জমির উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি।
বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন।
ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’
এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে।
প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন
কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে।
কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি।
বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন।
ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’
এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে।
প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন
কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে।
কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৯ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪৪ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪৪ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৯ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৯ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪৪ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৯ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪৪ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে