চট্টগ্রামে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের পর এবার ব্রয়লার মুরগি, সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। আজ শনিবার ও গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।

চট্টগ্রামের কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম চড়া। প্রতি কেজি সবজি গড়ে ২০ টাকা বেড়েছে।

হালিশহর এলাকার আই ব্লক কাঁচাবাজারে দু-তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। এই বাজারে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ ও করলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজির দাম এক লাফে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা দরে।

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে ভোক্তাদের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ভোক্তাদের। সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা হয়েছে। ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরের চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট ও হালিশহর এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই মুরগি ১৫০-১৬০ টাকায় কিনেছেন ক্রেতারা। 

চকবাজার কাঁচাবাজারের খাজা নলন্ধ আলী নেওয়াজ পোলট্রি দোকানের স্বত্বাধিকারী মো. জামাল সওদাগর মুরগির দাম বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, অন্য জাতের মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে।

একই বাজারের নিউ হ্যান্ডস গার্ডেন নামের দোকানের মালিক মো. আক্তার হোসেন বলেন, তাঁদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে দাম বাড়ায় ক্রেতারা হতাশ। কাজীর দেউড়ি বাজারে নিয়মিত বাজার করেন ভিআইপি টাওয়ারের বাসিন্দা সামসুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যে হারে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সামনে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে। বাজার তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন।

এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে যখন নির্দেশনা আসে, তখন আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আমরা বাজার নিয়মিত মনিটরিং করি। শনিবার কর্ণফুলী মার্কেটে সারা দিন মনিটরিং করেছি। অস্বাভাবিক দাম বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’