজিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করায় এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। হত্যার পর দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। স্বর্ণের লোভে তিনি হত্যাকাণ্ডটিও ঘটান।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘কানের দুলের জন্য প্রাণ দিতে হলো শিশু পপিকে’ ও ৪ সেপ্টেম্বর ‘শিশু পপি হত্যায় এক আসামির স্বীকারোক্তি’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৪ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৫ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে