কক্সবাজার প্রতিনিধি
পাহাড় কেটে মাটি ও বালু পাচার বন্ধে বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন। এ কারণে পাচারকারী চক্র তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তাই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডাম্পট্রাকের চাপায় হত্যা করা হয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানকে। হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার উখিয়া থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের উখিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. বাপ্পীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাটি পাচারকারী চক্রের সদস্যদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যগুলো পুলিশ যাচাইবাছাই করছে। এরপর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেপ্তার মো. বাপ্পী (২৩) উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মো. কাশেমের ছেলে। তিনি ডাম্পট্রাকটির চালক। এর আগে ১ এপ্রিল ভোরে উখিয়ার হরিণমারা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫)।
সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, মাসখানেকের চেয়ে বেশি সময় ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন বন বিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বন বিভাগের অভিযানে ট্রাক জব্দ এবং মামলা দায়ের করায় এজাহারভুক্ত ১০ নম্বর আসামি কামাল উদ্দিনসহ মাটি পাচারকারীরা বনবিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তারা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এবং নানাভাবে তাঁকে (সাজ্জাদুজ্জামান) হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি তারা সাজ্জাদুজ্জামানকে প্রাণে মারারও হুমকি দেয়।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার দিন গভীর রাতে উখিয়া উপজেলার হরিণমারা এলাকার সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচারের খবরে বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সহকর্মী আলী আহমদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এতে হাতেনাতে একটি ডাম্পট্রাকে করে মাটি পাচার করতে দেখে থামার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় ট্রাকটির চালক তাঁদের (বনকর্মীরা) বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সাজ্জাদুজ্জামান নিহত হন এবং তাঁর সহকর্মী আলী আহমদ আহত হন।
ঘটনার সময় ট্রাকচালক বাপ্পীর পাশের সিটে কামাল উদ্দিন বসা ছিলেন এবং তাঁর ইন্ধনে বন কর্মকর্তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি চাপা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল জানান, এ ঘটনার পরপরই জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। গত সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের বন্দর থানা এলাকায় মামলার প্রধান আসামি ও ট্রাকটির চালক বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচারের সময় মাটি পাচারকারীদের ডাম্পট্রাকের চাপায় বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) নিহত হন। তিনি কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।
এ ঘটনার পর দিন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পাহাড় কেটে মাটি ও বালু পাচার বন্ধে বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন। এ কারণে পাচারকারী চক্র তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তাই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডাম্পট্রাকের চাপায় হত্যা করা হয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানকে। হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার উখিয়া থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের উখিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. বাপ্পীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাটি পাচারকারী চক্রের সদস্যদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যগুলো পুলিশ যাচাইবাছাই করছে। এরপর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেপ্তার মো. বাপ্পী (২৩) উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মো. কাশেমের ছেলে। তিনি ডাম্পট্রাকটির চালক। এর আগে ১ এপ্রিল ভোরে উখিয়ার হরিণমারা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫)।
সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, মাসখানেকের চেয়ে বেশি সময় ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন বন বিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বন বিভাগের অভিযানে ট্রাক জব্দ এবং মামলা দায়ের করায় এজাহারভুক্ত ১০ নম্বর আসামি কামাল উদ্দিনসহ মাটি পাচারকারীরা বনবিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তারা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এবং নানাভাবে তাঁকে (সাজ্জাদুজ্জামান) হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি তারা সাজ্জাদুজ্জামানকে প্রাণে মারারও হুমকি দেয়।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার দিন গভীর রাতে উখিয়া উপজেলার হরিণমারা এলাকার সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচারের খবরে বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সহকর্মী আলী আহমদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এতে হাতেনাতে একটি ডাম্পট্রাকে করে মাটি পাচার করতে দেখে থামার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় ট্রাকটির চালক তাঁদের (বনকর্মীরা) বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সাজ্জাদুজ্জামান নিহত হন এবং তাঁর সহকর্মী আলী আহমদ আহত হন।
ঘটনার সময় ট্রাকচালক বাপ্পীর পাশের সিটে কামাল উদ্দিন বসা ছিলেন এবং তাঁর ইন্ধনে বন কর্মকর্তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি চাপা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল জানান, এ ঘটনার পরপরই জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। গত সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের বন্দর থানা এলাকায় মামলার প্রধান আসামি ও ট্রাকটির চালক বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচারের সময় মাটি পাচারকারীদের ডাম্পট্রাকের চাপায় বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) নিহত হন। তিনি কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।
এ ঘটনার পর দিন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৩৯ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৪৩ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে