দেলোয়ার হোসেন আকাইদ, কুমিল্লা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে এক চোখ হারিয়েছেন সাগর। ডান চোখে সামান্য দেখতে পান। আর বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। হাত ভাঙাসহ শরীরে রয়েছে অসংখ্য ছররা গুলির ক্ষত। চিকিৎসক বলছেন, অস্ত্রোপচার করা হলেও চোখ ঠিক হবে না।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অসহায় পরিবার বলছে, সাগরের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।
সাগরের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারের জাফরাবাদে। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন রামপুরা এলাকায় একটি গরুর খামারে শ্রমিক হিসেবে সাত বছর ধরে কাজ করছেন।
গেল ১৮ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও পুলিশ। সে সময় ছাত্রীদের ওপর নির্মম হামলায় সময় সাগর সামনে ছিলেন। এ দৃশ্য দেখে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অংশ নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটাবিরোধী একটি মিছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশের ছররা গুলিতে শরীরে ও চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন সাগর। বর্তমানে তিনি বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পান না। ডান চোখেও সমস্যা রয়েছে।
সেদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভর্তি হয়ে ৮ দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে চক্ষু বিভাগের সাধারণ শয্যায় স্থানান্তর হন। সেখান থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয় কুমিল্লার আলেখারচর চক্ষু হাসপাতালে। সেখান থেকে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম শেভরন চক্ষু হাসপাতালে।
চট্টগ্রাম শেভরন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্বজনদের জানান, ছররা গুলির আঘাতে সাগরের একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার করে চোখ রাখা যাবে, কিন্তু কিছুই দেখতে পাবে না।
আহত মো. সাগর বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই বিকেলে ওষুধ কিনতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান। সেখানে ছাত্রীদের ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। আমিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হই। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিয়ে কোটবাড়ী মহাসড়ক এলাকায় যাই। এ সময় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় আমি আহত হই।’
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান ছাত্ররা।’
বর্তমানে বাঁ চোখে তিনি কিছুই দেখেন না বলে জানান। আরেক চোখেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। হাত ভাঙাসহ শরীরে রয়েছে ছররা গুলির অনেক ক্ষত।
আহত সাগরের বাবা আব্দুল মবিন বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমার ছেলে এ খামারে কাজ করছে। হঠাৎ শুনলাম সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তার বলেছেন তার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। আমরা অসহায়, কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে ছিল। পরে চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চোখের চিকিৎসার জন্য যাই।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ চট্টগ্রাম শেভরন চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তার বলেছেন চোখ ভালো হবে না। চিকিৎসা করে নষ্ট চোখটি রাখা যাবে, তবে কিছুই দেখতে পাবে না। নয়তো চোখ ভেতরে চলে যাবে। ২৯ আগস্ট ডাক্তার চোখের অপারেশন করাবেন। ৫০ হাজার টাকা খচর হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে আমি দেনায় পড়ে গেছি। খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে এক চোখ হারিয়েছেন সাগর। ডান চোখে সামান্য দেখতে পান। আর বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। হাত ভাঙাসহ শরীরে রয়েছে অসংখ্য ছররা গুলির ক্ষত। চিকিৎসক বলছেন, অস্ত্রোপচার করা হলেও চোখ ঠিক হবে না।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অসহায় পরিবার বলছে, সাগরের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।
সাগরের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারের জাফরাবাদে। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন রামপুরা এলাকায় একটি গরুর খামারে শ্রমিক হিসেবে সাত বছর ধরে কাজ করছেন।
গেল ১৮ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও পুলিশ। সে সময় ছাত্রীদের ওপর নির্মম হামলায় সময় সাগর সামনে ছিলেন। এ দৃশ্য দেখে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অংশ নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটাবিরোধী একটি মিছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশের ছররা গুলিতে শরীরে ও চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন সাগর। বর্তমানে তিনি বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পান না। ডান চোখেও সমস্যা রয়েছে।
সেদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভর্তি হয়ে ৮ দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে চক্ষু বিভাগের সাধারণ শয্যায় স্থানান্তর হন। সেখান থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয় কুমিল্লার আলেখারচর চক্ষু হাসপাতালে। সেখান থেকে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম শেভরন চক্ষু হাসপাতালে।
চট্টগ্রাম শেভরন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্বজনদের জানান, ছররা গুলির আঘাতে সাগরের একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার করে চোখ রাখা যাবে, কিন্তু কিছুই দেখতে পাবে না।
আহত মো. সাগর বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই বিকেলে ওষুধ কিনতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান। সেখানে ছাত্রীদের ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। আমিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হই। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিয়ে কোটবাড়ী মহাসড়ক এলাকায় যাই। এ সময় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় আমি আহত হই।’
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান ছাত্ররা।’
বর্তমানে বাঁ চোখে তিনি কিছুই দেখেন না বলে জানান। আরেক চোখেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। হাত ভাঙাসহ শরীরে রয়েছে ছররা গুলির অনেক ক্ষত।
আহত সাগরের বাবা আব্দুল মবিন বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমার ছেলে এ খামারে কাজ করছে। হঠাৎ শুনলাম সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তার বলেছেন তার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। আমরা অসহায়, কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে ছিল। পরে চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চোখের চিকিৎসার জন্য যাই।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ চট্টগ্রাম শেভরন চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তার বলেছেন চোখ ভালো হবে না। চিকিৎসা করে নষ্ট চোখটি রাখা যাবে, তবে কিছুই দেখতে পাবে না। নয়তো চোখ ভেতরে চলে যাবে। ২৯ আগস্ট ডাক্তার চোখের অপারেশন করাবেন। ৫০ হাজার টাকা খচর হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে আমি দেনায় পড়ে গেছি। খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংবাদিকদের সংগঠন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের ৯ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল-২৪ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইমতিয়াজ হাসান রিফাত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দৈনিক প্রতিদিনের ব
৬ মিনিট আগেবগুড়ার শিবগঞ্জে মশার কয়েলের আগুনে পুড়ে বাটু মিয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের মূখূরজান গ্রামে ওই বৃদ্ধের নিজ বসত বাড়ির শয়নকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবিনা সুদে লাখ টাকার ঋণের প্রলোভনে ঢাকায় লোক জড়ো করার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি ও কমলনগর থানায় পৃথক তিন মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রাতে থানায় এসব মামলা করা হয়। পৃথক তিন মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৭৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআইনজীবী শিশির মনির বলেন, তিন বছর সাত মাস কারাগারে থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন। তাঁকে জোর করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন, যা চলমান। ওই মামলায় বিজয়ী হলে তাঁর চাকরিতে যোগ দিতে বাধা থাকবে না।
১ ঘণ্টা আগে